পাকিস্তানের
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকারের নাম ঘোষণা
করেছে দেশটির সরকার। শনিবার (১২ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)
থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর ডনের।
এর
আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী
শাহবাজ শরীফ এবং জাতীয় পরিষদের বিদায়ী বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ। আনোয়ারুল হক
কাকারের নাম নিয়ে তারা ঐকমত্য পোষণ করার পরেই বহুল প্রত্যাশিত এই ঘোষণাটি দেওয়া হয়।
পিএমওর
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও বিরোধী নেতা রিয়াজ তত্ত্বাবধায়ক
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকারকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে চিঠি
পাঠিয়েছেন।
এর
আগে শাহবাজ শরীফের সঙ্গে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে
রাজা রিয়াজও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হতে হবে একটি ছোট প্রদেশ থেকে।
আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে আনোয়ারুল হক কাকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী
হবেন।’
বিরোধী
নেতা বলেন, ‘এই নামটি আমিই দিয়েছিলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাতে
সম্মতি দিয়েছেন... আমি এবং প্রধানমন্ত্রী সারসংক্ষেপে সই করেছি।’
আগামীকাল
রোববার (১৩ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেবেন আনোয়ারুল হক
কাকার।
গত
৯ আগস্ট পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের বিলুপ্তি ঘোষণার একদিন পরই শুরু হয় তত্ত্বাবধায়ক
প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়া। গত ১০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এবং রাজা রিয়াজের
মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উভয় নেতা সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা
বিনিময় করেন।
দ্বিতীয়
বৈঠক হয় ১১ আগস্ট রাতে। বৈঠক শেষে শাহবাজ শরিফ জানান, শনিবারের মধ্যেই নতুন সরকারপ্রধানের
নাম জানা যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
পাকিস্তানের
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত সূত্র ডনকে বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী
মনোনীত করতে বিলম্ব হওয়ার কারণ মূলত ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বিরোধীদলীয় নেতা’
রাজা রিয়াজের সঙ্গে ক্ষমতাসীন পিএমএল-এনের মতবিরোধ। রিয়াজ পিএমএলএনের তলিকার বাইরে
ভিন্ন একজনকে প্রধানমন্ত্রী করতে জোর দিচ্ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী
শাহবাজ শরিফ ও পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ চাচ্ছিলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী ইসহাক
দারকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী করা হোক। দার না হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান
আব্বাসির নাম প্রস্তাব করেছিলেন তারা।
তবে
বিরোধী নেতা রাজা রিয়াজ সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানির নামের ওপর জোর দেন। শেষপর্যন্ত
সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করতে ঐকমত্য হয় দুই পক্ষ।