আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাঁচ বছরে বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাঁচ বছর আগেও দেশের বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। তবে ২০২১ সাল শেষে বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণ ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। করোনা মহামারীর দুই বছরেই বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। আর সর্বশেষ পাঁচ বছরের হিসাবে এ ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে।

দেশের বেসরকারি খাতে ব্যাংকঋণের প্রবৃদ্ধি আটকে আছে ১০ শতাংশের ঘরে। লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করেও তা বাড়ানো যায়নি। কিন্তু করোনাকালের দুই বছরে বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে বিতরণকৃত অল্প সুদের এ ঋণ ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ হলেও দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারও বিদেশী বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। গত ডিসেম্বর শেষেই সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৯০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আগামীতে দুটি খাতেই বিদেশী ঋণ আরো বাড়বে। এ অবস্থায় ঋণ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ডলারের সংস্থান করা দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বেসরকরি খাতের বিদেশী ঋণের বড় অংশই স্বল্পমেয়াদি। গড়ে এসব ঋণের মেয়াদ তিন বছর ধরলে প্রতি বছরই প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার রোলওভার করতে হবে। বেসরকারি খাতের এ ঋণের সঙ্গে সরকারি ঋণ যুক্ত করলে রোলওভারের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। এখন দেখতে হবে, প্রতি বছর ওই পরিমাণ ডলার ঋণ পরিশোধের জন্য সংস্থান করা সম্ভব কিনা? বৈদেশিক ঋণের রোলওভার করতে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে গেছে।

আহসান এইচ মনসুরের ভাষ্য হলো, করোনাসৃষ্ট বৈশ্বিক দুর্যোগের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার পড়ে গিয়েছিল। এজন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশীদের বেশি হারে ঋণ দিয়েছে। এখন বিশ্ববাজারে সুদহার ঊর্ধ্বমুখী। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশীরা বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে ঋণ তুলে নিয়ে উন্নত দেশগুলোয় বিনিয়োগে উৎসাহী হয়। যদি পরিস্থিতি সে পর্যায়ে যায়, তাহলে বিদেশী ঋণ রোলওভার না করে পুরোপুরি পরিশোধ করে দিতে হবে। সেটি হলে বাংলাদেশের ডলারের বাজারের বিদ্যমান অস্থিরতা আরো বাড়বে। দেশে ডলারের বিনিময় হার যদি বেড়ে যায়, তাহলেও বিদেশী ঋণগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের বেসরকারি খাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ৯২৫ কোটি ডলার। পরের তিন বছর এ ঋণ বেড়েছে স্বাভাবিক গতিতে। কিন্তু করোনা মহামারী শুরুর পর এ ঋণপ্রবাহ দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২০ সালেই বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৭৬ কোটি ডলার। ২০২১ সালে এসে এ ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। বেসরকারি খাতে বিদেশী এ ঋণের মধ্যে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলারই স্বল্পমেয়াদি ঋণ, যা মোট ঋণের ৬৭ শতাংশ। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৭৬১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।

করোনাসৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময়ে উন্নত দেশ ও বহুজাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বিনিয়োগযোগ্য অলস তারল্যের পাহাড় গড়ে ওঠে। লন্ডন ইন্টার-ব্যাংক অফার্ড রেট (লাইবর) নেমে আসে ইতিহাসের সর্বনিম্নে। এর সুবাদে দেশের বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদেই বিদেশী ঋণ নিতে পেরেছে। লাইবর রেট কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও এখনো বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা ৩-৪ শতাংশ সুদে এ ঋণ নিতে পারছেন। এছাড়া উদ্যোক্তাদের বিদেশী ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং শর্তও এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সহজ হয়েছে। পুরনো বিদেশী ঋণ পরিশোধে ডেফারেল সুবিধাও (ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময়) পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের উচ্চপ্রবৃদ্ধির পেছনে এসব সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের জোগান দিয়েছে বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বণিক বার্তাকে বলেন, উদ্যোক্তারা চান স্বল্প সুদের ঋণ। এটি জোগান দেয়ার জন্য বিদেশী ঋণের কোনো বিকল্প নেই। এখনো আমরা ৪ শতাংশের কম সুদে উদ্যোক্তাদের বিদেশী ঋণ এনে দিতে পারছি। গ্রাহক যদি ভালো হয় তাহলে বিদেশী ঋণের কোনো ঝুঁকি থাকার কথা নয়। ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।

দেশের তৈরি পোশাক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য উৎপাদন, টেক্সটাইল, ওষুধ, সিরামিক, যন্ত্রপাতি, গাড়ি, সিমেন্ট, রাবার, প্লাস্টিক, তামাক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি খাতের ৭৬১ কোটি ডলার বিদেশী মেয়াদি ঋণের মধ্যে ট্রেড ক্রেডিট ও ডেট সিকিউরিটিজও রয়েছে। আর স্বল্পমেয়াদি ঋণের মধ্যে রয়েছে বায়ার্স ক্রেডিট, ডেফার্ড পেমেন্ট, রফতানি খাতের বিল ডিসকাউন্ট, বিদেশী ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্র ও স্বল্পমেয়াদি ডেট লায়াবিলিটিজ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরে স্বল্পমেয়াদি বায়ার্স ক্রেডিটে বিদেশী ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চে বায়ার্স ক্রেডিটে বিদেশী ঋণ ছিল ৪৮৩ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৮২১ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।  বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণ প্রবাহের প্রধান মাধ্যম ব্যাংকগুলোর অফশোর ইউনিট। দেশের ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমে আছে ৩৬টির। এছাড়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (বিডা) অন্যান্য কিছু মাধ্যমেও বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণ বিতরণ হয়।

এতদিন দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের বিদেশী ঋণ গ্রহণের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল হংকং। কিন্তু সম্প্রতি চীন এ ঋণের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত চীন থেকে ১৭৪ কোটি ডলারের দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণ নিয়েছেন বাংলাদেশী শিল্পোদ্যোক্তারা। একই সময়ে হংকং থেকে ১৪৮ কোটি ডলার বিদেশী ঋণ এসেছে। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ঋণদাতা শীর্ষ ১০ দেশের তালিকার অন্যরা হলো যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, জার্মানি, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া আন্তর্জাতিক বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও বিদেশী ঋণ নিচ্ছেন বাংলাদেশী শিল্পোদ্যোক্তারা।

লাইবর রেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এক দশক আগে লাইবর ছিল ৬ শতাংশেরও বেশি। এক বছর আগে লাইবরের সুদহার গড়ে দশমিক ২০ শতাংশে নেমে আসে। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে লাইবরের সুদহার ঊর্ধ্বমুখী। চলতি সপ্তাহে এক বছর মেয়াদি লাইবর সুদহার ছিল ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। ছয় মাস মেয়াদি লাইবর ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং এক মাসের কম মেয়াদ লাইবর দশমিক ৫৫ শতাংশে নির্ধারিত হয়েছে। লাইবরের নিম্ন সুদহারকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশী বড় শিল্পোদ্যোক্তারা কমিশন, ফিসহ সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী মনে করেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি, যেকোনো বিদেশী ঋণই সঠিক সময়ে পরিশোধ করা দরকার। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধের দিক থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম আছে। বিদ্যমান সুনাম ধরে রাখতে হলে কোনোভাবেই বৈদেশিক বাণিজ্যের ঋণপত্রের দায় কিংবা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া যাবে না। এজন্য সস্তা হলেও বিদেশী ঋণ গ্রহণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিদেশী ঋণ নিলে তাকে বিদেশী মুদ্রায় পরিশোধের বিষয় নিয়ে ভাবতে হয় না। কিন্তু রাষ্ট্রকে দেখতে হয় প্রতি বছর কত পরিমাণ ঋণ বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ডলার

আরও খবর



আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন এসব শোকজ পাওয়া নেতা।  এর আগে প্রথম দফার ভোটে যাওয়া ৮০ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে শোকজ করা ৬১ নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২০ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১৬ জন রয়েছেন। এছাড়া এ ধাপের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১২ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে ৪ জন।  জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে কমসংখ্যক নেতা ভোটে অংশ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, শোকজ করার কারণ হলো তাদেরকে আরেকটি সুযোগ দিতে চায় দল। এর মধ্যেও যদি কেউ ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে।

দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্র থ্রি হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হয়। তারা তিনজনই একই পরিবারের। নিহতরা হলেন, লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) এবং শিশু সন্তান মাহিত (২)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, নিহতরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে সন্তানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।

এছাড়াও ত্রিশালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে মারুফের (১৮) বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ এবং আপেল মিয়ার (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া ত্রিশালের বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় ২ অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু হয়। এদের একজন নাসিমা (৩৫), তার বাড়ি একই উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামে এবং অপর আরেকজনের পরিচয় সনাক্তকরণে কাজ চলছে বলে জানান, ত্রিশাল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া।

অপরদিকে, একই দিন সকালে তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর



বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা।


আরও খবর



চলতি মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে হজের প্রথম ফ্লাইটের তারিখ ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। দ্রুত এই শিডিউল যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছর ঈদের একমাস আগে থেকেই শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। অথচ এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪