পিরোজপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অফিস কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা দিকে জেলা সদরের পুরানো কাপুরিয়াপট্টি রোডে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এসময় অফিসের চেয়ার, টেবিলসহ ৩/৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ভাংচুরের সময় ৪ নেতাকর্মী আহত হয়। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার (৭ জুন) শহরে ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা হামলাকারী জুম্মনসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দাবি করে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল বলেন, বরিশাল নির্বাচনী কাজে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক ও আমিসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ যাচ্ছিলাম। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর কাছে পৌঁছালে হামলার ঘটনার খবর পাই। ফিরে এসে সিসি টিভি দেখে জানতে পারি হাফিজুর রহমান জুম্মান নামের একজনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার অফিসে হামলা ভাংচুর করে। এসময় আমার ৪ নেতাকর্মী আহত ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পিরোজপুরে বিক্ষোভ
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ কর্মী নওসাদ জুবায়ের ইমন বলেন, আমাকে বেশকিছুদিন ধরে সন্ত্রাসী হাফিজুর রহমান জুম্মান তাদের সমর্থক হিসেবে যেতে বলে। আমি রাজি না হলে ঘটনার আগে পুনরায় ফোন করে আমার অবস্থান জানতে চায়। আমি শহরের সাধনা ব্রীজের কাছে আছি জানালে নওসাদ ব্রীজ সংলগ্ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অফিসে এসে আশ্রয় নেই। এসময় হাফিজুর রহমান জুম্মান ও তার সন্ত্রাসী দল সেখানে তারা গিয়ে আমকে মারধর করে ও চেয়ার, টেবিলসহ ও তিন চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অফিস ভাংচুরের পর উকিল পাড়া হাফিজুর রহমান জুম্মানের অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
হাফিজুর রহমান জুম্মানের অফিস ভাংচুরের ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল বলেন, জুম্মনের অফিসে ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত না। আমার অফিস ভাংচুরের ঘটনা ও নেতাকর্মী উপর হামলা অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাংচুর করেছে।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পিরোজপুর শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।