আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাকিস্তানে পুলিশ স্টেশন দখলে নিয়েছে তালেবান

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি পুলিশ স্টেশন দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। সেইসঙ্গে সেখানে তারা অনেককে জিম্মিও করেছে বলে মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

পাকিস্তানের এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআই'কে বলেন, তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সদস্যরা প্রদেশের বান্নু ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশ করে এবং কারাবন্দী ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেয়। এরপর দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের (সিটিডি) নিরাপত্তা কর্মীদের জিম্মি করে কম্পাউন্ডের একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

বান্নুর পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ নাসিব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সন্ত্রাসীরা বাইরে থেকে আক্রমণ করেছে কি না ভেতরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়েছে তা পরিষ্কার না।

দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই পুলিশ স্টেশনে অভিযান চলছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী ওই কমাপাউন্ড ঘিরে ধরে রেখেছে।

তবে খাইবার পাখতুনখোয়া মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আলী সাইফ বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এদিকে তালেবানের যোদ্ধারা এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা ৯ জন পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করে রেখেছে বলে জানিয়েছে। এর বিনিময়ে তারা আকাশপথে আফগানিস্তান নিরাপদে তাদের পাঠানোর দাবি করেছে।


আরও খবর



চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাজু ইসলাম (২৫) নামে একজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম নগরপাড়ার হাসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সাইফুলসহ আরও কয়েকজন রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। সেসময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাইফুল। পরে বিএসএফ সাইফুলের মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।

রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ এখন ভারতেই আছে।

১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন রোকনপুর বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আজাদ রহমান বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর



বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সকাল ৯টার কিছু পর আবার রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে সকাল থেকে রাজধানীর আবহাওয়ার অবস্থা ভালো নয়। অন্যদিকে মেট্রোরেল বন্ধ হওয়ায় যেসব যাত্রী জরুরি কাজে হাতে কম সময় নিয়ে বের হয়েছিলেন তারা চরম বিপদে পড়েন। অনেকেই মেট্রোস্টেশন থেকে নেমে রিকশায়, বাসে কিংবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ছুটছেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেট্রোরেল চলাচল গত ২৭ মার্চ থেকে এক ঘণ্টা বেড়েছে। এখন রাত ১০টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর প্রান্ত থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। অন্যদিকে মতিঝিল প্রান্ত থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে।

নিউজ ট্যাগ: মেট্রোরেল

আরও খবর



দেশব্যাপী হিট স্ট্রোকে পুলিশসহ আরো ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে দূর্বিষহ জনজীবন। এরমধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা আবারও বেড়েছে। ঈশ্বরদী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, মংলা ও খেপুপাড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে। ৪১ জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ এমন থাকলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমের অনুভূতি অনেক বেশি হয়। আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, তাপমাত্রা আজও চড়বে। সহসা নিস্তার মিলবে, এমন আভাস দেশিবিদেশি কোনো আবহাওয়া মডেল দিতে পারছে না।

এদিকে হিট স্ট্রোকে প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে সারাদেশে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে ৩৩ জনের বেশি।

প্রাণঘাতী এই অসহ্য গরমে সবাই এখন চাতকের মতো তুমুল বৃষ্টির জন্য অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। উন্মুক্ত প্রান্তরে সালাতুল ইসতেস্কা পড়ছে মুসলমানরা। সিলেটসহ কিছু স্থানে বিক্ষিপ্ত যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে পথের ধুলোর মরণ হলেও মোটেই স্বস্তি মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, টানা ভারী বর্ষণ ছাড়া এই দাবদাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফল যান। সোমবার রাত ৯টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার পাশের রাস্তায় মো. আলমগীর শিকদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীর যাত্রাবাড়ির পশ্চিম শেখদি এলাকার মৃত জমির শিকদারের ছেলে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষক আফসার আলী ও মো. হাসান আলী, নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বকুল হোসেন, জামালপুরে মরিচ ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী, বরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেসা, কুমিল্লার বুড়িচংয়ে শ্রমিক মুজিবুর রহমান ও খুলনার আড়ংঘাটায় ৬০ বছরের অজ্ঞাত একজন মারা গেছেন।

এদিকে পরপর দুই দিন তাপমাত্রা খানিকটা হ্রাস পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আবার বেড়েছে। আজ বুধবার আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি জানান, গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলতি এপ্রিল মাসের বাকি সময়টা তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। গত শনিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে রবিবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। ঐ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার ঢাকার তাপমাত্রা আরো কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী এক সপ্তাহে পুরো দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর