প্রতারণার মামলায়
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি
ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ মার্চ
চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। কিন্তু
হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ
তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই তিন মামলার
বাদীরা হলেন- তানভীর আহমেদ, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ও তৌফিক মাহমুদ।
মামলাগুলোর অভিযোগে
বলা হয়, বিজ্ঞাপন দেখে তারা মোটরসাইকেল কেনা বাবদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত
পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ
করতে ব্যর্থ হন।
পরবর্তীতে ইভ্যালি
তাদেরকে পণ্যের সমমূল্যের চেক প্রদান করে। এরপর চেকগুলো নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে
জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না
দেওয়ায় এবং কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও রাসেলের বিরুদ্ধে বাদীরা প্রতারণার
মামলা করেন।
এর আগে গত ১৫
জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে
হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১৭ জানুয়ারি
তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের
আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত
আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।
প্রসঙ্গত, এক
গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে
ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার
দেখানো হয়। নেওয়া হয়েছিল রিমান্ডেও।
ইভ্যালির পুনর্গঠন
হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে তার স্ত্রী শামীমাকে এক বছরের মাথায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন
দিয়েছিল আদালত। আর রাসেল মুক্তি পান গত ১৯ ডিসেম্বর।