পিরোজপুর সদর উপজেলায় শিকদারমল্লিক ইউনিয়নে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ৯ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৪ ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শিকদার মল্লিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, স্থানীয় জিয়াউল হক ফকিরের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সালেহ আহম্মেদ চঞ্চল (৩৫), বাদশা ফকিরের ছেলে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম ফকির (৩০), স্থানীয় সুশিল চক্রবর্তীর ছেলে ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি অনল চক্রবর্তী (২২), একই এলাকার মিজানুর রহমান শেখের ছেলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান শেখ (২২)। তাদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তন্ময় মণ্ডল (২২), সিপার ফকির (২০), রনি হাওলাদার (২০), মাসুদ শিকদার (২৮), রিপন শেখ (২০) আহত হয়েছেন। ওই ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামালায় আহত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চঞ্চল ফকির জানান, ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির আহ্বায়ক মো. সোহেল হাওলাদার ও সদস্য সচীব মো. জালাল হোসেন শেখ স্থানীয় শিকদার মল্লিক রাস্তার মাথায় একটি ঘরে নিয়মিত জুয়ার আসর বসান। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করি। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমরা শিকদার মল্লিকের রাস্তার মাথায় অবস্থান কালে ওই দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ৯ জন আহত হয়েছেন।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার দিপান্বীতা দেবনাথ বলেন, আহতদের বেধম মারপিট করা হয়েছে।
ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্ববায়ক সোহেল হাওলদারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই রাতে আমরা শিকদার মল্লিক বাজারে সংগঠনের কাজ শেষে ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চঞ্চল ফরিকরা হামলা করে। এতে আমাদের ৩ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মাদ হোসেন জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।