আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে’

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুখের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ সেতুর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল হবে

পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা এ সেমিনার আয়োজন করে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুখের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ সেতুর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল হবে। দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠেবে, শিল্পের সাথে সাথে টাউনশিপ গড়ে উঠেবে। পদ্মা সেতু শুধু সেতু নয়, এটি আমাদের বঞ্চনার পরিসমাপ্তির উপাখ্যান। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন এ অঞ্চলে রেল যোগাযোগ না থাকার বিদ্রূপের পরিসমাপ্তি।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের কারণে আমাদের জিডিপিতে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ উত্তরণ ঘটবে। আঞ্চলিক জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ উন্নয়ন ঘটবে। পদ্মার অপর পাড়ে কৃষিজ সামগ্রী তথা পেয়ারা, আমড়া, মাল্টা, শাকসবজি, মাছ এগুলোর প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এতদিন গড়ে উঠেনি। যাতায়াত ব্যবস্থার সংকটের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে কেউ শিল্প স্থাপনে যেতে চাইত না। অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও দক্ষিণাঞ্চলে এতদিন কিছুই গড়ে উঠেনি। এখন পদ্মা সেতুর কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সাথে যুক্ত হবে। এর ফলে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হবে। এসব দেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও বৃহত্তর বরিশালের অনেক শিল্প স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, পদ্মায় একটি ব্রীজের প্রয়োজনীয়তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জাপান সফরকালে তাদের বলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, তারপর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পূর্বে ও পরে অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার সময় প্রচন্ড ঝড় এসেছে। বিশ্ব ব্যাংক টাকা বরাদ্দ না হওয়া সত্বেও বলেছে এখানে দুর্নীতি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেলে দুর্নীতির অভিযোগ সাপোর্ট করে বলেছেন এটা না করাই উত্তম। কানাডার কোর্ট মামলার জাজমেন্ট দিয়ে বলল মুখরোচক কথা শোনা ছাড়া অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং যে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি, তা গালগল্প মনে হচ্ছে। অথচ এ গালগল্পের ভিত্তিতেই পদ্মা সেতু  প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করব। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস এবং সততার বিজয় গাঁথা।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে নোংরা রাজনীতি, খারাপ চর্চা এখনও চলছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতুকে অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তিনি বলেছেন এত টাকা ব্যয়ে এখানে সেতু করার দরকার ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। এটা অসুস্থ রাজনীতির পরিচয়। সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা হতে পারে কিন্তু ভালোকে ভালোই বলবো না, এভাবে সবকিছুর বিরোধিতার প্রবণতা রাজনীতির জন্য সুখকর নয়।

পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনার জবাবে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতুর মত ভূপেন হাজারিকা সেতু দোতলা সেতু নয়। পদ্মা সেতু যতটা প্রশস্ত ভূপেন হাজারিকা সেতু ততটা প্রশস্ত নয়। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা ও অস্থিতিশীল নদী পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণের প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ ভূপেন হাজারিকা সেতুর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। পদ্মা সেতুর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয়িত তিনগুণ অর্থ ভূপেন হাজারিকা সেতুতে ব্যয় করতে হয় নি। বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের যন্ত্রপাতি পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অবস্থা হয়েছে, যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। যারা উন্নয়ন পরিপন্থী, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের পক্ষে না থেকে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুননের কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হব।

বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতের সঞ্চালনায় সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেমিনারে বক্তব্য প্রদান করেন।

সেমিনারে 'পদ্মা সেতু: যা সেতুর চেয়েও বড়' শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক।


আরও খবর



ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




টাইমস হায়ার র‌্যাংকিং

এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ এশিয়ার সেরা ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম আসেনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। গতবার এশিয়ার সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৬ তম এবং ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। অন্যদিকে, গতবার তালিকায় ১৮৬তম স্থানে অবস্থান করে দেশসেরা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এরপর ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু এবার তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ে পতন হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো শীর্ষে আছে চীনের সিংহুয়া এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এবার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। যা গতবার ছিল ১৫টি। ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরপর ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তাছাড়া তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।


আরও খবর



কোরবানির ঈদে পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সাভারের বিপিএটিসি'তে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খামারিদের উৎসাহ প্রদান করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তারা যাতে উৎপাদনটা আরও বেশি করতে পারেন সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পশুর দাম যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবাদি পশু যেমন, গরু ছাগল ইত্যাদির নানা ধরনের রোগ বালাই আসে। রোগ বালাই প্রতিরোধে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য ভেটেনারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা এবং সেগুলোকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো যেন ভালোভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পে খামারিরা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে সেখানে আমরা ৬০ টাকা দেব। নামমাত্র সুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে খামারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি। এতে নিশ্চয়ই খামারিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং উৎসাহিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এবার পরিধি বাড়ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদ্‌যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন, এবারের পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিধি বাড়ছে। যা চারুকলা থেকে বের হয়ে শিশু পার্ক ঘুরে ফের টিএসসিতে এসে শেষ হবে। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চারুকলায় পহেলা বৈশাখ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হলো আমরা তো তিমিরবিনাশী। প্রতিপাদ্যটি নেয়া হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে।

তিনি বলেন, এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা দিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তবে দূর থেকে। এদিকে এবার চারুকলারও ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এজন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে জানান চারুকলা অনুষদের ডিন নিসারুল হোসেন।

অন্যদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা রক্ষার নামে সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4