আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পদ্মা সেতুতে বদলে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেষ হয়ে আসছে প্রতীক্ষা। ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু তৈরির আগে করা সমীক্ষার হিসাব বলছে, দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ অবদান রাখবে এ সেতু। আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ঢাকার সঙ্গে সহজ যাতায়াত প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাড়বে শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ। গতি পাবে নগরায়ণ। কৃষিতে আসবে নতুন বিপ্লব। বাড়বে কর্মসংস্থান। বিকশিত হবে পর্যটন। পদ্মা সেতুর প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন কোটির বেশি মানুষ।

পদ্মা সেতু তৈরির আগে করা সমীক্ষায় বলা হয়, পদ্মা সেতুর সরাসরি সুফল ভোগ করবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। সেতুর জন্য করা নদীশাসন কাজ এ অঞ্চলে পদ্মার ভাঙন প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখবে। কর্মসংস্থান, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোর উন্নয়নের মধ্য দিয়ে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দারিদ্র্য কমবে। শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নয়, উৎপাদন, কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু।

সমীক্ষায় আরো বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দেশের জাতীয় জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। মানুষের আয়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ মূল্য সংযোজন করবে। ৭ লাখ ৪৩ হাজার ম্যান-ইয়ার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তবে এসব প্রভাব পড়তে নির্মাণ-পরবর্তী চার-পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগবে। আর পদ্মা করিডরে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ চালু হলে আরো গতিশীল হয়ে উঠবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি।

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সড়ক ও রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও টেলিকম পরিষেবার লাইন সংযোগ গড়ে তোলা হয়েছে। এসব পরিষেবা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প-কারখানার বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে সহজ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবাদে আরো গতিশীল হয়ে উঠবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর। সেতুটি চালু হলে স্বল্প সময়ে এ দুই বন্দর থেকে পণ্য খালাস হয়ে ঢাকাসহ দেশের অন্য বড় শহরে পৌঁছে যাবে।

পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ পুরো বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি  বলেন, আমি যদি শুধু আমার নিজের কথা বলি...পদ্মা সেতু চালু হলে যশোর থেকে আমি ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ঢাকায় চলে যেতে পারব। বিমানে যদি যাই, তাহলেও কম-বেশি একই সময় লাগবে। এ তথ্য থেকেই বোঝা যায় মানুষের যোগাযোগ কতটা সহজ হতে চলেছে। এ সহজ যোগাযোগের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, পর্যটনসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। সবকিছু মিলিয়ে এমন একটা পর্যায় আসবে যেটা উইন-উইন সিচুয়েশন তৈরি করবে এবং অবশ্যই দেশের জিডিপি একটা বড় অংশে বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। এ সেতু আমাদের মধ্যে নতুন আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতুকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত মহাসড়ক (এক্সপ্রেস)। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটি ২০২০ সালের মার্চে উদ্বোধন করা হয়। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন রেলপথ। দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। নিচে স্প্যানের ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। এজন্য ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রড গেজ রেলপথ। এতে খরচ হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। সেতুর সংযোগ সড়কের পাশাপাশি সার্ভিস এলাকায় তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো। সেতুতে রাখা হয়েছে গ্যাস সঞ্চালন লাইন, ফাইবার অপটিক্যাল ও টেলিফোন ডাক্ট। সেতুর ভাটিতে তৈরি করা হচ্ছে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন। এসব অবকাঠামোকে ঘিরে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারা দেশের মানুষ।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। কারণ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষে চট্টগ্রামে মুক্তিকামী বাঙালির ওপর গুলি চালিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিরোধিতা করে বিএনপি নেতারা চাদর পোড়ায়। তাহলে বিএনপি নেতাদের বাসায় স্ত্রীদের যে শাড়িগুলো রয়েছে সেগুলো কেন পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে পাল্টা প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যদি পালিয়ে যায় তাহলে যুদ্ধটা করেছিল কে? সরকার গঠন এবং সেক্টর গঠন করে দায়িত্ব দিয়েছিল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান ছিল বেতনভুক্ত কর্মচারী।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে এক মৌয়াল নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। তবে শনিবার সকালে স্বজনদের খবর দেন সঙ্গে থাকা মৌয়ালরা।

নিহত মনিরুজ্জামান বাচ্চু গাজী (৪০) শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত. কাশেম গাজীর ছেলে।

নিহতের স্বজন আশিকুর রহমান জানান, বাচ্চু গাজী আমার দুলাভাই। সকালে খবর পেয়েছি বাঘের আক্রমণে তিনি নিহত হয়েছেন। মরদেহ নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন সঙ্গে থাকা মৌয়ালরা।

গাবুরা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আদিয়ার রহমান বলেন, ২৪ দিন আগে একসঙ্গে দশ জন মৌয়াল মধু সংগ্রহ করতে সুন্দরবনে যায়। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বাঘের আক্রমণে বাচ্চু গাজী নিহত হয়েছে। তারা মধু কাঁটতে কাঁটতে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে গিয়েছিল। নৌকার মাঝি এ খবর মুঠোফোনের মাধ্যমে জানিয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা ইকবাল হুসাইন চৌধুরী জানান, বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহতের খবর শুনছি। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।


আরও খবর



কবি নজরুল কলেজে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের নতুন কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত বগুড়া জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য যায়েদ হোসেন মিশু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষার্থী আব্দুল হামিদ সভাপতি এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহম্মদ রাফিদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি দ্রুতই প্রকাশ করা হবে জানিয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি যায়েদ হোসেন মিশু বলেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজে এই প্রথম উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের কমিটি ঘোষণা করা হলো। আমার জেলার ছেলে মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার কোন সুযোগ নেই। এই কমিটির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ ও আস্থা আরো দৃঢ় হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে তৈরি করবে।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ক্যাম্পাসে সকল জেলার ছাত্র কল্যাণ রয়েছে। আমাদের বগুড়া জেলার কোনো সংগঠন ছিল না। আমরাই বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রথম কমিটি। আশা করব এই কমিটির মধ্য দিয়ে বগুড়া জেলার সকল শিক্ষার্থীরা একত্র হবেন। এতে করে আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং নির্ভরতার একটি জায়গা তৈরি হবে।

এছাড়াও বগুড়া জেলা থেকে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আগত সকল শিক্ষার্থীদের পাশে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা জানান সাধারণ সম্পাদক রাফিদ।

নিউজ ট্যাগ: কবি নজরুল কলেজ

আরও খবর



ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক বুয়েট শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। শনিবার থেকে শুরু হবে এ কর্মসূচি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টার পর বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল বুয়েটের সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে। আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের সব প্রবেশদ্বারে অবস্থান নেবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশেও জড়ো হবে তারা। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেন।

এর আগে ২৮ মার্চ মধ্যরাতে একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো:-

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউর পদত্যাগ।

৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪