রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গত ডিসেম্বর থেকে
এখন পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সময়ে
আহত হয়েছে অন্তত ৮০ হাজার সেনা। মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি নতুন
গোপন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
জন কিরবি বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে লড়াইয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত সেনাদের মধ্যে অর্ধেকই ওয়াগনার কোম্পানির ভাড়াটে সেনা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সভায় বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ৫০
রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত বছর থেকে ইউক্রেনের
এই ছোট শহরটি দখলের জন্য আগ্রাসী ভূমিকায় চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও বাখমুতের বেশির ভাগ
অংশ তাদের দখলে রয়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনারা এই শহরের পশ্চিমাংশের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে
নিয়েছে। নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় উভয় পক্ষে এই শহরে ভয়ংকর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা যতটা
সম্ভব রুশ সেনাদের হত্যা করতে এবং তাদের যুদ্ধাস্ত্রের মজুত কমিয়ে আনতে যুদ্ধ চালিয়ে
যাচ্ছেন।
জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, বাখমুতের দনবাস
অঞ্চলে রুশ বাহিনীর আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়া এখানকার কোনো উল্লেখযোগ্য কিংবা কৌশলগত
অঞ্চল দখল করতে পারেনি। আমাদের ধারণা, গত পাঁচ মাসে রাশিয়ার ১ লাখেরও বেশি সেনা হতাহত
হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি নিহত হয়েছেন।
জন কিরবি আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনের হতাহতের আনুমানিক সংখ্যা প্রকাশ করছি না। কারণ এই যুদ্ধে ইউক্রেন ভুক্তভোগী। আর রাশিয়া আগ্রাসী।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা বাড়ছে ইসরাইলি সেনাদের
বিবিসি জানিয়েছে, তারা জন কিরবির দেওয়া
তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এমনকি রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এই হতাহতের ব্যাপারে কোনো
মন্তব্য করা হয়নি।
ইউক্রেনের বাখমুত শহরে যুদ্ধের আগে বাসিন্দা
ছিল প্রায় ৭০ হাজার। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের মধ্যে রাখতে
চায়। কৌশলগত কারণে শহরটি অগুরুত্বপূর্ণ। গত বছর থেকে শহরটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার
জন্য রাশিয়া মরিয়া হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে
হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। তারপর থেকে দেশটিতে রুশ বাহিনী ও ইউক্রেন বাহিনীর মধ্যে
যুদ্ধ চলছে।