আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

পাকিস্তানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দুই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলে রাস্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁর বাইরে ওই দুই কর্মকর্তাকে গুলি করেন এক বন্দুকধারী। খবর আল-জাজিরার।

পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা মুর্তজা ভাট্টি বলেন, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ওই দুই কর্মকর্তা তাঁদের গাড়ি পার্কিং করার সময় অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।

পাকিস্তানি তালেবান এবং অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য পরিচিত ছিলেন ওই দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। দেশটিতে বন্দুক ও বোমা হামলাসহ জটিল মামলাগুলো তদন্ত ও সমাধানে ওই কর্মকর্তারা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে নিহত দুই কর্মকর্তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পাকিস্তান সরকার।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন প্রাদেশিক সন্ত্রাস দমন ইউনিটের পরিচালক ছিলেন। জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্যদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সংগঠনটি পাকিস্তানি তালেবান নামেও পরিচিত।


আরও খবর



জিয়ার আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর আদেশ পুনর্বহালে বিল পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিয়াউর রহমানের সময় প্রণীত আইন বাতিল করে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলের বাংলাদেশ বিমান অর্ডার পুনর্বহাল করতে বাংলাদেশ বিমান অর্ডার ১৯৭২ পুনর্বহাল ও সংশোধন বিল পাস হয়। এটি ভূতাপেক্ষভাবে ২০০৭ সালের ১১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

মো. মাহবুব আলী বলেন, কোনো প্রকার মৌলিক পরিবর্তন না করেই তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন অর্ডিন্যান্স দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে প্রণীত বাংলাদেশ বিমান অর্ডার বাতিল করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে প্রণীত সব আইন তার রাজনৈতিক দর্শন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সম্পৃক্ত বিধায় ওই আদেশটি পুনর্বহালসহ সংশোধন করে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইনটি অনুমোদিত হলে সরকারি কোম্পানি হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের পরিচালনাসহ পরিচালনা পর্ষদ অবলুপ্তকরণ, নতুন পরিচালক নিয়োগ করা, ব্যবস্থাপনা  চুক্তি অবসায়ন এবং সংঘস্মারক বা সংঘবিধি অথবা কোনও সনদ, চুক্তি বা দলিল পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি ও আদর্শের প্রতিফলন নিশ্চিত করা হবে।

বিলটি পাসের সময় আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, বিমানে টিকিট পাওয়া যায় না। কিন্তু বিমান খালি যায়।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরে মিষ্টি খেতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ আসছে। একজন নারী ফেসবুকে লিখেছেন প্রধান গেট থেকে শুরু করে বিমানে ঢোকা পর্যন্ত। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মিষ্টি খাবো, মামা মিষ্টি খাওয়ার টাকা দেন। মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিতে দিতে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে বিমানে উঠেছেন। এরকম নজির ঘটেছে। এটাতো হতে পারে না। একটা বিমানবন্দর জাতির ভাবমূর্তি তৈরি করবে। বাংলাদেশ বিমান দেশের ইমেজ। সারা পৃথিবীতে ৮০ লাখ বাংলাদেশি আছে। তারা বিমানকে প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখতে চায়। টিকিটের দাম অনেক বেশি, হয় টিকেট পাওয়া যায় না, সিট পাওয়া যায় না, খালি যায়, ফেরত আসার অনেক ক্ষেত্রে লস খায়।

বিমানের অনিয়ম ও অভিযোগ নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, মন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি। আমি মনে করেছিলাম, তিনি বিমানের ভালো ইমেজ নিয়ে আসবেন। কোনো সরকারের সময় বিমানকে ভালো অবস্থান দেখিনি।

বাংলাদেশের অনেকেই যুক্তরাজ্যে প্রবাসী উল্লেখ করেন তিনি বলেন, প্রবাসে আমাদের অনেক ছেলেমেয়ে আছে। তারা দেশে আসতে চায় না। অনিয়ম-বৈষম্যের কারণে দেশে আসতে চায় না। বিমানবন্দরে হয়রানির কারণে প্রবাসীরা বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের প্রবাসীরা বাংলাদেশমুখী হয় না বলে দাবি করেন মোকাব্বির খান।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কি সেই সম্পর্ক কাট করে দিতে চাই?

জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এক সময় ছিল বিমানের টিকিট পাওয়া যেতো না। এখন সে অবস্থা নেই। এখন অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হয়। বিমান এখন লাভে চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন তিনি।


আরও খবর



হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী জয়পুরহাটের রেহেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

সংসারে অভাব অনটনের পরিবারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কিনে আনলেন ৩০টি হাঁস। খামারের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ধীরে ধীরে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের নানা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাঁসের সংখ্যাও।

মাত্র ৩০টি হাঁস দিয়ে শুরু করা পারিবারিক খামারে এখন হাঁসের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০। পাশাপাশি তিনি নিজ বাড়িতেই স্থাপন করেছেন একটি মিনি হ্যাচারি। এ হ্যাচারিতে ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চাও উৎপাদন করছেন তিনি। এসব হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করছেন জয়পুরহাটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায়।

গল্পটি জয়পুরহাটে খামারি রেহেনা বেগমের। এ খামার থেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। পরিবারকে করেছেন সচ্ছল। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের শাইলগুন গ্রামের সাহসী এই নারী হাঁসের খামার করে হয়েছেন নন্দিত।

কালাই উপজেলার মাত্রাই শালগুইন গ্রামের আজিজার রহমান ও আছিয়া বেগমের তৃতীয় সন্তান মোছা. রেহেনা বেগম। বাবার সামর্থ্য না থাকায় লেখাপড়া তেমন করা হয়নি তার। মাত্র ১৫ বছর বয়সে একই গ্রামের রেহেনার চেয়ে ১০ বছরের বড় ইউসুফ আলী সঙ্গে বিয়ে হয়। বর ইউসুফ সহজ সরল হওয়ায় পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। কিশোরী রেহেনা অপরিপক্ব বয়সের ঘোর লাগা চোখে চেয়ে দেখলেন ঘোর দুর্যোগ। এ অবস্থা সামাল দেবেন কীভাবে বুঝে উঠতেই বেগ পেতে হয় তাকে। এরপরও দমে যাননি রেহেনা। তখন থেকেই হাঁস ও মুরগি পালন করে সংসার চালিয়েছেন। এরই মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ছেলে ও স্বামী মিলে রেহেনার হাঁসের হ্যাচারি দেখাশোনা করেন।

নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খামারি রেহেনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। সে জন্য নিজের সচ্ছলতা বাড়ানোর জন্য ৩০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করি। এরপর হাঁস ও ডিম বিক্রি করে লাভ হওয়ায় হাঁসের সংখ্যা আরও বাড়াতে থাকি। এখন আমার খামারে ১ হাজার ৬০০ হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক হাঁস প্রতিদিন ডিম দেয়। সেই ডিম তিন দিন পরপর বিক্রি করি।

অদম্য রেহেনার সহায়তায় এগিয়ে এসেছে স্থানীয় একটি এনজিও। তাদের কারিগরি সহায়তায় বাড়িতে একটি মিনি হ্যাচারি স্থাপন করেছেন রেহেনা। হ্যাচারির নাম দিয়েছেন মেসার্স রেহেনা হ্যাচারি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খামারে উৎপাদিত ডিম থেকে নিয়মিত এই হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে ডিম ও বাচ্চা।

রেহেনার এই খামারের বর্তমান খরচ ৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে তার। এ ছাড়া প্রতি মাসে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করেই ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয় রেহেনার। 

প্রতিবেশী চান্দা আক্তার বলেন, রেহেনা বেগমের খামার দেখে খুব ভালো লাগছে। আমারও ইচ্ছা আছে এ রকম খামার করার। মোশারফ হোসেন নামের আরেক গ্রামবাসী বলেন, একজন নারী খামারি হয়ে এতটা সফল হয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্যই গর্বের। সরকারি সহযোগিতা পেলে আমরাও হাঁসের খামার করব।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাফুজার রহমান বলেন, রেহেনা বেগম একজন সফল খামারি। আমরা তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ ছাড়া যারা এ রকম খামার করছেন তাদের জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



টাইমস হায়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)-এর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং-২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। মর্যাদাপূর্ণ এ র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নাম লেখার গৌরব অর্জন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৯০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এবারের র‍্যাঙ্কিং করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রকাশিত বিগত সালগুলোর র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, প্রথমবারের মতো এই র‌্যাঙ্কিংয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এসেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় ১০০১ থেকে ১২০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে, প্রতিষ্ঠানটি এযাবৎ যত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

২০২৩ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের ১৫টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিলেও নাম আসেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের।

তার আগে, ২০২২ সালে দেশের মোট ৬টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসলেও তালিকাভুক্ত হয়নি প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এ শিক্ষালয়ের। এছাড়া ২০২১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত সব র‌্যাঙ্কিং ঘেঁটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো এই র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নাম উঠল এ বিদ্যাপীঠের।

গত বছরের নভেম্বরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আমন্ত্রণে 'গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক' কনফারেন্সে অংশ নিতে ৪ দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। সেখানে টাইমস হায়ার এডুকেশন-এর গবেষণা ও উন্নয়নবিষয়ক মহাব্যবস্থাপক রীথিন মালহোত্রা'র সাথে সাক্ষাত করেন তিনি।

এসময় তাঁরা রাবির র‌্যাঙ্কিং বৃদ্ধির মাধ্যমে কীভাবে একে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। ক্রমপর্যায়ে জাতীয় পর্যায়ে মানবৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাবির র‌্যাঙ্কিং বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উভয় পক্ষ একমত হোন।

বছর না পেরোতেই তার সুফল পেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত সকল ব্যর্থতা কাটিয়ে নিজেদের নাম লিখিয়েছে সেরাদের তালিকায়।

প্রকাশিত এ তালিকায় ৮০০-এর পর দেশের মোট ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে আছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে ১০০১ থেকে ১২০০ এর মধ্যে। এছাড়া, ১২০১ থেকে ১৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


আরও খবর



মোস্তাফিজ-সাকিবদের প্রশংসা রোহিতের মুখে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে আজ ভারতকে ৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে যে ভারত পৌঁছাতে পারল না, এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের বোলারদেরই।

ইনিংসের শুরুতে আগুনঝরা এক স্পেলে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন তানজিম সাকিব, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ভারতকে স্বস্তিতে থাকতে দেননি সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজরা।

রোহিত শর্মা নিজেও বোঝেন সেটা। বাংলাদেশের বোলাররা আজ যে দাপট দেখালেন, তার শুরুটা যে রোহিতের উইকেট দিয়েই হয়েছে!  বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসায় ভাসাতে রোহিত তাই কৃপণতা করেননি, 'বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম, শেষমেশ আমরা যে ওভাবে খেলতে পারিনি, সেটা ওদের জন্যই।'

তবে একইসঙ্গে রোহিত শুনিয়ে দিয়েছেন আজ ভারত একাদশে বেশ কিছু মূল খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির বিষয়টাও, 'আমরা বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ করে দিতে চেয়েছি। যেসব খেলোয়াড়েরা বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকবে। তবে তাই বলে আমরা যে আমাদের খেলার ধরণ আজকের জন্য বদলাতে চেয়েছি, তা নয়। অক্ষর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে, নিজের মানসিকতা কত শক্ত সেটা দেখিয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ করে আসতে পারেনি। গিলের সেঞ্চুরিটাও দুর্দান্ত ছিল, ও খুব ভালোভাবেই বোঝে দল ওর কাছ থেকে কী চায়, ওর নিজের কীভাবে খেলা উচিৎ।'


আরও খবর



টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এবারের এশিয়া কাপে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে টস জিতলেন সাকিব আল হাসান! সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।

এক আসর বিরতি দিয়ে আবারও এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ। যদিও গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর সুপার ফোরে খেলা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করে টাইগাররা।

তবে মাঠে নামার আগের দিন মঙ্গলবার বড় দুঃসংবাদই পেয়েছে টাইগার শিবির। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে ফর্মের তুঙ্গে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর এশিয়া কাপ মিশন শেষ হয়ে গেছে। শান্ত বাদ পড়ায় নতুন করে দলে যুক্ত হয়েছেন লিটন দাস।

বাংলাদেশ একাদশ-

মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), শামীম পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।

পাকিস্তান একাদশ-

বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, সালমান আলী আগা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।


আরও খবর