আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাঁচ ব্যাংককে দেওয়া চিঠি ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তারল্যসংকটে পড়া শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে লেনদেন থেকে বিরত রাখার বিষয়ে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের নিয়মিত কাজ বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি। তবে লেনদেন থেকে বিরত রাখার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

নির্ধারিত সময়ের (২৬ ডিসেম্বর) পর পরিস্থিতি কী হয়, সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ছেপেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক রোববার দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। সংকটে থাকা পাঁচ ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। সব কটি ব্যাংকই চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন।

গত শুক্রবার একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি হিসাবে ঘাটতির কারণে এই পাঁচ ব্যাংকের লেনদেন সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি হিসাবের স্থিতি ঋণাত্মক। বিষয়টি বারবার অবহিত করার পরও ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

তাই বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ের জন্য ২০ কর্মদিবস সময় বেঁধে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ২০ দিনের মধ্যে চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয় করা না হলে ক্লিয়ারিং বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থেকে ব্যাংকগুলোকে বিরত রাখা হবে। ফলে চেক ক্লিয়ারিং, অনলাইন অর্থ স্থানান্তর, এটিএম সেবাসহ তাদের বেশির ভাগ সেবা বন্ধ হয়ে যাবে। এই ২০ কর্মদিবসের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, মতিঝিল কার্যালয়ের ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বিভাগে রক্ষিত আপনাদের চলতি হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন লেনদেন নিষ্পত্তি, যেমন চেক ক্লিয়ারিং সেবা (বিএসিপিএস), অনলাইন অর্থ স্থানান্তর (বিইএফটিএন), এটিএম ও ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে অন্য ব্যাংক থেকে সেবা গ্রহণ (এনপিএসবি) ও তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর (আরটিজিএস) সেবার লেনদেন সম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনাদের চলতি হিসাবের স্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে চলতি হিসাবের স্থিতি দীর্ঘদিন যাবৎ ঋণাত্মক, যা স্বাভাবিক ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, ২৬ ডিসেম্বরের পর কী হবে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই সিদ্ধান্ত নেবে। মতিঝিল অফিসের চিঠিটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এমন চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় দিয়ে থাকে। এটা ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা।

মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় এ নিয়ে চিঠি দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর কাঠামোগত সমস্যার কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের ২২ শতাংশ পেয়েছে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো, আর ঋণের ২৬ শতাংশ দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশ এসব ব্যাংক আনছে। ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ৯ শতাংশের বেশি হলেও ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোয় গড় খেলাপি ৪ শতাংশের মধ্যে। কাঠামোগত সমস্যার কারণে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোতে কিছু তারল্য সমস্যা হয়েছে।

ইসলামি ধারার শুধু এই পাঁচ ব্যাংকই কেন সংকটে, এই প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, এগুলোর ব্যবসার ধরন একই রকম। আর সব ব্যাংক একই সময়ে সমস্যায় পড়বে, এটাও কোনো কথা না। আজকে যেই ব্যাংক ভালো, কাল সেটা খারাপ হতে পারে। আবার সংকটে পড়া ইস্টার্ণ ব্যাংক এখন ভালো ব্যাংকগুলোর একটি। ওরিয়েন্টাল ব্যাংককেও ঠিক করতে মূলধন বিনিয়োগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাতের জন্য যখন যা প্রয়োজন, সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই পাঁচ ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে দিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা

উপায়ে ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিয়ে থাকে। এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। মুদ্রানীতিতে টাকার সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এবারের নীতিতে ৩৪ হাজার কোটি টাকার সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য আছে। ইতিমধ্যে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে।

শুধুই কাঠামোগত নাকি এসব ব্যাংকে সুশাসনের সমস্যাও আছে, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, এর মধ্যে দুটি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক (ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি) নিয়োগ দেওয়া আছে। তাঁরা ব্যাংকগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

মুখপাত্র আরও জানান, এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য। এরপর বহিস্থ চাপ থেকে বের হয়ে এলে সংকটে পড়া ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।


আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে। এজন্য তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভায় রদবদলে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পর অনেকটা আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা। রোববার দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে পার্নপ্রির পদত্যাগের তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে থাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে। তবে দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়েছে থাইল্যান্ডের রাজা। রোববার সরকারি রাজকীয় গেজেটে প্রকাশিত মন্ত্রিসভার তালিকায় দেখা যায়, পার্নপ্রি কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। মন্ত্রিসভায় রদবদল এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারাকে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই গেজেট প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: থাইল্যান্ড

আরও খবর



চাঁদপুর ১৮ কেজি গাঁজাসহ আটক এক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৮ কেজি গাজা সহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড স্টেশন চাঁদপুর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল আজ ৩০ এপ্রিল ভোর ৬টায় চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন রাজদূত প্রাইম নামক একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের অভ্যন্তরে এক ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ডের অভিযানিক দল উক্ত ব্যক্তিকে থামার সংকেত প্রদান করে। অতঃপর উক্ত ব্যক্তির সাথে থাকা ২টি ব্যাগ তল্লাশি করে ১৮ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত গাঁজা ও আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁদপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর