
সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)
বরগুনার পাথরঘাটায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে পাথরঘাটা আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ জব্বার খান এর বিরুদ্ধে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার। এনিয়ে পাথরঘাটা ব্যাপক চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এঘটনায় ছাত্রীর বাবা গত রবিবার ওই স্কুলের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর পর পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদারের কাছে ধর্ষিতা ঐ স্কুল ছাত্রী ও তার বাবা ওই ঘটনার জবানবন্দি দেন।
স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক আঃ জব্বার নানা কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৩ মার্চ স্কুলে শিক্ষা সফরের কথা বলে আমার মেয়েকে নিয়ে বরিশাল দোয়েল আবাসিক হোটেলে রাত জাপন করে। বরিশাল থেকে ফেরার পর মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা দেখে তার কাছে জানতে চাইলে মেয়ে সকল ঘটনা খুলে বলেন। মানসম্মানের ভয়ে প্রধান শিক্ষক আঃ জব্বার আমার মেয়েকে বিবাহর প্রস্তাব দেয়। মেয়ে বয়স কম হওয়ার কারণে বিয়ে করা বিষয়টি অস্বীকৃতি জানাই। পরে এ ঘটনায় স্কুল ব্যাবস্থাপনা কমিটির কাছে বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এদিকে এ ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রেজা ওই প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবী জানিয়ে বলেন, সে সব কুলাংঙ্গার শিক্ষকদের কাছে স্কুল ছাত্রীদের নিরাপত্তা নেই। সেই সব শিক্ষকের কঠোর থেকে কঠোর তর শাস্তির দাবি করে শিক্ষক সমাজ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর অভিযোগ করে। এঘটনা নিয়ে বুধবার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকদের নিয়ে এক জরুরি সভায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার খানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ঘটনা বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার ঘটনাটি সত্য বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই স্কুলছাত্রী ও তার বাবা গত মঙ্গলবার ওই ঘটনার সকল প্রমানাদি উপস্থাপন করেছে। এর আগে গত ১৯ মার্চ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ছাত্রী বিয়ের অনুমতি নিতে আসেছিলো। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় তাদের অনুমতি দেইনী। ওই ছাত্রীকে আইনি পরামর্শের জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এঘটনার বিষয় বরগুনা জেলা প্রশাসককে অবহিত করে স্কুল কমিটির সভাপতিকে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।