আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি আমার—অনেকটা ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে এ কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জাপার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন ক্ষোভ জানান রওশন।
অনুষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ করা হলেও তাঁরা কেউ আসেননি। এ নিয়ে রওশন দুঃখ করে বলেন, ‘আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। যাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন।’
আট মাস চিকিৎসা শেষে গত ২৪ জুন থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন রাজনীতি থেকে খানিকটা দূরে ছিলেন তিনি। দেশে ফেরার পরে গত ২৯ জুন সংসদের বাজেট অধিবেশনেও যোগ দেন।
আগামী ৪ জুলাই চিকিৎসার জন্য আবার তাঁর থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা রয়েছে। আজ দীর্ঘ দিন পর দলের নেতকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন রওশন। মতবিনিময়কালে রওশন বলেন, ‘আজকে যাঁরা এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরাই পার্টির প্রকৃত নেতাকর্মী।’
পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টি (জাপা) এলোমেলো হয়ে গেছে মন্তব্য করে রওশন বলেন, ‘আজ এরশাদ নেই। উনি থাকলে পার্টি অন্যরকম হতো। উনি নেই, তাই জাতীয় পার্টি আজ এলোমেলো হয়ে গেছে।’
এ সময় পার্টিকে গতিশীল করতে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া নেতাদের ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেন রওশন। তিনি বলেন, ‘যারা চলে গেছে তাঁদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। নতুবা রাজনীতির টিকে থাকতে পারব না।’
পার্টিকে শক্তিশালী করতে যা যা করা দরকার তাই করব। এরশাদ তিলে তিলে এই দলটা গড়েছেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। যোগ করেন রওশন এরশাদ।
সভায় রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহি (সাদ এরশাদ), রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।