আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকবে তিন সপ্তাহ !

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়লার জোগান না থাকায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ১৩২০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটই চলে আমদানি করা কয়লা দিয়ে। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে, তাতে দ্বিতীয় ইউনিট আগামী ৩ জুন পর্যন্ত চলবে।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করে। ডলারসংকটের কারণে আমদানি করা কয়লার বিল পরিশোধ করতে পারছিল না প্রতিষ্ঠানটি। বিশাল অংকের বকেয়া জমে যাওয়ায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অনেক আগেই চিঠি দিয়েছিল সরবরাহকারী বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

বিষয়টি গত এপ্রিলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল বিসিপিসিএল, যার অনুলিপি অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকেও দেওয়া হয়েছিল।

বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছিল, অন্যথায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে ব্যাপকভাবে লোডশেডিংয়ের কারণে জাতীয় অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হবে।

বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম গতকাল রাতে বলেন, কিছুক্ষণ আগে সিএমসির চিঠি এসেছে। আমরা কয়লা পাব। তবে ১ জুন যদি এলসি ওপেন হয়, সে ক্ষেত্রে (কয়লা) আসতেও তো ২৫ দিন লেগে যাবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি; সরকারও এক ধরনের চাপে আছে। পরিস্থিতিটা আমাদেরও বুঝতে হবে। সরকার আমাদের ১০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এর মধ্যে আমরা ৫ কোটি ৮০ লাখ পেয়েছি, সেটা আমরা সিএমসিকে দিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ৩১ মের মধ্যে বাকিটা দেবে। এটা আমরা সিএমসিকে জানিয়েছি।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ

খোরশেদুল আলম বলেন, ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার দেওয়ার পরও এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের সিএমসির কাছে বকেয়া আছে সাড়ে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাকি চার কোটি ২০ লাখ ডলার দিলে আরও ২৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার বাকি থাকবে। সিএমসি বলেছে, ৩১ মের মধ্যে চার কোটি ২০ লাখ ডলার পাঠিয়ে দিতে। ওটা দিলে তারা এলসি খুলে দেবে। অবশিষ্ট বকেয়া নিয়মিত পরিশোধ করতে বলেছে।

উৎপাদন বিবেচনায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার বিচারেও দেশের অন্যতম সফল বিদ্যুৎকেন্দ্র এটি। গড়ে দেশের দৈনিক মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ জোগান দেয় কেন্দ্রটি।

বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক মাস আগে জ্বালানি সংকটে দেশে শুরু শুরু হওয়া লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। রমজান মাসজুড়ে লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে এই কেন্দ্রের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল ছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। কারণ, এটি একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার পর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে পুরোমাত্রায় এমনকি সক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে।

তিন সপ্তাহের জন্য এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকলে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে বিকল্প ব্যবস্থা কী হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেনি সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: নেইমারকে ছাড়াই ব্রাজিলের দল ঘোষণা

তবে খাত সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় এখনো লোডশেডিং হচ্ছে। তিন সপ্তাহের জন্য পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে দেশে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করবে।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা-তাপভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান অংশীদারত্ব রয়েছে।

চলতি মাসের প্রথম দিকে আমাদের সময়ে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ডলার সংকটে আমদানি করা কয়লার বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। মজুদ কয়লা দিয়ে মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চালানো যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এর মধ্যে কয়লা আনা না গেলে জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিসিপিসিএলের পাঠানো এক চিঠির বরাত দিয়ে এসব কথা বলা হয় প্রতিবেদনে। ইন্দোনেশিয়ার যে কোম্পানি পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করে সে কোম্পানির কয়লার দাম পরিশোধ করে সিএমসি।

বিসিপিসিএলের এক কর্মকর্তা জানান, কয়লা আমদানি সংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ী সিএমসি কয়লা ক্রয়ের ছয় মাস পরে বাংলাদেশ অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। তিনি বলেন, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রোভাইড করে সিএমসি। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হলো আমরা ইন্দোনেশিয়া থেকে যে কয়লা কিনি, তার ইনভয়েসের এগেইনস্টে সিএমসি এলসি করে পেমেন্ট করে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাদের পেমেন্ট মেথড হলো ডেফার্ড পেমেন্ট (দেরিতে পরিশোধ)। আমরা ছয় মাস পর সিএমসিকে বিল দেই। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়ার কোল-মাইনিং কোম্পানিকে সিএমসি যে পেমেন্ট দেবে, আমরা জুলাইয়ে সিএমসিকে তা পরিশোধ করব। বাস্তবতা হচ্ছে, ছয় মাস তো পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। আরও পাঁচ মাস চলে গেছে। আমরা বকেয়া শোধ করতে পারছি না।

এত টাকা বকেয়া হওয়ায় চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কয়লা ক্রয়ে নতুন করে এলসি খুলতে সিএমসিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিএমসি বলছে, টাকা না দিলে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আনা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এই টাকা কিস্তিতে নিতে রাজি আছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৩ এপ্রিল বিসিপিসিএলকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয় সিএমসি। দুই সপ্তাহ পর, গত ২৭ এপ্রিল সিএমসি ই-মেইলের মাধ্যমে বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের তাগাদা দেয়।

ওই দিনই (২৭ এপ্রিল) বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানকে চিঠি পাঠান বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম। সংকট সমাধানে বিদ্যুৎ সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে বিসিপিসিএল জানায়, এর আগে বকেয়া পরিশোধের জন্য দফায় দফায় সোনালী ব্যাংক (বিসিপিসিএলের অ্যাকাউন্ট ব্যাংক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হলেও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান না পাওয়ায় বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




সোমবার সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান সৌদির

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের নাগরিকদের সোমবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের অর্থাৎ ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট শনিবার এ আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সৌদিতে রমজান মাসের ২৯ তারিখ। যদি ওইদিন শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায় তাহলে মঙ্গলবার দেশটিতে উদযাপিত হবে খুশির ঈদ। খবর খালিজ টাইমসের

কিন্তু যদি সোমবার চাঁদ দেখা না যায় তাহলে রমজান মাস ৩০ দিনের হবে এবং বুধবার দেশটিতে ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

রমজান হলো হিজরি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস। আরবি মাসগুলো ২৯ ও ৩০ দিনের হয়ে থাকে। আর মাসগুলো নির্ধারিত হয়ে থাকে চাঁদ দেখার ওপর।

সৌদি আরবে গত ১১ মার্চ ১৪৪৫ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। আগামী সোমবার ৮ এপ্রিল দেশটিতে রমজানের ২৯তম দিন পড়বে।

গত বছর সৌদিতে রমজান মাস ২৯ দিনের হয়েছিল। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মাসটি ৩০ দিনের হয়েছিল। ইসলামের সূতিকাগার হওয়ায় সৌদিতে চাঁদ দেখা যাওয়া নিয়ে সারা বিশ্বের সব মুসল্লিদের মধ্যে একটি আগ্রহ কাজ করে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মধ্যে ওইদিন থেকেই একটি আনন্দ লাগা শুরু করে। কারণ সৌদিতে যদি চাঁদ উঠে যায় তাহলে তারা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান যে পরদিন তাদের দেশেও ঈদ হবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশে রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। তবে পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এবার পাকিস্তানে রোজা ২৯টি হতে পারে।


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।

এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।


আরও খবর



ভাষানটেকে আগুনে দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ভাষানটেকে একটি বাসায় আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন দগ্ধের মধ্যে মেহেরুন্নেছা (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। মেহেরুন্নেছা কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা।

শনিবার সকাল ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। এর আগে গত শুক্রবার ভোরে এ আগুন লাগে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, মেহেরুন্নেছার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: ভাষানটেক

আরও খবর



বেনাপোলে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে র‍্যাব। এ সময় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত এলাকার পুটখালী গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পুটখালি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও বালুন্ডা গ্রামের সিরাজুল গাজির ছেলে ইসরাফিল গাজি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাবিব হোসেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার পুটখালী গ্রামে স্থানীয় ওলিয়ার রহমানের মালিকানাধীন বিশাল গরু ফার্মে বিক্রির জন্য ফেন্সিডিল মজুদ করেছে মাদক কারবারিরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। ঘটনাস্থল থেকে হাফিজুর রহমান ও ইসরাফিল গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফার্মের উত্তর পাশের একটি জমির কলা গাছের ঝোপ থেকে দুটি বস্তা পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর সাবিব হোসেন জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মো. ইসরাফিলের বিরুদ্ধে মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জব্দকৃত মাদক ও গ্রেপ্তারকৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের যশোর জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।


আরও খবর