১৩৮ রান তাড়া
করতে নেমে দলীয় পঞ্চাশ পেরোতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে কলকাতা নাইট রাইডার্স। যে কারণে
জেঁকে বসে পরাজয়ের আশঙ্কা। তখনই দৃশ্যপটে হাজির আন্দ্রে রাসেল। একের পর এক ছয়ের মারে
পাঞ্জাব কিংসকে রীতিমতো উড়িয়েই দিলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে
স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে উমেশ যাদবের আগুনঝরা বোলিংয়ে ১৮.২ ওভারে মাত্র
১৩৭ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় পাঞ্জাব। জবাবে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারালেও, রাসেলের তাণ্ডবে
৩৩ বল আগেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে কলকাতা।
দুই ওপেনার ভেংকটেশ
আইয়ার (৩) ও অজিঙ্কা রাহানে (১২) হতাশ করার পর পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলেছিলেন অধিনায়ক
শ্রেয়াস আইয়ার। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২৬ রান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে শ্রেয়াস ফেরার
পর শূন্য রানে আউট হন নীতিশ রানা।
ফলে ৭ ওভার শেষে
কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৫১ রান। সেখান থেকে পরের ৭.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয়
কলকাতা। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৪৫ বলে ৯০ রান যোগ করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার
স্যাম বিলিংস ও আন্দ্রে রাসেল।
যেখানে ২ চার
ও ৮ ছয়ের মারে মাত্র ৩১ বলে ৭০ রান করেন রাসেল। অন্যদিকে ২৩ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত
থাকেন বিলিং। রাসেলের এই তাণ্ডবের সামনে বৃথা যায় রাহুল চাহারের দুর্দান্ত বোলিং। এ
লেগস্পিনার ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ১৩ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট।
অবশ্য এমন ঝড়ো
ব্যাটিং করেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেননি রাসেল। কেননা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা
বোলিং করে পাঞ্জাবকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার উমেশ যাদব। তিনি নিজের ৪ ওভারে
মাত্র ২৩ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন ভানুকা রাজাপাকশে। তাও কি না মাত্র ৯ বলে, সমান তিনটি করে চার-ছয়ের মারে। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ১৬ বলে ২৫ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১৬ বল থেকে করেছেন ১৯ রান। পাঞ্জাবকে ধসিয়ে দেওয়া উমেশের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।