আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

পবিত্র আশুরা ২০ আগস্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়

বাংলাদেশের আকাশে আজ সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বুধবার (১১ আগস্ট) শুরু হচ্ছে মহররম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৩ হিজরি। আগামী ২০ আগস্ট শুক্রবার (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় ধর্ম সচিব জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৩ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। বুধবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২০ আগস্ট (১০ মহররম) শুক্রবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।


আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ এর নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ- উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরপর তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের নিহত সদস‌্য ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃকবাড়ি ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার টিটো, ডা. জাকির সুমন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির দাবি রাবি অধ্যাপকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ বা ড্রাগ টেস্ট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক উন্মুক্ত বার্তায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও সরকারের কাছে এ দাবি জানান তিনি ।

ব্যক্তিগত এক সাক্ষাৎকারে এই অধ্যাপক তার দাবি সম্পর্কে বলেন, ২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট আইন হচ্ছে। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। শিক্ষার্থীরা যদি ড্রাগে আসক্ত হয়ে যায় তারা দেশের সেবা কিভাবে করবে? তারা পিতা-মাতার স্বপ্নও পূরণ করতে পারবে না। তারাই তো ভবিষ্যৎ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ৩য় তলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগটির অবস্থান। বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিসের পাশেই  শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম। গত এক সপ্তাহ আগে সেখান থেকে ৮-১০টি ফেনসিডিল উদ্ধার করেন তিনি।

তারপর গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, 'ডোপ টেস্টের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ টেস্ট করানোর বিষয়টা কি আলোর মুখ দেখবে না? ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপের বিষয়টা যেমন গৃহীত হয়েছে তেমনি ডোপ টেস্টের বিষয়টাও ভেবে দেখা দরকার।'

নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের শঙ্কা প্রকাশ করে  তিনি জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ আগে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক  ভবনে ছিল। সেখান থেকে ২০১৪ সালে এই (সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী) ভবনে আসি। তখন থেকেই এখানের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা ওয়াশরুমটি অপরিষ্কার ছিল। সবাই তাদের অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ এখানে ফেলে রাখত।  শিক্ষার্থীদের আবদারে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পরে থাকা ওয়াশরুমটা পরিষ্কার করার চিন্তা করি। এই ওয়াশরুমের ছাঁদ পরিষ্কার করার সময় যারা কাজ করছিলেন তারা এখানে মাদকের আলামত পায়। আমি তখন অবাক হয়ে যাই।

অফিসের পিয়ন তারেকুর রহমান জানান গত সপ্তাহে পরিষ্কার করার সময় সেখানে ৮-১০ টা ফেনসিডিলের বোতল দেখতে পান তিনি। এগুলো সরিয়ে জায়গা পরিষ্কার করেছেন।

এই অধ্যাপক আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রফেসনাল ও সার্বক্ষণিক লোক রাখতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ডাটাবেইজ থাকবে। যেন র‍্যান্ডম সিলেকশন করে শিক্ষার্থীদের চেক করা যেতে পারে। সময়ে সময়ে আপডেট নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ জুন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য আইন তৈরি হচ্ছে (সংশোধন)। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। তবে, ২০২২ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করেছিল। এবং গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এস. এম. একরাম উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউনিটের (কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এবং পোষ্যকোটার প্রার্থীদেরকে বিষয় পছন্দক্রম এবং মেধাস্কোর-এর ভিত্তিতে তাদের রোল নম্বরের পাশে উল্লিখিত বিভাগে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১২ মে থেকে ১৪ মে (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে) মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটর-এর অফিসে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ডীনস্ কমপ্লেক্স) উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকারসহ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে ইউনিটে তাদের ভর্তির মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।

ভর্তি হওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের মেধাস্কোর ও বিভাগ পছন্দের ক্রমানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তনের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ভর্তি হওয়ার পর কোনো ছাত্র/ছাত্রী বিভাগ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাকে অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে স্বয়ংক্রিয় বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে প্রস্তুতকৃত তালিকা থেকে মেধানুসারে পর্যায়ক্রমে ভর্তির জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে আগামী ১৬ মে প্রকাশ করা হবে।


আরও খবর



মহেশপুরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মৃত আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছয়ঘড়িয়ায় মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারা। সেসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্ণের বার। আটক করা হয় ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবিরকে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর