ছোট ভুলের জন্য
সারাদেশে কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক করেছেন
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহার হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে
ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনে তিনি ডিসিদের
এ সতর্কবার্তা দেন।
অধিবেশন শেষে
ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে ১৩টি প্রস্তাব পাঠান। তার উত্তর আমরা দিয়েছি।
তাৎক্ষণিকভাবে আরও ১২টি প্রশ্ন তারা করেছিলেন। একজন ডিসি বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে
যে ডোম থাকে একটা লাশ কাটার জন্য, মাত্র ৬৫ টাকা দেওয়া হয়। তাদের টাকাটা বাড়ানোর
বিষয়টি যৌক্তিক। একজন ডোম থাকেন এবং তিনি পুরুষ। যখন নারীর মরদেহ আসে তখন তার জন্য
নারী ডোম থাকার প্রয়োজন। খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি, বলেছি যে
বিষয়টি অবশ্যই দেখব, কীভাবে বাড়ানো যায়।’
এবারের ডিসি
সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের পর প্রথম জেলা প্রশাসক
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী খুব চমৎকারভাবে বার্তাগুলো দিয়েছেন।
আমরা আলোচনা করেছি মানসম্মত সেবাটা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চাচ্ছি সেবার মান
আরও কীভাবে বাড়াতে পারি।’
তিনি বলেন,
‘আমাদের
অভিযোগের জায়গাগুলো পয়েন্ট আউট করেছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচের তলায় বিআরটিএর
অফিস আছে এবং সে অফিসে দুর্নীতি আছে, জেলা প্রশাসক জানেন না। আমি বলেছি যে প্রত্যেকটা
বিষয় আমাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। আমাদের মনিটরিং বাড়াতে হবে। যে জায়গাগুলোতে অভিযোগ
আছে সেই জায়গাগুলোয়।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী
বলেন, ‘আমরা তাদের (ডিসি) বলেছি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের পরিদর্শন
আরও বাড়াতে হবে যাতে করে আমাদের লেখাপড়ার মান আরও উন্নত করতে পারি। মফস্বল এবং ইউনিয়ন,
গ্রাম সব জায়গায়। হাসপাতালের পরিদর্শন বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন,
‘আমাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেগুলো যেন নিবিড়ভাবে
মনিটরিং করা হয়। এমনভাবে তা করতে হবে যেন সমস্যা তৈরি না হয়। মোবাইল কোর্ট থাকবে,
কিন্তু কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী
বলেন, ‘আমরা সতর্কও করে দিয়েছি যে, ছোট ভুলের জন্য সারাদেশে কর্মকর্তারা যেন
বিব্রত না হন। এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’
কোনো ডিসি মাঠে
রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাজের সঙ্গে আমাদের
রাজনীতিবিদের কাজের কোনো জায়গায় সাংঘর্ষিকতা নেই। তবে আমরা বলেছি কোনো জায়গায় সমস্যা
হলে তারা বিভাগীয় কমিশনারকে জানাবেন, সমাধান না হলে আমাদের সঙ্গে বা জনপ্রশাসনের সঙ্গে
আলাপ করবেন। আমরা যথাযথভাবে সমাধান দিতে পারব। এই খবরগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। এখন
জেলা প্রশাসক এবং রাজনীতিবিদদের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’