পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে সাকিব যখন সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪৭ রান। সেখান থেকে মাত্র ৪৬ রান সংগ্রহ করতেই অল আউট বাংলাদেশ। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯৩ রান।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরতা মোটেও সুখকর ছিল না বাংলাদেশের জন্য। পাকিস্তান পেসারদের তোপে প্রথম দশ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে পরে বাংলাদেশ।
নাঈম শেখ প্রথম ওভার মেইডেন দেয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মিরাজ। নাসিম শাহের শর্ট অব আ লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরে গেছেন মিরাজ।
মিরাজের পর লিটন আগ্রাসী শুরু করলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। শাহিন আফ্রিদীর শর্ট বলে খোঁচা মেরে কিপারের কাছে ক্যাচ তুলে দেন। ১৩ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
শুরুতে একটু হিমশিম খেলেও দ্রুত মানিয়ে নিয়েছিলেন নাঈম। খেলেছেন দারুণ কিছু শটও। কিন্তু অস্টম ওভারের তৃতীয় বলে রউফের খাটো লেন্থের বল পুল করতে গিয়ে সোজা উপরে ওঠে যায়, তাতে বোলার নিজেই তালুবন্দি করেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ২০ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে আসা তৌহিদ হৃদয় আজও জ্বলে উঠতে পারেননি। দশম ওভারের প্রথম বলে রউফের হাফ বলি বল ক্রস খেলতে গিয়ে মিস করেন। বল সোজা হিট করে স্ট্যাম্পে। ৯ বল মোকাবিলা করে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন তিনি।
তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক সাকিব। পূর্ন করেন ১০০ রানের জুটি। কিন্তু ৩০তম ওভারের প্রথম বলে ফাহিম আশরাফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ফখর জামানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৫৭ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার অধিনায়ক।
সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন শামীম হোসেন। ৩৪তম ওভারে আফ্রিদিকে ছক্কা হাঁকিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু পরের ওভারেই ইফতিখারকে টেনে লেগ সাইডে মারতে গিয়ে টপ এজড হয়ে ধরা পড়েন। ২৩ বলে ১৬ রানে থামে তার ইনিংস।
এর পর শুধু আসা-যাওয়া। ৩৮তম ওভারে রউফের টানা দুই বলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক ও তাসকিন আহমেদ। ৮৭ বলে ৬৪ রান করেন ফিরেন মুশফিক। গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন তাসকিন আহমেদ।
অনেকটা অসহায় অবস্থায় থাকা আফিফ হোসেন ধরে খেলবেন নাকি চার ছয় হাঁকিয়ে কিছু রান এনে দিবেন সেটাই হয়ত বুঝতে পারছিলেন না। নাসিম শাহকে পুল করতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। ১১ বলে ১২ রান নিয়ে তিনিও ফিরে যান। একই অভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হন শরিফুল ইসলাম।
হারিস রউফ ১৯ রানে ৪টি আর নাসিম শাহ ৩৪ রানে নেন ৩টি উইকেট।