আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পাকিস্তানি তরুণী ২২ বছর পর বাংলাদেশে সন্ধান পেলো পরিবারের

প্রকাশিত:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মুহাম্মদ কাসিম আজাদ ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে মেহবুবা নামে স্থানীয় এক নারীকে বিয়েও করেছিলেন। সে ঘরে জন্ম নিয়েছিল একটি কন্যা সন্তান। এরপর দেশে ফিরেছিলেন কাসিম। দেশে আসার পর ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর পেরিয়ে গেছে দেড় যুগের বেশি সময়। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া কাসিমের মেয়ে তাহরিম রিদাও বেড়ে ওঠেন। কিন্তু বাংলাদেশে বাবার পরিবারের সঙ্গে তার কোনও সংযোগ ছিল না। শুধু জানতে ফেনী জেলায় বাবার বাড়ি। বাবার নাম ও জেলা ছাড়া কিছুই জানতেন না। পিতৃ পরিচয় জানতে খোঁজ চালাতে থাকেন রিদা।

দীর্ঘ ২২ বছর পর বাংলাদেশ বাবার পরিবারের সন্ধান পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানে অবস্থান করে ফেনীর একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়ে সংযোগ স্থান হয়েছে বাবার পরিবারের সঙ্গে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩ টা ৫৭ মিনিটে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে রিদা আমাদের ফেনী’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আমি এখানে আমার বাবার পরিবার খুঁজতে এসেছি। আমার বাবা ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান এসে আমার মাকে বিয়ে করেছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের ফেনী থেকে এসেছিলেন। তার নাম ছিল মুহাম্মদ কাসিম আজাদ। আমার দাদার নাম তফাজুল হক। যিনি সম্ভবত আমার পিতার শৈশবে মারা গেছেন।

আরও লেখেন, আমি আমার বাবার পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি বা প্রায় কিছুই জানি না। গ্রুপে নিজ চাচার একটি ছবি দিয়ে তিনি বলেন আবু সাদিক আমার বাবার বড় ভাই। যদি কেউ এই পরিবার সম্পর্কে কিছু জানেন তবে আমার পরিবারের আমাকে জানাবেন। আমি তাদেরকে কখনও দেখিনি।

কলেজে বা বাইরে গেলে তার বাবার পরিচয় জানতে অনেকেই বিরক্ত করে। পিতৃপরিচয় না থাকায় অবহেলিত হতে হয়েছে ২২ বছর। তার বাবা পাকিস্তান থাকাকালীন তার মাকে বিয়ে করেন। পাকিস্তানে তার মাকে রেখে দেশে গেলে অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর তার পরিবারের সঙ্গে আর পরিচয় হয়নি।

পোস্ট দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যে তাহরিমের বাবার পরিবারের সন্ধান মেলে। জানা যায়, তার বাবার বাড়ি দাগনভূঞার ফাজিলের ঘাটে। পোস্ট দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যেই তার ফুফু ও ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়।

তাহরিমের বাবা দেশে এসে তার মাকে চিঠি পাঠাতো। চিঠিতে উল্লেখিত ঠিকানা সংগ্রহ করে তাহরিম ফেনী নামক শব্দটি পায়। পরে ফেনী গুগলে সার্চ করে জানতে পারে এটি একটি জেলা। পরে ফেনী সার্চ করে ফেনী নামক গ্রুপটি পায়। এরপর যাবতীয় ডিটেইলসসহ ফেসবুকে ইংরেজিতে পোস্ট করেন। এরপর ট্রান্সলেশন করে বাংলায় পোস্ট দেন অ্যাডমিন প্যানেল।

দাগনভূঞা থানার ওসি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাহরিমের বাবার পরিবারের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়। বর্তমানে তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হয়েছে।

পিতৃপরিচয় পেয়ে তাহরিম বলেন, ফেনীর মানুষ কে কী বলে ধন্যবাদ দেবো তা বলার ভাষা আমার নেই। আমাকে যারা খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে সবাইকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক। খুব শিগগির আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



ডেমরায় আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরার কাপড়ের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও। এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় চারতলা ভবনটির তিনতলায় কাপড়ের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে চার তলাসহ অন্যান্য ফ্লোরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে একে একে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ  শুরু করে।

তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সর্ভিস। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চার তলা ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কাছাকাছি পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।


আরও খবর



হাতবদলেয় ৪০ টাকার পাইকারি লেবু খুচরায় ৮০

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাস কেন্দ্র করে লাগামহীন দেশের নিত্যপণ্যের বাজার। এর প্রভাবে বাজারে ক্রেতার ঘাম ঝরাচ্ছে ইফতারির অন্যতম অনুসঙ্গ লেবুর চড়া দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে শুক্রবার (১৫ মার্চ) দেখা যায়, পাইকারি ৪০ টাকা হলেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কোথাও কোথাও আবার সেটি চাওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, লেবুর দাম কমতে শুরু করেছে। মূলত রোজার আগে ও শুরুর দিকে ক্রেতারা দাম বাড়ার শঙ্কায় বেশি বেশি লেবু কিনে মজুত করেছেন। যার প্রভাব পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর।

সবজি বিক্রেতা আজিজ বলেন, রোজা এলেই ক্রেতারা পণ্য কিনে ফ্রিজ ভর্তি করা শুরু করে। এতে সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়ে। এ ছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটও রয়েছে। যার প্রভাবে বেড়েছে লেবুর দাম।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারিতে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর শ’প্রতি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়।

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামে দ্বিগুন পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে হাতবদল হলে এমনিতেই পণ্যের দাম বাড়ে। কারণ পাইকারি দামের সঙ্গে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ যুক্ত হয়। তাছাড়া অসাধুদের দৌরাত্ম্যতো রয়েছেই।

ক্রেতারা বলছেন, ইফতারিতে বহুল ব্যবহৃত একটি পণ্য লেবু। সিন্ডিকেট করে সেটির দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। রোজার মাসেও তাদের দৌরাত্ম্য কমেনি।

এদিকে সম্প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত লেবুর দাম কত হবে তা সমন্বয়ের কাজ চলছে। তবে বাজারে লেবুর হালির সর্বোচ্চ দাম হওয়া উচিত ৪০ টাকা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




সম্মান নিয়ে রহস্যের বার্তা দিলেন পরীমণি

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জীবনের সকল বাধা পেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন পরীমণি। শুরু করেন সিনেমার কাজ। ঢালিউডের এই চিত্রনায়িকা ফেসবুকে বেশ সরব। তিনি ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত কাজ সব কিছুরই কিছুটা আভাস দেন সামাজিক মাধ্যমে।

এর আগে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অজস্র লাল-হলুদ ফুলের মাঝে হাসিখুশি লুকে ছেলেকে নিয়ে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করেন পরী। তারই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন এই নায়িকা।

ভিডিও প্রকাশ করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, আই লাভ ইউ মাই ভ্যালেন্টাইন। আমার একটা তুমি আছ, আমার নাড়ি ছেড়া ধন।

এমনকি শবে বরাতের আগের দিন কারও একজনের নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডে ক্ষেপে যান নায়িকা। তার পর হঠাৎই ফেসবুকে রহস্যময় একটি স্ট্যাটাস দেন পরী।

তবে ২ মার্চ (শনিবার) পরী আবার হাজির হলেন রহস্যের আর একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে। তিনি লিখেছেন, যেখানে সম্মান নাই সেখানে যেতে নাই। এটাই আসল কথা। তাদের বোধোদয় হোক।

দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর ডোডোর গল্প সিনেমার মাধ্যমে পরী ক্যামেরা সামনে দাঁড়ান। সেসময় পরীমণি বলেন, অনেকদিন কাজের বাইরে ছিলাম। নিজের প্রিয় জায়গায় ফেরার জন্য অনেক দিন মুখিয়ে ছিলাম। ভীষণ ভালো লাগছে আবারও লাইট ক্যামেরার দুনিয়ায় আসতে পেরে।

সিনেমা প্রসঙ্গে পরী জানান, দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ প্রযোজিত ডোডোর গল্প হতে যাচ্ছে অন্যরকম একটি গল্পের সিনেমা।

এ সিনেমায় পরীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ডোডোর গল্পর কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায় আছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক।

নিউজ ট্যাগ: পরীমণি

আরও খবর



বেইলি রোডে আগুন : দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেখান থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অচেতন অবস্থায় কয়েকজন শিশু ও নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে ১২ জনকে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৬০ জনকে। ভবনটিতে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বেইলি রোডের ওই ভবনের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। ৯টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এখন ১২টি ইউনিট কাজ করছে। গুরুতর আহত ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৬০ জনকে। ভবনে আটকা পড়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ কামরুজ্জামান পরিবারসহ আটকে আছেন বলে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। জাহিদুর রহমান নামে একজনের ওই পোস্টে বলা হয়েছে, কামরুজ্জামান তাকে ফোন করে জানিয়েছেন তিনিসহ অন্তত একশজন ওই ভবনে আটকা পড়েছেন।  

ঘটনাস্থলে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। পুলিশ সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সহায়তা করছেন।

উদ্ধার কার্যক্রমে আনসার মোতায়েন : রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ও এক প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করছে।


আরও খবর



লোহিত সাগরে আবারও মার্কিন জাহাজে হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন জাহাজে হামলা হয়েছে। বুধবার (০৬ মার্চ) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের এডেন বন্দরে একটি জাহাজে হামলার খবর পাওয়া গেছে। কাছাকাছি থাকা অপর একটি জাহাজ থেকে এ খবর পাওয়া গেছে। হামলার শিকার জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন ও বারবাডোজের পতাকাবাহী।

অ্যামব্রে জানিয়েছে, এডেন বন্দর থেকে ৫৭ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। এ সময় জাহাজটির কাছে অপর একটি জাহাজ যায়। তারা নিজেদের ইয়েমেনের নৌবাহিনী পরিচয় দিয়ে জাহাজটির পথ পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার পর তারা অন্যান্য জাহাজকে জাহাজটির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। হামলাটির সাথে হুতিদের হামলার ধরনের মিল রয়েছে বলেও জানিয়ে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের আরেক সংস্থা ইউকেএমটিও এ হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি।

মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৩০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।


আরও খবর