আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন

৭৪৭ ভোটারের ৭০৪ জনই চান মহিউদ্দিন মহারাজকে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচন। এতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জেলার প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ নির্বাচনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম জেলা পিরোজপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মহারাজের। সাত উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ৭০৪ জন ভোটারই জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারা স্বাক্ষরসংবলিত একটি বইও পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর পিরোজপুরসহ দেশের ৬১টি জেলায়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদেরই জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সে হিসেবে এ বছরের ১৭ এপ্রিল থেকে মহিউদ্দিন মহারাজ পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে বেশির ভাগ জেলাতেই বর্তমান জেলা পরিষদে প্রশাসক, যারা এর আগে গত ৫ বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারাই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন। আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটেই নির্বাচিত হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

পিরোজপুরে মোট ভোটার রয়েছে ৭৪৭ জন। এর মধ্যে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদে ৯টি ইউনিয়নে ১২০ জন, নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদে ইউনিয়ন ১০টি ও ১টি পৌরসভার ১৪০ জন, পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭৯ জন, পিরোজপুর-২ আসন ভান্ডারিয়া সদর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯২ জন, কাউখালী এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় ৫টি করে ইউনিয়নের ৬৮ জন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের ১৩৭ জনই স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন মহারাজকে। মঠবাড়িয়া পৌরসভা থাকলেও সর্বশেষ সংশোধনী আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক পৌর পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখানের ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় আনা হয়নি। স্বাক্ষর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৯৪.২৫ শতাংশ ভোটারই মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে অগ্রিম সমর্থন জানিয়েছেন।

জানা যায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে মহিউদ্দিন মহারাজ পিরোজপুরের সব জনপ্রতিনিধির সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নেন। করোনাকালীন সময়েও ওয়ার্ড পর্যন্ত মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রায় ৭৫ হাজার পরিবারের মধ্যে খাবার উপকরণ বিতরণ করা হয়। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, স্কুল কলেজে বরাদ্দ, প্রায় প্রতিটি উপজেলায় জেলা পরিষদ বাংলো, উপজেলায় জেলা পরিষদ মার্কেট, জেলা সাতটি সীমানা প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত বিশাল সীমানা গেট, নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। যা নজর কেড়েছে পুরো জেলার মানুষের।

এদিকে মহিউদ্দিন মহারাজকে পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান- এমন প্রত্যাশা জানিয়ে বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা তার পক্ষে ব্যানার, পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। কেন লিখিতভাবে আগেই সমর্থন জানালেন এমন প্রশ্ন করা হলে নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অমূল রঞ্জন হালদার জেলা পরিষদের প্রশাসক মহিউদ্দিন মহারাজকে জেলা আওয়ামী লীগের আগামীর কান্ডারি উল্লেখ করে বলেন, শুধু জনপ্রতিনিধি না, যে কেউ সমস্যা নিয়ে গেলে মহারাজ তা সমাধান করে দেন। তাই তাকে সমর্থন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তারা। পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজীদ হোসেন বলেন, মহিউদ্দিন মহারাজের কোনো বিকল্প না থাকায় তারা অগ্রিম তাকে লিখিতভাবে সমর্থন দিয়েছেন। মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত বলেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সব জনপ্রতিনিধির বিভক্তি দূর করে একটি ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই মহিউদ্দিন মহারাজকে দলীয় সমর্থন দেওয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন।

অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই তার জন্য সৌভাগ্যের। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সবসময়ই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পিরোজপুরের সব ইউনিয়নের গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন। আগামী নির্বাচনে জেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে তিনি পিরোজপুরকে দেশের মধ্যে মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

ছয় বছর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম জেলা পরিষদের ভোট হয়। সেখানে মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে সবচেয়ে তরুণ প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ ফোরামেরও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



জামিন পেলেন সাংবাদিক রানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম‍্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার এ জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা আবেদন করেন। তিনি ওই আবেদনের রিসিভড কপি চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন ওই ইউএনও। এ সময় তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিক রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর



ময়মনসিংহে স্থানীয় ৫ পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় স্থানীয় পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৫ মার্চ) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পত্রিকাগুলো হলো দৈনিক মাটি ও মানুষ, দৈনিক ভূ-মণ্ডল, দৈনিক ভোরের অপেক্ষা, দৈনিক উন্নয়ন সংবাদদৈনিক কালের আলো

এর মধ্যে গত ১৪ মার্চ দৈনিক মাটি ও মানুষ, দৈনিক ভূ-মণ্ডল, দৈনিক ভোরের অপেক্ষা, দৈনিক উন্নয়ন সংবাদ এবং ১৮ মার্চ দৈনিক কালের আলো পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করা হয়।

জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, নিয়মিত না ছাপা, সম্পাদক-প্রকাশকের নাম থাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় স্থানীয় পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



ভিকারুননিসায় ভর্তি বাতিল চ্যালেঞ্জ করে ১৬৯ শিক্ষার্থীর আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে চ্যালেঞ্জ করে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৬ মার্চ প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের পর এসব শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা আদালতে দাখিল করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে এই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের প্রতিবেদন অ্যাফিডেভিট আকারে আদালতে দাখিলের পর বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে এই রিট মামলায় ভর্তি বাতিল হওয়া ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে ৩৬ জন পক্ষভুক্তির আবেদন করেছেন। আদালতে স্কুলের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কাজী মাইনুল হাসান বলেন, শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৪ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে পৃথক পৃথক চিঠি দিয়ে ভর্তি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একইসঙ্গে ভর্তি বাতিলের বিষয়টি চিঠি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে অবহিত করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে বিধি বহির্ভূতভাবে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছিল। যাদের জন্মসাল ছিল ২০১৫ ও ২০১৬ সাল। কিন্তু মাউশি প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলেছিল ২০১৭ সালে জন্মসনদ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীরাই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। কিন্তু এই ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ২০১৫ ও ২০১৬ সালের জন্মসনদ দিয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আবেদন করেন। পরে তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালে সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হলো।

চলতি শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে অনিয়ম হয়েছে এবং এই অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মাউশির মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন দেন পারভীন আক্তার নামে একজন অভিভাবক। কিন্তু আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। হাইকোর্ট পারভীন আক্তারের আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে মাউশির মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীর তথ্য চাওয়া হয়। ওই তথ্য পর্যালোচনা করে মাউশি জানতে পারে যে ভিকারুননিসায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থী বিধি বহির্ভূতভাবে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। এরপরই এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের জন্য ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীকে ২২ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেন মাউশির মহাপরিচালক।


আরও খবর



পুলিশের হাতে আটক ‘বিগ বস’ তারকা মুনাওয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না বিগবস-১৭ বিজয়ী মুনাওয়ার ফারুকির। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগে এর আগেও তাকে জেলে যেতে হয়েছে। এবার মুম্বাইয়ের হুক্কা বারে গিয়ে আটক হয়েছেন পুলিশের হাতে। সম্প্রতি বিগবস ওটিটি ২’র বিজেতা এলভিশ যাদব গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাপের বিষ পাচারকাণ্ডে। এবার এক হুক্কা বারে হানা দিয়ে মুনাওয়ারসহ ১৪ জনকে আটক করল পুলিশ। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে মুম্বাই পুলিশ।

সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের ফোর্ট এলাকার বোরা বাজারে অবস্থিত এই হুক্কা বারটি বেআইনিভাবে চলছিল, এমন খবর পায় মুম্বাই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চ। হার্বাল হুক্কার নাম করে মাদক মেশানো হুক্কা দেদার বিকোচ্ছে সেখানে, এমনই অভিযোগ ওই বারের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেখানে রেইড দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গভীর রাতে হানা দিয়ে ৪ হাজার ৪০০ টাকা নগদ এবং ১৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৯টি হুক্কা খাওয়ার পাত্র জব্দ করেছে মুম্বাই পুলিশ।

বিবৃতিতে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, হানার পর দেখা যায়, অভিযোগ সত্যি। সেখানে মাদক মেশানো হুক্কাই বিক্রি হচ্ছিল। যা সিগারেট ও অনান্য টোবাকো প্রোডাক্ট আইনের আওতায় পড়ে।

ইতিমধ্যেই ওই হুক্কা বারের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে আটক করে মুনাওয়ারসহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগেই এলভিশ যাদবের প্রতি সমবেদনা জাহির করে সমালোচিত হয়েছিলেন মুনাওয়ার। ২০২১ সালে প্রায় এক মাস ইন্দোর সেন্ট্রাল জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। এক কমেডি শো-তে হিন্দু দেবী-দেবতাদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। একমাস পর জামিনে ছাড়া পান তিনি।

এরপরই কঙ্গনা রনৌতের লক আপ’ শো-তে অংশ নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন এই স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান। সেই শোয়ে বিজয়ীও হন। বিগ বসের সদ্য সমাপ্ত সিজনেও শুরু থেকেই নজর কেড়েছেন মুনাওয়ার। খেতাবও জেতেন তিনি।


আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৫ হাজার অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসন, শ্রম ও নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘনের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (০৩ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অভিযানে ১৪ হাজার ৯৫৫ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৯ হাজার ৮০ জনকে, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনের তিন হাজার ৮৮ জন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুই হাজার ৭৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগে ইয়েমেন ও ইথিওপিয়ার নাগরিক। অভিযানে অবৈধ উপায়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টার অভিযোগে আরও ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অভিযান চলাকালে আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৫৭ হাজার ৭৮৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া তাদের প্রত্যাবাসনেরও চেষ্টা চলছে।

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থেকে ৫২ হাজার ৪০১ জনকে দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার ২৫৬ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরও এক হাজার ৭৬৩ জনকে ফেরত পাঠাতে নথিপত্র চূড়ান্ত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে। সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি সরকার এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।


আরও খবর