আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পেট্রলশূন্য ফিলিং স্টেশন, খোলা বাজারে প্রতি লিটার ১৪০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রল ও অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে বিশেষ করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা। কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে অকটেন পাওয়া গেলেও ১০০ টাকার বেশী দেওয়া হচ্ছে না। এক ফিলিং স্টেশন থেকে আরেক ফিলিং স্টেশনে গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না তেল। ফিলিং স্টেশন গুলোতে পেট্রল অকটেন না থাকলেও খোলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বকসের হাট, রাজাগাঁও ঢোলারহাট ও ভগদগাজী বাজারে বোতলে করে বিক্রি করা হচ্ছে পেট্রল ও অকটেন। দুদিন আগেও যে তেলের বোতলটি বিক্রি হতো ১০০ টাকায় একই বোতলের দাম এখন ১৪০ টাকা। প্রতি লিটারে খোলা বাজারে ৪০ টাকা অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

একদিকে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি, অপরদিকে জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত মূল্য। উপায় না পেয়ে চড়া দামে পেট্রল ও অকটেন কিনতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের।

খোলা বাজারে তেল কিনতে আসা মোটরসাইকেল চালক আরিফ হোসেন বলেন, শহরের ফিলিং স্টেশনগুলোতে তেল পেলাম না। গাড়িতে তেল প্রায় শেষ। আরও ত্রিশ কিলোমিটার গাড়ি চালাতে হবে৷ খোলা বাজারে কিনলাম এক বোতল ১৪০ টাকা দামে৷ এক লিটার তেলে চল্লিশ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনতে হলো। উপায় না পেয়েই কিনেছি৷ বাসায় যেতে হবে এজন্য। আরেক ক্রেতা আনোয়ার বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো, এবার পেট্রল অকটেন এর বাড়ানোর জন্য মিলছেনা। পাম্পে পেট্রল আর অকটেন নেই। তাহলে খোলা বাজারের দোকানদারেরা কোথা থেকে পাই? বোতলে করে বিক্রি করে তাও আবার ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকা বেশীতে। আমি বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তেল বিক্রেতা জানান, আমার কাছে ৫০ লিটার পেট্রল রয়েছে। আমি একজনের কাছে প্রতি লিটার একশো বিশ টাকা করে কিনেছি। আমার যাতায়াত খরচ ও লাভসহ আমি প্রতি লিটার একশো চল্লিশ টাকা করে বিক্রি করছি। যারা বোতলে করে বিক্রি করছে তারা সবাই এইরকম দামে বিক্রি করছে পেট্রল ও অকটেন৷

ফিলিং স্টেশনগুলোতে কবে নাগাত পেট্রল ও অকটেন পাওয়া যাবে এ প্রশ্নের জবাবে ঠাকুরগাঁও পেট্রল পাম্প অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক জানান, ডিপোতে গাড়ি পাঠানো হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ ভোগান্তি দূর হবে বলে আমরা আশা করছি৷

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী জানান, আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। যারা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷


আরও খবর



‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়’

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি। রোববার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধীতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কী সম্ভব?

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কি না!

একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কি না; তা বলবো কী করে, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এখন আমীর খসরু বলেন একটা, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খান বলেন ভিন্ন কথা।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কি না; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।

ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। নেজামকে এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা‌বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব এবং অপহৃত ম্যানেজার নেজামের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ম্যানেজার নেজাম চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সন্ত্রাসীরা ভোল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। ম্যানেজার তাদের জানায়, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর তার চোখ বেঁধে ফেলে।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা তাকে পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে র‍্যাবকে জানান নেজাম উদ্দীন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং অন্ধকারে চলার জন্য তার হাতে একটি বাটন মোবাইল সেট ধরিয়ে দেয়। এভাবে প্রথম রাত কেটে যায়।

অপহরণের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজারকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয় এবং পায়ে হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান ৩০-৩৫ জনের একটি দল ম্যানেজারকে কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে খেতে দেয়। সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন অবস্থানে ম্যানেজারকে ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সেখানেই তাকে রাখা হয়। রাতে ম্যানেজারকে ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে সদ্য রান্না করা ভাত খেতে দেয়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা নিজেদের মধ্যে বম ভাষায় কথা বললেও ম্যানেজারের সাথে কথা বলার সময় তারা শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করতো।

সূত্র জানায়, ২-৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেজামকে সবসময় ঘিরে রাখতো। এছাড়া ১২-১৩ জনের একটি গ্রুপ তার আশেপাশে অবস্থান করতো। দ্বিতীয় দিন বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি মাচাং ঘরে (টং ঘর) কড়া সশস্ত্র প্রহরায় ম্যানেজারের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নেজামকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং তিনি যেন প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা না নেন, সে বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

পরিবারের সাথে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ফোন কলের সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে র‌্যাবের যোগাযোগ।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রুমা উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে তাদেরকেও র‌্যাবের একটি গাড়িতে চড়িয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে আসা হয় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে।


আরও খবর



হারের খুব কাছে থেকে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে হারের খুব কাছে থেকে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। লংকানদের দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। জিততে হলে বাংলাদেশের এখনও ২৪৩ রান করতে হবে। শ্রীলংকার চাই ৩ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দলীয় দশম ওভারে ২৪ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় বোল্ড হন প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাকির হাসান (১৯)। এরপর লাহিরু কুমারা বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২০)।

মুমিনুল হক হাফসেঞ্চুরি করে আর টিকতে পারেননি। ৫৬ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় দ্রুত ৫০ করে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তারা পঞ্চম উইকেটে ৯৯ বলে ৬১ রান তোলেন।

তবে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাকিব। এরপর লিটনও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। কুমারার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৭২ বলে ৩৮ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তরুণ শাহাদাত হোসেন ১৫ রান করে কামিন্দুরি বলে আউট হন।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৯ বলে ৭টি চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তাইজুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

শ্রীলংকার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন লাহিরু কুমারা, জয়সুরিয়া ও মেন্ডিস।

এর আগে শ্রীলংকা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে জিততে হলে বাংলাদেশকে ৫১১ রান করতে হবে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিফটি করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দিনের শুরুতে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। ম্যাথিউস ৭৪ বলে ৫টি চারে ৫৬ রান করেছেন।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলংকা। তাতে গতকালই লংকানদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৪৫৫ রান।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটিংয়ে নিজেদের হতশ্রী অবস্থা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার করা ৫৩১ রানের জবাবে মাত্র ১৭৮ রানে হয়েছে অলআউট।


আরও খবর



২৩৮ বার হেরেও ফের নির্বাচনে লড়বেন পদ্মরাজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ২৩৮ বার হারার পরও ফের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন ভারতের তামিলনাডুর এক ব্যক্তি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। ৬৫ বছর বয়সি ঐ ব্যক্তির নাম কে পদ্মরাজন।

তার টায়ার মেরামতের একটি দোকান রয়েছে। তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়া শুরু করেন ১৯৮৮ সালে। ঐ বছর তামিলনাড়ুর মেটুর থেকে নির্বাচন করেন। যখন তিনি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন তখন অনেকে হাসাহাসি করেন।

তবে পদ্মরাজন প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, সাধারণ মানুষও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। পদ্মরাজন বলেছেন, সব প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে জয় পেতে চায়। কিন্তু আমি নই। আমার জন্য জয় হলো নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমি হারলেও খুশি।’

এবার তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। পদ্মরাজনকে ইলেকশন কিং’ নামে অভিহিত করে থাকেন তার পরিচিতজনরা। তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল থেকে শুরু করে স্থানীয়সহ সব নির্বাচন করেছেন।

নির্বাচনে তিনি হেরেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ও মনমোহন সিংয়ের কাছে। এছাড়া কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও নির্বাচন করেছেন তিনি।

পদ্মরাজন জানিয়েছেন নির্বাচনে জয় পাওয়াটা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূলত নিজের পরাজয়ের তালিকা দীর্ঘ করার লক্ষ্যই এখন তার। এছাড়া কার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন সেটি নিয়েও তার কোনো চিন্তাভাবনা নেই। পদ্মরাজন বলেছেন, জয় হলো অপ্রধান। বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী যে-ই হোক, আমি পরোয়া করি না।’


আরও খবর



রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর