আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পাকিস্তানকে ২০২ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে অলআউট হয়েছে। যেখানে লিড দাঁড়িয়েছে ২০১ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চ বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাশ। প্রথম ইনিংসে তিনি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তবে এরপরই ইয়াসির আলীর কনকাশন বদলি হিসেবে নামা নুরুল হাসান সোহান বিদায় নেন। সাজিদ খানের বলে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ফাহিম আশরাফের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৩৩ বলে ১৫ রান করেন এই ডানহাতি।

সাজিদ খানের বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৪ বলে ১১ রান করেন তিনি। বাংলাদেশ হারিয়েছে ৬ উইকেট

পানি পানের বিরতির আগেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সার ইয়াসির আলীর হেলমেটে আঘাত করে। পরে মাঠে ফিজিও আসার পর তার সঙ্গে কথা বলে খেলা চালিয়ে গেলেও, পানি পানের বিরতির সময় ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার। ৭২ বলে ৬টি চারে ৩৬ রান করেন তিনি। ইয়াসির উঠে যাওয়ায় পর উইকেটে আসনে মেহেদী হাসান মিরাজ।

তবে ইয়াসিরের কনকাশন বদলি হিসেবে নুরুল হাসান সোহানের নাম নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি মাঠে ব্যাট ও বল দুটিই করতে পারবেন।

সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন মাঠে নেমেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তান পেসার হাসান আলীর বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ৩৩ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এরইসঙ্গে স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পারকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটির চতুর্থ দিন মাঠে নামে বাংলাদেশ।

এর আগে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস ২৮৬ রানেই গুটিয়ে দিয়ে পাওয়া টাইগারদের ৪৪ রানের লিড দিন শেষে দাঁড়ায় ৮৩ রানে। ১২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ৮ রানে ব্যাটে ছিলেন ইয়াসির আলী।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। এর আগে ভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি থেমেও যায়। যদিও এর আগেই ঢাকাসহ চার বিভাগের দুএক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানীতে বৃষ্টি তীব্র গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

দেশের আট বিভাগে অর্থাৎ সারাদেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। তীব্র গরমে সারাদেশের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। গরমে অনেকের নির্ঘুম কাটছে রাত।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার সকাল ৯ টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




আজ থেকে যেসব ব্যাংকে পাওয়া যাবে নতুন নোট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (৩১ মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। গত ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের (ডিসিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে। তবে একই ব্যক্তি একাধিকবার সেটি গ্রহণ করতে পারবেন না। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই নোট বিতরণ করা হবে।

যেখানে পাওয়া যাবে:

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখায় নতুন নোট মিলবে।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখায় পাওয়া যাবে।

এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবুবাজার, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকার কচুক্ষেত করপোরেট, দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ইব্রাহীমপুর এবং এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখায় ঈদের নতুন নোট পাওয়া যাবে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী এবং এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা থেকে নতুন নোট নেয়া যাবে।

তাছাড়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার, সাভার, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, প্রাইম ব্যাংকের সাভার, সাভার, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখায় মিলবে ঈদের নতুন নোট।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪




ত্রিশালে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামের এনামুল হকের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২), চিকনা মনোহর এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী (থিসিস) সালমান আজাদী (২৮)।

ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) চাঁদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী সোনার ময়না পরিবহনের বাসটি যাত্রী নামিয়ে ইউটার্ন নিচ্ছিল। এমন সময় ময়মনসিংহ ছেড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু নিহত হয়। এতে আহত হয় আরও ছয়জন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর