জেলা প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরায় বৃহস্পতিবার বিকালে পৈলান মোল্লার কান্দি থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া যাওয়ার পথে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের তলা ফেটে পালের চরের পিঁপড়াদি নামক স্থানে পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় কুন্ডেরচর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে জাজিরা ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ।
উদ্ধারকৃত শিশুর নাম খাদিজা (৩)। বরগুনা সদরের পাতাকাটা গ্রামের মো: বজলু মিয়া ও শাহিনুর আক্তার দম্পত্তির সন্তান খাদিজা। নিহত শিশু খাদিজার বাবা বজলু মিয়া জানান, দুর্ঘটনার দিন তারা কুমিল্লায় খাদিজার নানা বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পদ্মায় দুর্ঘটনার শিকার হলে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে বজলু মিয়া ও শাহিনুর উদ্ধার হলেও মেয়ে খাদিজার খোঁজ পাওয়া যায়নি। যার ফলে তারা গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়।
মাঝিরঘাট ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মৃদুল চন্দ্র কপালিক বলেন, শুক্রবার সন্ধায় জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদেরকে জানান পদ্মার চরে একটি শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বললে আমরা ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে রাতেই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা শেষে জাজিরা মাওয়া নৌ পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভোরে শিশুটির পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করি।
জাজিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রধান শামিম রেজা জানান, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেই। ধারণা করা হচ্ছে কেউ দেখার পূর্বেই শিয়াল লাশের কিছু অংশ খেয়ে ফেলে। বিচ্ছিন্ন লাশটির পাশেই শিশুটির কলিজা পড়েছিল।
লাশটি প্রথমে দেখতে পাওয়া জেলে মো: শাহাবুদ্দিন জানান, আমি ও আ: লতিফ পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ শিশুটির লাশ দেখতে পাই। পরে জাকির হোসেন ও তৈয়বকে ডেকে আনলে জাকির ৯৯৯ এ কল দিয়ে প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন না আসা অবধি গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করি। প্রশাসন পৌঁছালে তাদেরকে লাশটি দেখিয়ে দিয়ে আমরা দায়িত্ব শেষ করি।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, সন্ধ্যা ৮ টার দিকে কুন্ডের চর থেকে একটি ছেলে ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানায়, পদ্মার চরে একটি মেয়ে শিশুর লাশ পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহকে আমি জানালে তারা লাশটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। তিনি আরও জানান, সাহসী ৪ বন্ধুকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। খুব দ্রুত জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।