আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম
খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পেরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পেরুতে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোর নেতৃত্বাধীন সরকার বিক্ষোভ দমনে এক মাসের জন্য এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। খবর আল-জাজিরার।

জানা গেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর থেকে দেশটিতে বেড়ে গেছে সব পণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম। এরই প্রতিবাদে সপ্তাহব্যাপী শত শত ট্রাক শ্রমিক ও খামার শ্রমিকরা সারাদেশে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি অবস্থা জারির পর পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। পরে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও ফের সে ঘোষণা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট।


আরও খবর



বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

কাল ভোট, কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে দুইটি উপজেলা (বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর)। এ নির্বাচন উপলক্ষে দুটি উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর থেকে স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্বাচনী মালামাল বুঝে দেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হয় ভোট কেন্দ্রে।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে- দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন।

আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মঞ্জুরুল হাসান।

তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মতলব উত্তরে ভোটে জয়ী হতে মরিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

ভোটে জয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ৩ জনই এখন ভোটের মাঠে একে আপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জোড়ালো প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের সাবাই। মাঠের রাজনীতিতে কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা প্রমাণিত হবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে প্রতীক নির্ধারণের পর উপজেলা জুড়ে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। স্ব-স্ব অনুসারী নিয়ে মিছিল মিটিং করছেন প্রার্থীরা। সব প্রার্থীদের দৃষ্টি ভোটারদের দিকে। নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রার্থী তালিকায় থাকা সম্প্রতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অন্যদের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও সরব ভূমিকা পালন করছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া সেই প্রচারণা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও জনমনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবসেও জনগণের প্রতি বার্তা প্রদান করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরব থাকেন এই প্রার্থী। বর্তমান সময়ের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জনগণের প্রতি নানা পরামর্শমূলক পোস্ট করে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করেন দীর্ঘ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ফলে তার জন সম্প্রিক্ততা রয়েছে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।

অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্বে থাকা মানিক দর্জি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদে থাকলেও রাজধানীতে থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততায় পার করেন তিনি। নিজস্ব শিল্প কারখানায় তৈরী পণ্য রাজধানীর নিউমার্কেট, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় হতে এবারের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনি।

নির্বাচনী মাঠ স্বাভাবিক আছে জানিয়ে মানিক দর্জি জানান, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, কোন ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হইনি।

আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে জড়িত আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদ ও স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল জনগণের সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌছেঁ দিতে সক্ষম হব। নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথাও জানান।

নির্বাচনী মাঠ নিয়ে অন্যদের কোন অভিযোগ না থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন ২৪ এপ্রিল তার লোকজনের উপর চেয়াম্যান প্রার্থী মানিক দর্জির লোকজন হামলা করেছে এমন অভিযোগ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদের কার্যালয়ে জমা দেন।

গাজী মুক্তার হোসেন বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমার লোকজনের উপর হামলা করা হচ্ছে, আমার বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি আইনী ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বলেন, আমার দরজা জনগণের জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে জনগণ আমাকে সবসময় কাছে পাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ জানান, মতলব উত্তরে সর্বমোট ৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


আরও খবর



ইসরায়েলকে গাজায় অভিযানের ‘অজুহাত’ দিয়েছে হামাস : মাহমুদ আব্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম সামরিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি হামাসকেও দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর অজুহাত দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চলের দেশগুলোর জোট আরব লীগের ৩৩তম সম্মেলন শুরু হয়েছে বাহরাইনের রাজধানী মানামায়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টও সেই সম্মেলনে গিয়েছেন। সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তব্যে মাহমুদ আব্বাস বলেন, হামাস সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল, সেটিই আসলে ইসরায়েলকে গাজায় এই দীর্ঘ সামরিক অভিযানের অজুহাত তুলে দিয়েছে। এবং শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে সমর্থন করেছে। তাদের কাছে এই অভিযান ন্যায্য এবং এই ন্যায্যতার ভিত্তিও হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা।

জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম তিন ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ক্ষমতাসীন রয়েছে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সরকার, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে পিএকেই স্বীকৃত দেয় বহির্বিশ্ব।

একসময় গাজায় উপত্যকায়ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করে কট্টর ইসলামপন্থি সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যকার সম্পর্ক চরম বৈরী। এর প্রধান কারণ ফাতাহ নিয়নতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন চালিয়ে নিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে হামাস বিশ্বাস করে, সশস্ত্র পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংসের ভিত্তিতেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে। ইতোমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে আর্থিক সহায়তা প্রদান কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ফলে গত কয়েক মাস ধরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস।

ধনী আরব রাষ্ট্রগুলোকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। আরব অঞ্চলের নিরাপত্তা, ফিলিস্তিনের স্থিতিশীলতা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তাদের সরকারি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য এখন সহায়তা জরুরি।  আমি আরব লীগকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।'


আরও খবর



যেখানেই দুর্যোগ-দুর্ভোগ, সেখানেই আ.লীগ : রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে যেখানেই দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সেখানেই আওয়ামী লীগ। আজকে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় সমস্ত কিছু ভরাট করা হচ্ছে। কার স্বার্থে ভরাট হচ্ছে? আওয়ামী ভূমিদস্যুদের স্বার্থে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে যুবদলের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু মারা গেছে। মহিলাসহ প্রায় বিশজন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কি দায় নেই? আপনি কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবন উজাড় করার ষড়যন্ত্র করছেন। দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের সব উজাড় করে দিচ্ছেন। সেখানে ফল হয় না, এটাতো আপনার কারণে। যেখানেই দুর্নীতি ও লুটপাট সেখানেই আওয়ামী সরকার। আজকে ব্যাংক, বিমা সর্বত্র হরিলুট চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা না কি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে থু থু দিয়ে ইটের দালান গড়া যায় না। যেটা শেখ হাসিনা করেছেন গত কয়েক বছর ধরে। আজকে দেশে কর্মসংস্থান নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহর অভিশাপ। এই ভয়ংকর অগ্নিবর্ণরূপ বাংলাদেশের প্রকৃতি। এরমধ্যেও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের নীল নকশা থামছে না। সেজন্যই যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হলো। এর আগে অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি মিছিল নিয়ে গেলে বামে-ডানে পুলিশ বাধা দেয়। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আজকে প্রতিবাদও করা যাবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। কই ব্যাংক লুটেরা ও ভূমি দস্যুদের তো বাধা দেন না। এই দায়িত্বও তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ আপনারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে বাধা দেন! তাদের মিছিল দেখলে ও স্লোগান শুনলে আপনারা বাধা দেন। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় প্রতিটি আঘাত আপনাদের দিকে ফিরে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যায়-অবিচার না থামালে আপনাদের দিকেই ফিরে যাবে।

এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে যুবদল নেতারা বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।

মিছিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, দীপু ভুঁইয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, জব্বার খান, করিম সরকার, আলমগীর হাসান সোহান, তানভীর আহমেদ সোহেল, আজিজুল হক আকন্দ, মাসুদ পারভেজ, পার্থদেব মণ্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাজেদুর রহমান রুমন, মেহেদী হাসান জুয়েলসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বুধবার (১৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, বুধবার ইসলামাবাদে ইমরান খান জমি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে অন্য দুই মামলায় জামিন না মেলায় তাকে এখনো কারাগারে থাকতে হবে। জেল থেকে বের হতে পারবেন না তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জমি উপহার নেন। তবে ইমরান খানের দাবি, তিনি কোনো ভুল করেননি। এজন্য তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আরও দুই মামলায় জামিন না মেলায় ইমরান খানকে কারাগারে থাকতে হবে। এর একটি হলো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস এবং অন্যটি হলো ইসলামী আইন লংঘন করে বিয়ে করা।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে দুই মামলার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাগারে রয়েছেন। ২০১৮ সালে বেআইনিভাবে ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ এনে কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।


আরও খবর