আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

পাকিস্তানে মসজিদের বাইরে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ নুর মেসকানজাইকে একটি মসজিদের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসিমা-খারান মহাসড়কের মধ্য খারান শহরের একটি মসজিদের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

খারানের পুলিশ সুপার আসিফ হালিম বলেন, খারান এলাকায় মসজিদের বাইরে মুহম্মদ নুর মেসকানজাইকে হামলাকারীরা গুলি চালায়, এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে পার্শবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানেই তার তার মৃত্যু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর আব্দুল কুদ্দুস বিজেঞ্জো বলেছেন, তার সেবা অবিস্মরণীয়।

বিজেঞ্জো বলেন, শান্তির শত্রুদের কাপুরুষোচিত আক্রমণ জাতিকে ভয় দেখাতে পারে না। মাসকানজাই একটি যুগান্তকারী রায় লিখেছেন যাতে সুদ ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে শরিয়াবিরোধী ঘোষণা করা হয়েছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে ভিক্ষু বেশধারী ৭ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডে বৌদ্ধভিক্ষুর বেশধারী ৭ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা সবাই অবৈধ অভিবাসী। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশ থেকে তাদের আটক করা হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য থাইগার সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোংখলা ইমিগ্রেশন ও হাট ইয়াই ট্যুরিস্ট পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃ ৭ জনের সবাই পুরুষ। তারা থাইল্যান্ডকে মালয়েশিয়া যাওয়ার রুট হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে যেতে এবং কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে তারা মাথা ন্যাড়া করে বৌদ্ধভিক্ষু সেজেছিলেন। বাংলাদেশি এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ৪৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। তারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন।

স্থানীয় প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতার সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা যে বৌদ্ধভিক্ষু, এমন কোনো প্রমাণ তাদের কাছে ছিল না।


আরও খবর



শুল্কমুক্ত কোটায় ভারতে যাচ্ছে চার হাজার টন ইলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

শারদীয় দূর্গাৎসবকে সামনে রেখে সরকার প্রতিশ্রুত প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশের প্রথম চালানে ১২টি ট্রাকে ৪৫ টন সুস্বাদু রুপালি ইলিশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানির অপেক্ষায় সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে। শুল্কমুক্ত কোটায় রফতানি করা হবে ইলিশের চালান। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজির অনুমতি না পাওয়ায় চালান ছাড় হয়নি। আজই হবে ছাড়।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসের কার্গো সুপার কলিম উল্লাহ ও বেনাপোল সিএডএফ এজেন্ট এম ই ইন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আলমঙ্গীর হোসেন জানান, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি অনুমোদন পত্র আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে চিঠি মারফত জানা যায় দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের অনূকুলে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি প্রদান করা হয়। পাবনার সেভেন স্টার ও প্যাসিফিকসহ দেশের বিভিন্ন মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের সংগ্রহে রাখা ইলিশ বেনাপোলে পাঠায়। বৃহস্পতিবার বেনাপোলে রপ্তানি সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্রের কাযর্ক্রম শেষে মাছ ভারতে  রপ্তানি করা হবে। পর্যায়ক্রমে যাবে ইলিশের চালান।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত হোসেন জানান প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এস আই ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। অনুমোতির মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।

ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের আবেদন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে দেশের ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৯ হাজার ৯শ ৫০ মেঃ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানান উপজেলা মৎস কর্মকর্তা।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে আবেদন করে। এতে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানায় ব্যবসায়ীরা। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছালে যাচাই বাছাই করে প্রায় ৪ হাজার টনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ফুলকপি চাষের ধুম

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মৌসুম শুরুর আগেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে। এখন কৃষকরা ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকেরা নিড়ানি, কীটনাশক ছিটানো, সেচ দেয়া ও শীতকালীন সবজির চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের নদীপাড়ের কৃষক সাহেব বাবু এবার ৯৯ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন।

তিনি রোববার দুপুরে জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার আমডুঙ্গি হাটের পাশের জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন। ৯৯ শতাংশ জমিতে এখন সার ও নিড়ানি দিচ্ছেন ৭ জন মজুর। গ্রামে সাধারণত এই সময়ে কৃষি শ্রমিকদের কাজ থাকে না। আগাম কপি চাষ করায় কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি তিনিও লাভের আশা করছেন।

সাহেব বাবু বলেন, ফুলকপি ৬০ দিনের ফসল। ২০ হাজার চারা রোপণ করেছি। ফলন পাওয়া পর্যন্ত জমি চাষ, সার, কীটনাশক, নিড়ানি, শ্রমিকসহ খরচ হবে ২ লাখ টাকা। একটি কপি ২০ টাকা করে বিক্রি করলে ২০ হাজার কপি ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হবে। আশা করছি, খরচ বাদ দিয়ে ২ লাখ টাকা লাভ হবে।

জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার পাটকপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফউদ্দিন ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপি আর ১০ কাঠা জমিতে বেগুন, পটল, ঝিঙা, বরবটি চাষ করছেন। তিনি বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো। রবি ফসলে লাভ হয়ে থাকে।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি ঝিঙা, বেগুন, মুলাসহ বেশকিছু শীতের আগাম সবজি বাজারে উঠেছে। অন্য বছরের তুলনায় এসব সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শাহানুর আলম বলেন, এই উপজেলার ওপর দিয়ে ছোট-বড় ৩টি নদী প্রবাহিত। নদী এলাকায় ব্যাপক পলি জমি রয়েছে, যা সবজি চাষের উপযোগী। ফুলবাড়ী উপজেলায় সবজি চাষের উপযোগী ৪৯০ হেক্টর জমি রয়েছে, যার মধ্যে চলতি খরিপ-২ মৌসুমে ৫৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হচ্ছে।

সবজি আগাম উঠাতে পারলে লাভ বেশি। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় সবজি আগে চাষ সম্ভব হয়েছে। সাধারণত কার্তিক মাসে শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়। এ মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ফুলকপি চাষ

আরও খবর



পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাকিরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিদেশ যেতে পারবেন না। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে জামিন বহাল রাখা হয়েছে।

তার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার আদালত বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান জানান, জাকির দেশ ছাড়তে পারবেন না। তিনি এখনও মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিছু গোষ্ঠী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জাকিরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। এর আগে গত ২৯ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) রসিদের তথ্য, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও গাড়িসহ অবৈধ উপায়ে অর্জিত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা সম্পদের খোঁজ মিলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে বহাল রাখা হয়েছে জামিন। 

আরও পড়ুন>> জবিতে একসঙ্গে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

খুরশীদ আলম খান বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় উচ্চ আদালত ছয় সপ্তাহের মধ্যে জাকির হোসেনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আসামি ২৯ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তবে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর অবকাশকালীন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। বর্তমানে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান দুদকের আইনজীবী।

গত ১৪ মার্চ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



ইসির নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা, মেয়াদ পাঁচ বছর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশীয় ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মেয়াদ থাকবে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আসাদুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংস্থার তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৬৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে ৬৬টি সংস্থাকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। অর্থাৎ তাদের মেয়াদকাল হচ্ছে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এর আগে ৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশন থেকে ৬৮ পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো আপত্তি না পাওয়া গেলে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। নামের সামঞ্জস্য থাকায় দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষ সংস্থাগুলোকে নিবন্ধনের জন্য আহ্বান করা হলে দেশের ২০৬টি বেসরকারি সংস্থা ইসিতে আবেদন করে। পরে ইসির সাত সদস্যের একটি কমিটি আবেদনগুলো প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং শেষে ৬৮টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১১ জুলাই সর্বশেষ নিবন্ধিত ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধন পাওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে পুরোনো ৪০টির আবারও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর মধ্যে ৭৫টি সংস্থা থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।

স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয় ২০০৮ সালে। একই সময় জাতীয় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ বা আরপিওতেও বিষয়টি সংযোজন করা হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা তৈরি করে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার বিধান আগে থেকেই ছিল।


আরও খবর