পাকিস্তানে টানা অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায়
মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। জুনের মাঝামাঝি থেকে
শুরু হওয়া এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩ লাখ মানুষ। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী
শেরি রেহমান বলেন, চলমান বন্যায় অন্তত ৩২৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া লাখো ঘরবাড়ি
ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশ। সিন্ধুতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৯৫ ও বেলুচিস্তানে
৩৭৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান এবং পাঞ্জাব প্রদেশে নতুন
করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ
দিয়েছে।
চলতি বর্ষা মৌসুমে নজিরবিহীন বৃষ্টির কারণে
পাকিস্তানে প্রায় সবগুলো প্রদেশেই বন্যা দেখা দেয়। বন্যার পাশাপাশি ভূমিধসে বহু প্রাণহানি
ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন ও অবকাঠামো মেরামতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ
শরিফ আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় শরিফ জানান, বন্যাদুর্গতদের
জন্য ৮ হাজার কোটি রুপি এবং তাদের পুনর্বাসনে আরও কয়েক’শ কোটি রুপি দরকার। প্রাকৃতিক
দুর্যোগে মৃত্যু হওয়া প্রতি জনের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারকে ২৫ হাজার রুপি করে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।