আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পেকুয়ায় পৃথক অভিযান : ৮ পল্লি চিকিৎসক আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮ পল্লি চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুল মাজেদ চৌধুরী ও পেকুয়া থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- পল্লি চিকিৎসক ওসমান গনি, নুরুল কবির, আব্দু রাজ্জাক, শমির কান্তিনাথ, সোহেল আহমদ, জাফর আলম, গণেশ কুমার সুশীল ও নুরুল কাদের। হাজীবাজারের ওসমান গণি ও নুরুল কবির।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা জানান, আটককৃতা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চেম্বার বসিয়ে নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। অপচিকিৎসার শিকার হয়ে অনেক রোগীকে মৃত্যু ঝুঁকিতে ঠেলে দিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত না থাকতে সতর্ক করা হয়েছে।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৩৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জন মারা গেছেন।

এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ২২ জনের মরদেহ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১১ জনের মরদেহ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন রাত দেড়টার দিকে বলেন, নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ১১ জনের মরদেহ রয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আগুনের ঘটনায় তিনজনের মরদেহ এবং অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে চার শিশু ও ২১ নারী রয়েছেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, ৪২ জনকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁরির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১১ জনের মরদেহ এসেছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জনের মরদেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার কিছু সময় পরই একটি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হওয়া আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। আগুনে হতাহতদের বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টেটির ক্রেতা ও স্টাফ।


আরও খবর



যে বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক করলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছোট ভুলের জন্য সারাদেশে কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহার হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনে তিনি ডিসিদের এ সতর্কবার্তা দেন।

অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে ১৩টি প্রস্তাব পাঠান। তার উত্তর আমরা দিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে আরও ১২টি প্রশ্ন তারা করেছিলেন। একজন ডিসি বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে যে ডোম থাকে একটা লাশ কাটার জন্য, মাত্র ৬৫ টাকা দেওয়া হয়। তাদের টাকাটা বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক। একজন ডোম থাকেন এবং তিনি পুরুষ। যখন নারীর মরদেহ আসে তখন তার জন্য নারী ডোম থাকার প্রয়োজন। খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি, বলেছি যে বিষয়টি অবশ্যই দেখব, কীভাবে বাড়ানো যায়।

এবারের ডিসি সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের পর প্রথম জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী খুব চমৎকারভাবে বার্তাগুলো দিয়েছেন। আমরা আলোচনা করেছি মানসম্মত সেবাটা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চাচ্ছি সেবার মান আরও কীভাবে বাড়াতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযোগের জায়গাগুলো পয়েন্ট আউট করেছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচের তলায় বিআরটিএর অফিস আছে এবং সে অফিসে দুর্নীতি আছে, জেলা প্রশাসক জানেন না। আমি বলেছি যে প্রত্যেকটা বিষয় আমাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। আমাদের মনিটরিং বাড়াতে হবে। যে জায়গাগুলোতে অভিযোগ আছে সেই জায়গাগুলোয়।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (ডিসি) বলেছি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে যাতে করে আমাদের লেখাপড়ার মান আরও উন্নত করতে পারি। মফস্বল এবং ইউনিয়ন, গ্রাম সব জায়গায়। হাসপাতালের পরিদর্শন বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেগুলো যেন নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হয়। এমনভাবে তা করতে হবে যেন সমস্যা তৈরি না হয়। মোবাইল কোর্ট থাকবে, কিন্তু কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমরা সতর্কও করে দিয়েছি যে, ছোট ভুলের জন্য সারাদেশে কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন। এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

কোনো ডিসি মাঠে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের কাজের সঙ্গে আমাদের রাজনীতিবিদের কাজের কোনো জায়গায় সাংঘর্ষিকতা নেই। তবে আমরা বলেছি কোনো জায়গায় সমস্যা হলে তারা বিভাগীয় কমিশনারকে জানাবেন, সমাধান না হলে আমাদের সঙ্গে বা জনপ্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করবেন। আমরা যথাযথভাবে সমাধান দিতে পারব। এই খবরগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। এখন জেলা প্রশাসক এবং রাজনীতিবিদদের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।


আরও খবর



প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) মৌখিক পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) থেকে শুরু হয়ে চলবে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত।

বুধবার (১৩ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরাই এবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগওয়ারি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে ২ হাজার ৪৯৭ প্রার্থী সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিয়োগপ্রার্থীরা অংশ নেবেন।


আরও খবর



রেস্তোরাঁয় অভিযানকে বাড়াবাড়ি বলছে মালিক সমিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বিশেষ করে অনুমতি না নিয়ে যেসব ভবনে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ করা হয়েছে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা। একে বাড়াবাড়ি বলছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা কর্মে নিয়োজিত বাহিনী সমূহ যেমন- আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‍্যাব তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করেছেন। তাদের কাজটি করতে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা, ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক। রেস্তোরাঁ সেক্টরটি তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। এছাড়া সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসক-প্রশাসনসহ অনেক অধিদফতর ও সংস্থা।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউক ও সিভিল ডিফেন্সের টনক নড়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করছে এবং স্টাফদের আটক করছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়।

তিনি আরও বলেন, তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই। আবার লাইন সংযোগ থাকলেও লাইনে গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বা লাকড়ি ব্যবহার। লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়, পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে যাতে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে।


আরও খবর



কারাগারে জন্ম নেওয়া শিশুর মাকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলায় কারাগারে যান অন্তঃসত্ত্বা নারী আহিনা খাতুন। কারাগারেই জন্ম দেন এক কন্যা শিশুর। কারাগারেই বেড়ে উঠা শিশুর বয়স এখন ১১ মাস। শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে কাশেমপুর কারাগারে রয়েছে। সেই মায়ের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম সুমন।

এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম সুমন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরে উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মর্মে হত্যা মামলার আসামি ও ওই মায়ের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শিশুটির মা আহিনা খাতুনের (২৯) গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদরে। তার স্বামী আলী নূর বিশ্বাসের বাড়ি বরিশাল জেলার মূলাদী থানায়। গার্মেন্টস কর্মী আহিনা খাতুনের সঙ্গে রিকশাচালক আলী নূর বিশ্বাসের পরিচয় ২০১৮ সালে। এরপর বিয়ে হয় তাদের। এর মধ্যে তারা আশুলিয়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ২০২২ সালের কোরবানির ঈদের সময় বাড়িতে যান আলী নুর বিশ্বাস। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আরও একটি বিয়ে করেন। আবার ফিরে আসেন আশুলিয়ায়।

হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তির বিষয়ে আইনজীবী বলেন, আহিনা খাতুনের অভিযোগ তার সঙ্গে আলী নূর বিশ্বাস সংসার করতে চাইতেন না। গার্মেন্টস এ কাজ করার পর সব টাকা নিয়ে নিতেন, টাকা না দিলে মারধর করতেন। ঘটনার দিন রাতে আলী নূর বিশ্বাস দোকান থেকে একটি বোতল হাতে নিয়ে এসে বলেন, বিষ মেশানো পানি খেয়ে মরে যাবেন তারা। তখন দুই প্লেটে ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নিলে ঘরের বাইরে আহিনা দেখেন আলী নূর ভাতের সঙ্গে কিছু একটা মেশাচ্ছেন। আহিনা সেই ভাত না খেয়ে ফেলে দেন। শেষরাতে আলী নূর বিশ্বাস বটি নিয়ে আহিনাকে মারতে গেলে ওই বটি কেড়ে নিয়ে পাল্টা আঘাত করেন আহিনা। শব্দ হবে বলে বালিশ চাপা দিয়ে ধরলে মারা যান আলী নূর। এরপর নারাণগঞ্জে পালিয়ে যান আহিনা। আলী নূরের পরিবারকে ফোন দিয়ে জানান সে মারা গেছে। এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আহিনাকেও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র‌্যাব। এরপর থেকেই কারাগারে আহিনা।


আরও খবর