আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পদ্মা সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জুন 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জুন 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গোপালগঞ্জ থেকে আশিক জামান

আর মাত্র বাকি কয়েকদিন। এর পরেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার মানুষের স্বপ্নের দিন। আগামী ২৫ শে জুন খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার  মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।

এই ২১ টি জেলার মধ্যে গোপালগঞ্জ অন্যতম। এ পদ্মাসেতু খুলে দেওয়ার সাথে সাথে এজেলার মানুষ আরো অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী হবে। এ জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে পদ্মা সেতু। এই সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন এই জেলার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে এ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। পিছিয়ে পড়া এই জেলা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ কাড়বে, গড়ে উঠবে এ জেলায় নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা। ফলে এ জেলার  অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়বে বেকারদের কর্মসংস্থান। পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করবে না, এতে শিক্ষা  কৃষি, মৎস্য, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প পর্যটনসহ বেশ কিছু খাতে অর্থনৈতিক উপযোগও সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গড়ে উঠবে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড, বিমানবন্দর, গার্মেন্টস শিল্প ও কৃষিশিল্প।

কৃষি

গোপালগঞ্জ জেলাকে অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করেছে কৃষিখাত। জেলার প্রায় দেড়লাখ হেক্টর জমিতে এজেলার কৃষকেরা নানান ফসল উৎপাদন করে। এরমধ্যে ব্যতিক্রম ফসল সবজি। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় কৃষকদের নিজস্ব ক্ষেতে ফলানো কৃষিপণ্য এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে পৌঁছে যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে কৃষকেরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার রঘুনাথ পুর গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমিতে বছরের ১২ মাস বিভিন্ন শাকসবজী চাষ করি। এ জেলা ছাড়া বাইরে বিক্রি করতে পারতাম না। তাই ন্যায্য মূল্যও পেতাম না। পদ্মা সেতু চালু হলে। রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। ফেরীঘাটের ভোগান্তি ছাড়াই সরাসরি সবজি নিয়ে সময় মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো। আমাদের কষ্ট করে ফলানো সবজীর ন্যায্য মূল্য পাবো।

স্বাস্থ্য

পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্য খাতে বড় ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতুর জন্য এ জেলায় রাজধানী ঢাকা থেকে কোন চিকিৎসক আসতেন না। রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সময় ফেরীঘাটে সময় ব্যয় হওয়ার জন্য বেশির ভাগ রোগী ফেরি ঘাটে মারা যেতেন। পদ্মা সেতু চালু হলে এ জেলার মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই অল্পসময়ে ঢাকা পৌঁছাতে পারবে। নিতে পারবেন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মাহমুদ  বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে গোপালগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। পদ্মা সেতু না থাকায় ঢাকার অনেক বড় বড় চিকিৎসক আমাদের জেলায় আসতে চাইতেন না। পদ্মা সেতুর খুলে দেওয়ার পর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হবে। ভালো চিকিৎসক এ জেলায় এসে মানুষকে চিকিৎসা দিতে পারবে। অনেক সময় নদী পার হতে গিয়ে রোগী মারা যেত। জরুরি ওষুধ আনতে অনেক সময় লাগত। ওষুধের জন্য অনেক রোগী মারা যেত। পদ্মা সেতু চালু হলে ওষুধ, চিকিৎসকসহ আর কোন সমস্যা হবে না।

পর্যটন

পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জে পর্যটন খাত অর্থনৈতিক ভাবে বড় ভূমিকা রাখবে। এ জেলায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল। ইতিমধ্যে জাতির পিতার সমাধিস্থলকে ঘিরে তৈরী করা হয়েছে স্থাপত্য শৈলীর নানান নিদর্শন। আর চোখ জুড়ানো বিস্তৃর্ন সবুজের মাঠ। এ সমাধিস্থলকে ঘিরে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় এমনিতে লেগে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক আসবে। আরো বেশি পর্যটকদের সমাগম হবে। এতে এ জেলার পর্যটন শিল্পকে আরো বিকাশিত করবে।

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও টুঙ্গিপাড়াকে নিয়ে বিশ্বমানের গবেষকেরা গবেষণায় আগ্রহী হবেন।

শিক্ষা

গোপালগঞ্জ জেলায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার জন্য আগ্রহী হবেন।

এবিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির বিজিএমই বিভাগের সহকারী প্রভাষক ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একই সাথে জ্ঞান বিতরণ এবং জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা। জ্ঞান সৃষ্টির জন্য প্রথমত যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে বিশ্বমানের গবেষক দরকার। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে জাতির জনকের পূন্যভূমি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বিশ্ব মানের গবেষকরা আরো আকৃষ্ট হবেন। সেই সাথে সাথে মেধাবী শিক্ষার্থীরাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

শিল্প কলকারখানা

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ জেলায় বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। এ জেলায় গড়ে উঠবে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা। এ জেলার বেকারত্বের কর্মসংস্থান হবে। ভাগ্যের পরিবর্তন আনবে এ জেলার বেকারদের।

কর্মসংস্থান

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ২১ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হবে এ জেলায়। পদ্মা সেতুকে ধিরে এ জেলায় তৈরি করা  বিশাল বিশাল সরকারি বেসরকারী স্থাপনার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ হচ্ছে বেসরকারি খাতে। সবগুলোই খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু চালু হলে। নির্মাণ করা হচ্ছে বেসরকারি শিল্প কলকারখানাও। যা এ জেলার অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ জেলায় বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। সবগুলো পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিল্প কলকারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা চালু হওয়ার পর এ জেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কমবে এ জেলার বেকারত্বের হার। এর পাশাপাশি এ জেলা শিল্পাঞ্চল জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন,পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জ শুধু শিল্পাঞ্চলই নয় আধুনিক পর্যটন নগরীতে রুপ নিবে। এ জেলার মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সমাধিস্থলকে ঘিরে সারাবছর বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক আসতে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ জেলার অর্থনীতির চাকা সচল হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে অপেক্ষামান যে সব নবনির্মিত যে সব সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে সবকয়টিতে এ জেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে এ জেলার বেকারত্বের হার কমার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে এ জেলা স্বাবলম্বী হবে।


আরও খবর



রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাসহ দেশের ৮ জেলার ওপর দিয়ে আজ বুধবার দিবাগত রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বিকেলে নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে দিবাগত রাত ১টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে থাকে। তবে দুপুরের পর আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই বৃষ্টি পড়ে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। একপশলা বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ অনেকটাই কমে গেছে।


আরও খবর



অভিনেতা পার্থসারথি আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলার বর্ষীয়াণ অভিনেতা পার্থসারথি দেব প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, লড়াই শেষে ফিরে আসবেন তুখোড় এই অভিনেতা। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে অনন্তলোকের পথে পাড়ি দিলেন তিনি। শুক্রবার (২২ মার্চ) কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন পার্থসারথি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল তার। নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছিল। গত ৪৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে টলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম’র পক্ষ থেকে পার্থসারথির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়, ফোরামটির সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ৪০ বছরের অভিনয় জীবনে কাকাবাবু হেরে গেলেন’, লাঠি’, প্রেম আমার’-সহ একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্থসারথি। ছোট পর্দার জন্য সত্যজিতের গপ্পো’ সিরিজে ও অভিনয় করেছিলেন তিনি। গত বছর বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ এবং রক্তবীজ’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় পার্থসারথির। তার পর থেকে একাই থাকতেন। বিগত কয়েক বছর সিরিয়াল থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও তার বেশ কিছু ছবির ডাবিং বাকি থেকে গিয়েছিল। কাজ ফেলে রেখেই চলে গেলেন অভিনেতা।


আরও খবর



১৫০ উপজেলায় ১৮৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


আরও খবর



গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্ট মার্টিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেখা মিলেছে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধজাহাজ। এটি সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা যায়। পরে তা অন্যত্র সরে গেছে।

একই সঙ্গে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকট শব্দে সেন্ট মার্টিনের বাড়িঘর পর্যন্ত কাঁপছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, গোলাগুলি বা মর্টারশেলের তেমন বিস্ফোরণের শব্দ বৃহস্পতিবার থেকে একটু কমেছে। তবে শুক্রবার ৩ টার দিকে পর পর কয়েকটি শব্দ শোনা গেছে। সকালে নাফনদীর ওপারে যুদ্ধজাহাজ দেখা গিয়েছিল পরে তা চলে গেছে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. এনামুল হক জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। জুমার নামাজের পর আবারও গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে। এখনও থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, গত কয়েকদিন একটানা হ্নীলা ও মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কিছুটা কমলেও এখন দুপুরের পর আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে।


আরও খবর



‘আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন গোনা লাগে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

রাস্তার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন—‘আমার মন্ত্রী, সচিব আছে। জেলা এক্সেন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে এমন কাণ্ড করে বসেন ওই উপজেলা প্রকৌশলী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিলো। চলমান কাজে নিম্নমানের ও পুরোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরোনো সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে বেশকিছু পুরোনো পাথর ভাঙা দেখতে পেলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি। এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন।

দৈনিক ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরোনো কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিলেন। আমরা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল আমাদের গেট লস্ট বলেন। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তিনি আমাদের পড়াশোনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং বলেন গেট লস্ট

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো মালামাল আর নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? তাদের আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরোনো মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং ওঠানোর পর রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে (উপজেলা প্রকৌশলী) কথা বলবো। তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তিনি কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করেছেন, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


আরও খবর