আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার অল্পদিনের মধ্যে শেষ হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার অল্পদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত পিলখানার শহিদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরাও চাই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ দ্রুত হোক। তবে কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটিই চূড়ান্ত। আমাদের আদালত স্বাধীন, তারা একটি ন্যায্য বিচার করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, এখানে কারও গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরনের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরনের বিচারকার্য ছিল। এই সবগুলোতেই সময় লেগেছে। পিলখানায় একটি বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। বিচারের জন্য এর তদন্ত শেষ করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড, যা শেষ হয়েছে। প্রাথমিক একটা বিচার হয়েছে। চূড়ান্ত বিচারও হয়তো অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পুরো বিষয়টি বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে। শিগগির চূড়ান্ত বিচারটিও দেশবাসী দেখবে।

এর আগে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহিদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদত বরণকারী সেনাকর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ছাড়াও শহিদ পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এদিন প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপ্রধানের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সরকারপ্রধানের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গরমের কারণে স্কুল শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া: বাইডেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ এক মতামত কলামে বাইডেন লিখেছেন, এই দুটি দেশ নিজেরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম, কিন্তু সেটা করতে তারা সমরাস্ত্র সহ আমেরিকান সাহায্যর উপর নির্ভর করে।

ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য সিনেটে পাস হওয়া সাহায্য প্রস্তাবকে বাইডেন শক্তিশালী এবং বিচক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, রিপাবলিকান দলের হাউস সদস্যদের ছোট একটি উগ্রবাদী গ্রুপের উচিত হবে না এই প্রস্তাবকে আটকে রাখা।

জার্নাল পত্রিকায় বাইডেন যুক্তি দেন যে এই সাহায্য ইউক্রেনের দরকার, যাদের গোলা-বারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের ড্রোন আক্রমণের পর ইসরাইলের সাহায্য দরকার।

তবে তিনি বলেন, এই সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও একই গুরুত্ব বহন করে।

বাইডেন বলেন, ইউক্রেন এবং ইসরায়েল দু’দেশই নির্লজ্জ প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে, যারা তাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। পুতিন ইউক্রেনের জনগণকে বশে এনে নতুন রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে চান। ইরানের সরকার ইসরাইলকে চিরতরে ধ্বংস করে বিশ্বের মানচিত্র থেকে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র মুছে ফেলতে চায়। এরকম ফলাফল আমেরিকার কখনোই মেনে নেয়া উচিত না। এটা শুধু আমাদের মিত্রদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যই নয়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাও এখানে জড়িত আছে।

তিনি রিপাবলিকানদের অভিযোগ, যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে টাকা খরচ করার সামর্থ্য আমেরিকার নেই, তার জবাবে বলেন, এই সাহায্য একটি সাদা চেক’ হিসেবে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য সমরাস্ত্র কারখানা তৈরি করা হবে আমেরিকায়।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে কর্মমুখর তাঁতপল্লী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লীগুলো। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁত শ্রমিকরা। অন্যান্য সময় কিছুটা মন্দাভাব থাকলেও এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন রং এবং সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ লাভ পাচ্ছেন না তারা।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাউইতরা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে  জামদানি, সামার, জলছাপ, কাতান তৈরি করছেন তাঁতীরা। এই সব শাড়ী জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিনই খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে ভিড় করছেন তাঁত কাঁরখানাগুলোতে।

তাঁত ব্যবসায়ি আব্দুল গফুর জানান, বছরের অন্য সময় তেমন কাজ না থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে আমাদের কাজ অনেক বেড়ে গেছে। এবার অর্ডারও বেশি কাজও বেশি।

তাঁত শ্রমিক মোতালেব হোসেনসহ আরো কয়েকজন শ্রমিক জানান, কয়েকদিন হল আমাদের কাজ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছে। আশা করছি এবার আমাদের কাজে বেশ লাভবান হতে পারবো। আমরা রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

বেলকুচি উপজেলা হস্ত ও পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ রায় জানান, এবার আমাদের ঈদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। তবে রং ও সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ লাভ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। তারপরও আমরা আশাবাদী এবার ঈদে ভালো ব্যবসা হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁতশিল্পের উপর ১৪ হাজার ৮৭০ টি পরিবার নির্ভরশীল।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর চার প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের এ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়া আরও দুই নারী এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মারা যাওয়া নারীদের মধ্যে দু-একজনের স্বজনদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে আইভি স্যালাইন দেওয়ার পর ছয় নারীর একই রকমের শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। অপারেশনের পরে ধীরে ধীরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কমে যায় কিডনির কার্যক্ষমতা, হার্টে দেখা দেয় ব্লক। এতে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আরও দুইজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সূত্রটি মৃত নারীদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালের ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেনকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে কমিটি হয়েছে। তারা কাজ করছেন।

বেসরকারি এই হাসপাতালটির ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. সুজন আল হাসান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ওই স্যালাইন পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটা শুনলাম, সেটাও অন্য মাধ্যমে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা সব তথ্য চেয়েছি হাসপাতাল থেকে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। হাসপাতালের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবির বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে ঘটনাটি না জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্যায় করেছে। এটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। আমাদের জানানো উচিত ছিল। আমরা জানতে পারলে আমাদের মতো করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তারা কেন আমাদের কাছে এটা লুকিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর