আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পেট থেকে বের হলো আস্ত মদের বোতল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রচণ্ড পেটব্যথার কারণে চিকিৎসকের কাছে যান এক ব্যক্তি। ব্যথার কারণ শনাক্তে চিকিৎসক তাকে শারীরিক পরীক্ষা করাতে বলেন। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির পেটের ভেতরে রয়েছে আস্ত একটি মদের বোতল। অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে নেপালে।

দেশটির রাউতাহাত জেলার গুজরা পৌরসভার বাসিন্দা নুরসাদ মানসুরি (২৬) । প্রচণ্ড পেটব্যথা নিয়ে তিনি স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তিতে পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, পেটের ভেতরে থাকা মদের বোতলের জন্য প্রচণ্ড পেটব্যথায় ভুগছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নুরসাদের অস্ত্রোপচার করা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

নুরসাদের অস্ত্রোপচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আস্ত একটি মদের বোতল পেটে নিয়ে ঘুরছিলেন নুরসাদ। এ জন্য পেটে ব্যথা ছিল তার। বোতলটি তার অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে। অস্ত্রোপচারের পর এখন নুরসাদ শঙ্কামুক্ত।

কিন্তু একটি মদের বোতল কীভাবে নুরসাদের পেটের ভেতর গেল, এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবাক করা এ ঘটনা পুলিশ পর্যন্ত গিয়েছে। কারণ খুঁজতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, মদের আসরে হয়তো বন্ধুরা নুরসাদের সঙ্গে এমন কাণ্ড করেছেন। মাতাল করে জোরপূর্বক নুরসাদের মলদ্বার দিয়ে মদের বোতলটি ঢোকানো হয়েছে।

এ সন্দেহ থেকে পুলিশ নুরসাদের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সন্দেহভাজন হিসেবে শেখ শামিম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শামিম নুরসাদের বন্ধু। এ বিষয়ে রাউতাহাতের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বীরবাহাদুর বৌদ্ধ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব। শামিমসহ নুরসাদের সব বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


আরও খবর



ইসরায়েলের খেজুর বয়কট করছে মালয়েশিয়া–ইন্দোনেশিয়ার মানুষেরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে অনেক দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করছেন। এই তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় দুটি দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দেশ দুটির বেশির ভাগ মানুষই ইসরায়েল থেকে আমদানি হওয়া খেজুর কেনা বর্জন করেছেন।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক ব্যক্তিকে ভুল লেবেলে ইসরায়েলি খেজুর বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কাস্টমস বিভাগ। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম নেতারা দেশটির জনগণকে ইসরায়েলি পণ্য আমদানি বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরু করলে এর প্রতিবাদে বিশ্বের অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশর জনগণ ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে শুরু করেন। এর মধ্যে পবিত্র রজমান মাস শুরু হওয়ায় মুসলিম অধ্যুশষিত অঞ্চলগুলোতে ইসরায়েলি পণ্য, বিশেষ করে খেজুর বর্জন করার প্রবণতা বেড়েছে।

গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গত পাঁচ মাসে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন আরও বেগবান হচ্ছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ফলে মালয়েশিয়ায় ইসরায়েলি পণ্য বর্জন ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে। ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক কোম্পানির বেচাবিক্রিতে ভয়াবহ ধ্বস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্টারবাকসের মালয়েশিয়া শাখা ধনী গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের ফন্দিফিকির করছে। ম্যাকডোনাল্ডস এরই মধ্যে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়াতেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ইসরায়েলি খেজুর বর্জনে প্রচারণা চলছে। দেশটির সামাজিক চ্যাট গ্রুপগুলোতে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, ইন্দোনেশিয়ায় ইসরায়েলি খেজুর বেনামে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব খেজুর বর্জন করুন।

গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের ক্লাং পোর্টে একটি খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়। সে সময় দেশটির অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক মন্ত্রী আরমিজান মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অব ওলেমা (এমইউআই) এবং বৃহত্তম মুসলিম গণ সংগঠন নাদহাতুল উলেমা ইসরায়েল থেকে আমদানি করা খেজুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

নাদহাতুল উলেমার চেয়ারম্যান আহমেদ ফাহরুর রোজি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি দেখানোর এটাই (ইসরায়েলি পণ্য বর্জন) সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ পথ।


আরও খবর



ম্যাজিস্ট্রেট দেখেই দাম কমলো বেগুন-আদার!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বিভিন্ন হাট-বাজারেও বেড়েছে আদা ও বেগুনের দাম। শহরের নতুনহাট পাইকারী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা ২০০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকা কেজিতে আদা ও বেগুন ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু করেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে শহরে নতুনহাট বাজারে অভিযানের মুহূর্তে সাধারণ ক্রেতারাও আদা ও বেগুন কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় খুচরা বাজারে আদা ২০০ টাকা ও বেগুন ৪০ টাকা বিক্রি নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুব।

তিনি আরও জানান, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট বন্ধ করার লক্ষ্যে যৌক্তিক পণ্যের দাম নির্ধারণ হয়। দ্রব্যমূল্য যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে ক্রেতারা বা ভোক্তারা যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দামে সকল প্রকার পণ্যে বিক্রি করতে না পারেন এটি নিশ্চিত করতে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালেহীন তানভীর গাজী স্যারের নির্দেশনায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরে আলোচিত নৌকার এজেন্ট ও জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত ফয়সালের বাবা মোহাম্মদ মোফাজ্জল আকন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলো- প্রধান আসামি উত্তর নামাজপুরের লিটন শিকদারের ছেলে মিজান শেখ, পার কুমারখালীর দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন শেখ, ভাইজোড়া এলাকার জব্বার ফকিরের ছেলে সাইদুল ফকির, উত্তর নামাজপুরের আব্দুল মোতালেবের ছেলে আল-আমীন, একই এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে সোহেল হাওলাদার, মোহাম্মদ আউয়ালের ছেলে মোহাম্মদ হাসান, একই এলাকার সোবহান সিকদারের ছেলে জুয়েল সিকদার। এছাড়া অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার ৭ নং আসামি জুয়েল সিকদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন>> মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতির উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পিরোজপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নামাজপুর এলাকায় ফয়সাল আকনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আউয়ালের ঈগল প্রতীকের সমর্থক (ক্যাডার) মিজান শেখ, জামাল শেখ, সাইদুল ফকির, আল-আমীন, সোহেল হাওলাদার, মোহাম্মদ হাসান ও জুয়েল সিকদারসহ আরও ৭/৮ জনের সন্ত্রাসী দল ধারালো দা, চাইনিজ কুড়াল, জিআই পাইপ ও লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

এতে ফয়সালের মাথা, গাল, পিঠের নিচের অংশ ও হাতের আঙ্গুল গুরুতরভাবে জখম হয় এবং পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফয়সালকে খুলনা প্রেরণ করে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহতের ঘটনায় পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আহতের পিতা মোহাম্মদ মোফাজ্জল আকন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আমরা ৭ নং আসামি জুয়েল সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



বগুড়ায় প্রায় ৬০ মেট্রিক টন মধু আহরণের লক্ষ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় তিন কোটি টাকার ৬২ মেট্রিকটন মধু উৎপাদন হয়েছে। তবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা মূলের ৬০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বগুড়া বেসরকারিভাবে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি রবি মৌসুমে সরিষা থেকে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করেছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে মধু উৎপাদনের লক্ষ্য থাকলেও কয়েক বছর তা বন্ধ আছে। এরপরেও বিসিক বগুড়া নানাভাবে মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোক্তদের সহযোগিতা করে আসছে।

এরমধ্যে অন্যতম হলো সরিষা থেকে সংগৃহীত মধু। এছাড়া লিচু ও কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করবেন মৌমাছি প্রতিপালনকারী উদ্যোক্তরা।

বিসিক সূত্রে আরও জানা গেছে, সরিষা ফুলে উৎপাদিত মধুর কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লিচুর মধু ৫০০ এবং কালোজিরা থেকে উৎপাদিত মধু বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি মধুর গড় দাম ৪শ টাকা ধরলে বগুড়ায় এ মৌসুমে উৎপাদিত মধুর মূল্য দাঁড়ায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া সূত্র বলছে, গত বছর রবি শস্য চাষ মৌসুমে সরিষার ফুল থেকে সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়। আর চলতি মৌসুমে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

মোট ১৪২ জন উদ্যোক্ততা বগুড়ার মাঠে থাকা সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহে তাদের প্রতিপালিত মৌমাছি নিয়ে কাজ করছেন।

মধু উৎপাদনকারী উদ্যোক্তরা বলছেন, সরিষা চাষ মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল থাকতে হয়। আগাম ও নাবী সরিষা চাষের ফলে প্রায় তিন মাস শুধু সরিষার ফুল থেকে সর্বাধিক পরিমাণ মধু সংগ্রহ হয়। সরিষার পর বরই, আম, লিচুর ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ হয়।

শীতকালে কালোজিরা, জ্যৈষ্ঠ মাসে তিল ও বাদাম ফুল থেকে শেষ মধু সংগ্রহ করা হয়। ৫০টি মৌবাক্স থেকে প্রায় ১১০ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। মধু সংগ্রহ করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। বছরের প্রায় ছমাস মধু সংগ্রহ করা গেলেও আষাঢ় থেকে অগ্রহায়ণ এই ছমাস মৌমাছিকে বিকল্প খাবার দিতে হয়।

দুই ভাগ চিনি ও এক ভাগ পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করে মৌমাছির বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। ফাউল ব্রুড রোগ মৌমাছির একটি মারাত্মক ব্যাধি। এছাড়াও আরও কিছু সংক্রামক রোগ ও উপদ্রবের কারণে মৌচাক নষ্ট হয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-সহকারি পরিচালক ফরিদুর রহমান বলেন, সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহ করতে জেলায় ১৪২ জন উদ্যোক্তা কাজ করছেন। গত বছর সাড়ে ১৭ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হলেও এবার ৩০ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের ফলে ফলনও বাড়ে।

বিসিক জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম মাহফুজুর রহমান বলেন, মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিসিক বগুড়া জেলা কার্যালয় নানাভাবে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে বাজারজাতকরণে বিসিকর খাঁটি মানের নিশ্চিয়তা ও বিভিন্ন মেলাতে স্টল বরাদ্দে ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও মধু চাষে মৌমাছি প্রতিপালন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মধু উৎপাদনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ আছে। তবে খুব দ্রুতই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে আবারও সরকারিভাবে মধু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



জবির হোস্টেল ছেড়েও রেহাই পাননি অবন্তিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এরপরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

গতকাল শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাঁকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


আরও খবর