আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পারফেক্ট মেকআপ লুকের জন্য দূর করুন ছয়টি ভুল ধারণা!

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

মেকআপ করতে পছন্দ করে না এমন মেয়ে আজকাল খুঁজে পাওয়া কঠিন, তাই না? যেকোনো অকেশনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আমরা ডিফারেন্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করে থাকি। তবে মেকআপ নিয়ে অনেকের মধ্যে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে, যেগুলো আমাদের ফ্ললেস লুক ক্রিয়েট করতে বাধা তো দেয়ই, সেই সাথে ফিউচারে স্কিন ড্যামেজের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। মেকআপের কিছু মিথস অ্যান্ড ফ্যাক্টস সম্পর্কে জানাবো আজ। পারফেক্ট মেকআপ লুকের জন্য কোন ভ্রান্ত ধারণাগুলো দূর করতে হবে, জেনে নিন তাহলে।

মেকআপ প্রোডাক্টসে এসপিএফ থাকলে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে হয় না: দিনের বেলা সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা জরুরি। তবে অনেকেই মনে করেন, যদি ফাউন্ডেশন, কনসিলার অথবা পাউডারে এসপিএফ অ্যাড করা থাকে, তাহলে আর আলাদা করে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে হয় না! এটি কিন্তু ভুল ধারণা। কারণ বেশিরভাগ মেকআপ প্রোডাক্টসে যে এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন থাকে, তা কখনোই আপনার স্কিনকে পুরোপুরি নিরাপদ রাখার জন্য এনাফ না। তাই যদি সানট্যান ও এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করতে চান, তাহলে অবশ্যই ডে টাইমে মেকআপের আগে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন।

ময়েশ্চারাইজার ও প্রাইমারের কাজের মধ্যে কোনো ডিফারেন্স নেই:  বেইজ মেকআপ পারফেক্ট করে তুলতে ময়েশ্চারাইজার ও প্রাইমার দুটোর ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ দুটো প্রোডাক্ট নিয়ে যে মিথ বা ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে সেটা হলো, ময়েশ্চারাইজার ও প্রাইমারের কাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই এবং এই কারণে মেকআপ করার সময় যেকোনো একটি ইউজ করলেই চলে অথচ এ দুটো প্রোডাক্টের ফর্মুলা ও কাজ কিন্তু সম্পূর্ণ ডিফারেন্ট!

ময়েশ্চারাইজার ইউজ করলে আমাদের ফেইস দীর্ঘ সময় পর্যন্ত হাইড্রেটেড থাকে এবং এর ফলে মেকআপ লং লাস্টিং হয়। অন্যদিকে প্রাইমার ইউজ করলে আমাদের পোরগুলো কম বোঝা যায়, ছোট ছোট রিংকেলগুলোও কভার হয়ে যায় এবং সেই সাথে ফেইসের এক্সট্রা অয়েলও কন্ট্রোলে থাকে। এতে মেকআপের বেইজ একদম স্মুথ হয় এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মেকআপ লুক ইনট্যাক্ট থাকে। আশা করি, এখন আপনারা বুঝতে পারছেন যে ময়েশ্চারাইজার ও প্রাইমারের কাজ সম্পূর্ণ আলাদা। তাই মেকআপ করার সময় প্রথমে ময়েশ্চারাইজার ও তারপর প্রাইমার ইউজ করতে হবে।

মাশকারার স্পুলি বারবার পাম্প করে প্রোডাক্ট বের করে আনা যায়: মাশকারা ছাড়া চোখের সাজ কল্পনা-ই করা যায় না! তবে মাশকারার ব্যবহার নিয়েও আমাদের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। সেটা হলো মাশকারা অ্যাপ্লাইয়ের সময় যদি স্পুলি দিয়ে মাশকারা বোতলের মধ্যে কয়েকবার পাম্প করা হয়, তাহলে ভেতর থেকে সহজেই প্রোডাক্ট বের করে আনা যায়। আপনারা হয়তো অনেক ভিডিওতেও এই প্রসেসটি দেখেছেন। কিন্তু সত্যি বলতে এভাবে পাম্প করা হলে মাশকারার বোতলে বাতাস ঢুকে যাওয়ার ফলে মাশকারা খুব দ্রুত ড্রাই হয়ে যায়। সেই সাথে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ারও চান্স থাকে, যা পরবর্তীতে ইরিটেশনের কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত পাম্প করা থেকে বিরত থাকুন।

মেকআপ প্রোডাক্টসের এক্সপায়ার্ড ডেইট থাকে না:  অনেকেই আছেন যারা একটি স্পেসিফিক মেকআপ প্রোডাক্ট কেনার পর বছরের পর বছর সেটি ইউজ করতে থাকেন। তারা মনে করেন মেকআপ প্রোডাক্টসের কোনো তো এক্সপায়ার্ড ডেইট থাকে না। বিশেষ করে আইশ্যাডো, ফাউন্ডেশন কিংবা ব্লাশের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়!

আসলে অন্যান্য সব প্রোডাক্টের মতো মেকআপ প্রোডাক্টসেরও এক্সপায়ার্ড ডেইট থাকে এবং এই ডেইটের পর সেই প্রোডাক্ট ইউজ করা হলে স্কিনে ইরিটেশন বা অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হওয়ার পসিবিলিটি থাকে। তাই যখন কোনো মেকআপ প্রোডাক্ট কিনবেন, তখন প্রোডাক্টের প্যাকেজিংয়ে এক্সপায়ার্ড ডেইট কবে সেটি খুঁজে বের করুন এবং সে অনুযায়ী প্রোডাক্ট ইউজ করুন।

ফাউন্ডেশন কেনার সময় গলায় সোয়াচ করে কেনা উচিত: ফাউন্ডেশন কেনার সময় নিজের সঠিক শেইড খুঁজে পেতে কনফিউজড হননি এমন মানুষ খুব কম রয়েছেন। গলার স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে ফাউন্ডেশনের শেইড চুজ করেন অনেকেই! কিন্তু অনেকেরই ফেইস আর নেক এর স্কিনটোন ডিফারেন্ট থাকে। সেক্ষেত্রে যদি গলায় সোয়াচ করে ফাউন্ডেশন কেনা হয়, তাহলে দেখা যায় অ্যাপ্লাই এর পর ফাউন্ডেশন ফেইসের চেয়ে এক থেকে দুই শেইড লাইট বা ডার্ক মনে হয়। এই সমস্যা এড়াতে সবসময় ন্যাচারাল লাইটে সরাসরি ফেইসে সোয়াচ করে ফাউন্ডেশন পারচেজ করুন।

ড্রাই স্কিনে পাউডার অ্যাপ্লাই করার প্রয়োজন নেই: মেকআপ করার সময় ফেইসে ফাউন্ডেশন বা কনসিলারের মতো ক্রিম বেইজড প্রোডাক্টগুলো সেট করার জন্য লুজ পাউডার বা কমপ্যাক্ট পাউডার ইউজ করতে হয়। তবে অনেকের ধারণা, যদি স্কিন টাইপ ড্রাই হয়, তাহলে মেকআপের সময় পাউডার অ্যাপ্লাই না করাই ভালো, কারণ তাতে ফেইসে আরো বেশি ড্রাইনেস ফিল হয়। কিন্তু আপনার স্কিন টাইপ ড্রাই, অয়েলি বা কম্বিনেশন যেটাই হোক না কেন ফেইসে ক্রিম বেইজড মেকআপ প্রোডাক্ট সেট করতে পাউডারের হেল্প নিতে হবে। তা না হলে ফাউন্ডেশন সেপারেট হয়ে যেতে পারে, মেকআপ লুক কেকি হয়ে যেতে পারে।

আশা করি, মেকআপ নিয়ে আপনাদের অনেকগুলো ভুল ধারণা দূর করতে পেরেছি। লেখার শেষে সবাইকে পরামর্শ দিতে চাই, সবসময় বেস্ট কোয়ালিটির অথেনটিক মেকআপ, স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস পারচেজ করুন। কারণ দিনশেষে ত্বক ও চুল সুন্দর রাখাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য, তাই না? অথেনটিক মেকআপ, স্কিন কেয়ার কিংবা হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য সাজগোজ হতে পারে ভরসার জায়গা। ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে।


আরও খবর
গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল গতকাল মঙ্গলবার। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা। এর সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তির দাবিও জানান।

বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে আছেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না।


আরও খবর



ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে।

দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্র থ্রি হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হয়। তারা তিনজনই একই পরিবারের। নিহতরা হলেন, লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) এবং শিশু সন্তান মাহিত (২)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, নিহতরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে সন্তানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।

এছাড়াও ত্রিশালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে মারুফের (১৮) বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ এবং আপেল মিয়ার (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া ত্রিশালের বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় ২ অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু হয়। এদের একজন নাসিমা (৩৫), তার বাড়ি একই উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামে এবং অপর আরেকজনের পরিচয় সনাক্তকরণে কাজ চলছে বলে জানান, ত্রিশাল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া।

অপরদিকে, একই দিন সকালে তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী।


আরও খবর



সেঞ্চুরি ছাড়াই রেকর্ড ৫৩১ রান শ্রীলঙ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ ফিফটিতে ৫৩১ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিন হাফ সেঞ্চুরি করেন দুই ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কা, দিমুথ করুণারত্নে এবং ওয়ানডাউনে নামা কুশল মেন্ডিস।

আজ দ্বিতীয় দিনে অর্ধশতকের মাইলফলক স্পর্শ করেন দিনেশ চান্দিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। তাদের অটল ও ভারসাম্যহীন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় গড়েছে শ্রীলঙ্কা।

লঙ্কানদের হয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন চান্দিমাল ও ধনঞ্জয়া। দুই জনেই হাঁকান ফিফটি। অবশেষে তাদের ৮৬ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। চান্দিমালকে (১০৪ বলে ৫৯) বিহাইন্ড দ্য উইকেটে লিটন দাসের হাতের ক্যাচ বানান সাকিব। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সফলতা বলতে কেবল একটি উইকেট।

দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই লঙ্কান ব্যাটার ধনঞ্জয়াকে ফেরান খালেদ আহমেদ। ১১১ বলে ৭০ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টাইগার পেসার। এই সেশনে আরও একটি উইকেট নেন সাকিব। প্রবাত জয়সুরিয়াকে (৭৫ বলে ২৮) এলবিডব্লিউ করেন টাইগার অলরাউন্ডার।

তৃতীয় সেশনে বিশ্ব ফার্নান্ডোকে (২৬ বলে ১১) রানআউট করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন লাহিরু কুমারা (১২ বলে ৬) ও রানের খাতা খোলার আগে আসিথা ফার্নান্ডোকে রানআউট করেন তাইজুল ইসলাম।

এর আগে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান তুলে লঙ্কানরা।

ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন দুই লঙ্কান ওপেনার। ওই দিন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে জুটি ভাঙে টাইগাররা। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দুই রান নিতে গিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন হাফসেঞ্চুরিয়ান মাদুশঙ্কা (৫৭)।

সেশনের শেষদিকে এসে বাংলাদেশ পেয়েছে আরও একটি উইকেট। কুশল মেন্ডিস এবং দিমুথ করুনারত্নের ১১৪ রানের জুটিটি ভাঙেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এই পেসারের বাইরের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটে টেনে এনে বোল্ড হন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থাকা করুনারত্নে (১২৯ বলে ৮৬ রান)।

তৃতীয় সেশনে আরও দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকা (১৫০ বলে ৯৩) লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস টাইগার অলরাউন্ডার সাকিবের একটি আউট সুইং বলে খোঁচা দিতে গিয়ে মিরাজের হাতে ধরা পড়েন।

চতুর্থ উইকেটে দিনেশ চান্ডিমালের সঙ্গে ম্যাথিউজের জুটিটা বড় হয়নি। মাত্র ২৬ রানের। পেসার হাসান মাহমুদের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন ম্যাথিউজ। ২৩ রানে আউট হন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন সাকিব। ২ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও ১টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।


আরও খবর



রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর



দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধের ছয়মাস পর খান ইউনিসসহ দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে উপত্যকাটির অন্য অঞ্চলগুলোতে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা।

যুদ্ধাবস্থার মধ্যে বিচ্ছিন্নতার মাত্রা, সময়কাল সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদনের মধ্যে দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে স্থল সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, আইডিএফ-৯৮ কমান্ডো ডিভিশন খান ইউনিসে নিজেদের মিশন শেষ করেছে। এ বাহিনীর গাজা ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য প্রস্তুত ও পুনরুদ্ধার করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইডিএফ-১৬২ কমান্ডো ডিভিশন ও নাহাল ব্রিগেডের নেতৃত্বে একটি উল্লেখযোগ্য বাহিনী গাজা উপত্যকায় কাজ করে চলেছে। আইডিএফ তাদের কাজের স্বাধীনতা ও সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা ভিত্তিক অপারেশন পরিচালনার ক্ষমতা রক্ষা করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনা। তবে বিশদ বিবরণ না দিলেও রয়টার্সকে তারা একটি ব্রিগেড গাজায় রেখে দেওয়া কথা জানিয়েছে। একটি ইসরায়েলি ব্রিগেড সাধারণত কয়েক হাজার সৈন্য দ্বারা গঠিত।

এদিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে দীর্ঘ ও হুমকিপূর্ণ অনুপ্রবেশ বিলম্বিত হবে কিনা, সেটি স্পষ্ট হয়নি। কেননা, ইসরায়েল শুরু থেকেই হামাসকে নির্মুলের কথা বলে আসছেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহারের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মন্তব্য যে, সিদ্ধান্তটি সম্ভবত সৈন্যদের "বিশ্রাম ও সংস্কার" করার একটি সুযোগ হতে পারে।


আরও খবর