আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পারিবারিক কলহে স্বামীর দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করল স্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পারিবারিক কলহের জের ধরে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে স্বামী জাহারুল ইসলাম উজিরকে (৪৫) কুপিয়ে দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে খালে ফেলে দিয়েছে স্ত্রী মুর্শিদা বেগম।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের বালিহারী গ্রামে এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে। জাহারুলের ভাগিনা নাসির স্থানীয়দের সহযোগীতায় শুক্রবার দুপুরে মুমুর্ষ অবস্থায় জাহারুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহারুলের স্ত্রী মুর্শিদা বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহারুল জানায়, ঘটনার রাতে ঘরের দরজা খুলে তার স্ত্রী মুর্শিদা কয়েকজন লোককে ঘরে ঢুকায়। ঘরে প্রবেশ করা লোকদের সহযোগীতায় মুর্শিদা তার দুই হাতের কব্জি কর্তন করে। বালিহারী গ্রামের আ. মান্নানের পুত্র জাহারুল পেশায় একজন দিনমজুর। জাহারুল মুর্শিদা দম্পতির ৯ ও ৫ বছর বয়সের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মূল রহস্য উদঘাটনে জাহারুলের স্ত্রী মুর্শিদাকে পুলিশি হেফাজতে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আবারও রাজনীতিতে ফিরলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মুম্বাইয়ের বালাসাহেব ভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে শিবসেনায় যোগ দেন গোবিন্দ।

পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন গোবিন্দ। সেই মিটিংয়ের পরই তিনি শিবসেনায় যোগ দিলেন।

এর আগেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ। তখন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি সেই দলের হয়ে ২০০৪ সালে লোকসভায় লড়েছিলেন উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকে। তখন তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রাম নায়ককে পরাজিত করেন। এরপর তিনি কংগ্রেস থেকে মুখ ফেরান এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শিবসেনায় যোগ দিয়ে গোবিন্দ বলেন, আমি মন দিয়ে ভালো করে কাজ করব। শিল্পের উন্নতির দিকে নজর রাখব।

একই সঙ্গে তিনি জানান মুম্বাই এখন অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। একনাথ শিন্ডের জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ অভিনেতা জানান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কি আবার নির্বাচনে লড়বেন গোবিন্দ? সেই বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই গোবিন্দ শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন।

গোবিন্দ যদি নির্বাচনে লড়েন তাহলে ২০০৪ সালের মতোই তিনি উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ব্যারিস্টার খোকনকে বারের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণে বারণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামন্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহন থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

গত ১০ মার্চ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল খায়ের এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী বিএনপির অন্য তিনজন হলেন, সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্য ৯ জন হলেন, সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার, সহ সভাপতি পদে ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন, ট্রেজারার পদে  মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী, সহ-সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (পল্লব)। সদস্য পদে বিজয়ী চারজন হলেন, রাশেদুল হক খোকন, মো. রায়হান রনী, মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও খালেদ মোশাররফ (রিপন)।


আরও খবর



ডিসি সম্মেলন শুরু কাল, আলোচনায় ৩৫৬ প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের আমলে প্রথম জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (৩ মার্চ)। চারদিনের এ সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৩৫৬টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেওয়াজ অনুযায়ী তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলন-২০২৪-এর উদ্বোধন করবেন।

আজ শনিবার (২ মার্চ)  সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলন ৩ মার্চ শুরু হয়ে ৬ মার্চ শেষ হবে। সবগুলো কার্যঅধিবেশন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে। এছাড়াও স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, সদয় নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।

সচিব বলেন, প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো রয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হবে।


আরও খবর



একীভূত হচ্ছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকটির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আপাতত বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে আমাদের সঙ্গে মার্জার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।

গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে পদ্মা ব্যাংক। অবশেষে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে এটি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে যা হবে প্রথম একীভূতকরণ।

আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে এক বৈঠকে ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত থাকবেন। এরপরই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্বল ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে মার্চে সেগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সম্প্রতি ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেড জোনে আছে পদ্মা ব্যাংক। আর ইয়েলো জোনে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক।


আরও খবর



সোনার নিলামেও সিন্ডিকেটের থাবা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

স্থায়ী খাতের প্রায় ২৫ কেজি সোনা বিক্রি করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিলাম ডেকেও কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি। এই সোনা বিক্রি করতে গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় নিলাম ডাকা হয়। সন্তোষজনক দাম না পাওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সর্বশেষ নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে দাম আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানটি রাজি না হলে পুনরায় নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়া সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে জমা করা হয়। এর পর মামলা নিষ্পত্তি হলে তা স্থায়ী খাতে নেওয়া হয়। স্থায়ী খাতে নেওয়া স্বর্ণ আন্তর্জাতিক মানের হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করে। আর আন্তর্জাতিক মানের না হলে সেটি নিলাম করে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

২৫ কেজি সোনা বিক্রির সবশেষ নিলামে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ভেনাস জুয়েলার্সসহ মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি হারের কাছাকাছি দাম প্রস্তাব করেনি। অর্থাৎ বৈধ সোনাও কাক্সিক্ষত দামে কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। সূত্রগুলো বলছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেটের কারণে নিলামে প্রত্যাশিত দামের দেখা পাচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।

তবে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেট থাকার কথা জানা নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) নির্বাহী সদস্য ও মুখপাত্র ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ব্যাংক বেশি দামে বিক্রি করতে চাইবে, আর ক্রেতা যতটা কমে সম্ভব কিনতে চাইবে। ফলে আমরা নিজেদের প্রফিটের দিক খেয়াল করেই সেটা কিনব।

নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত সোনার দাম ওঠানামা করছে। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না গেলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা বিক্রির নির্ধারিত একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ায় একটা প্রজেকশন প্রাইস থাকে। সেই প্রাইস যদি আমরা না পাই, তাহলে সেক্ষেত্রে রি-অকশন করা হয়। এ ধরনের অকশন আগেও একবার হয়েছিল।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় ২ হাজার ৪২৯ কেজি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম। সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে স্থায়ী খাতের আরও ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। যে কারণে সে সময় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। এর পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত অক্টোবরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠাগুলোর প্রস্তাবিত দর গত মাসে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে দামের প্রস্তাব করেছে, তাতে ২৫ কেজি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজেকশন রেটের চেয়ে কম হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিলাম কমিটি। এর পর বিষয়টি নিয়ে গত মাসে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত রেটের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ধরে সোনা বিক্রির প্রজেকশন রেট ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই রেটের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত কমিটি সোনা বিক্রি করে দেয়।

চলতি বছরও বাংলাদেশে সোনার দামে আরও রেকর্ড হয়েছে। বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে বর্তমানে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা।


আরও খবর