আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পাহাড়ি ঢল সাগরে নামতে যত বাধা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জুন 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জুন 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারত থেকে ৫৩টি নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশের হাওর, খাল ও নদীতে পানি আসে। সে পানি যায় বঙ্গোপসাগরে। গবেষণায় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরে যাওয়া পানির ৫৬ ভাগ ভারতের, ৪৪ ভাগ বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশ হয়ে এই পানি সাগরে যেতে পথে পথে পড়ে নানা বাধার মুখে। নদীর নাব্য সংকট, অপরিকল্পিত বাঁধ ও পূর্ব-পশ্চিমে আড়াআড়ি মহাসড়কই পানির প্রবাহে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখনই ভারত থেকে আসা অতিবৃষ্টির পানি বাংলাদেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব এলাকায় আটকে বন্যা সৃষ্টি করে।

নদী বিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপল বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের তিন পাশ দিয়ে ভারতের ৫৩টি নদী দিয়ে পানি ঢোকে। এরমধ্যে বড় নদীগুলো হলোগঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা। মাঝারি নদীগুলোর মধ্যে আছে মহানন্দা, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ভোগাই, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা, গোমতী, মনু, খোয়াই ও ফেনী। ছোট নদী আছে ৩৯টি। এছাড়াও ছোট ঝিরি ও ছরা দিয়েও পানি বাংলাদেশে আসে। কেবল একটি নদী দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পানি যায় ভারতে। ওই নদীর নাম কুলিক। সেটি অবশ্য মৃতপ্রায়।

বন্যার পানি প্রবেশের রুট: ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল বাংলাদেশের ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক নদ-নদী দিয়ে সাগরে মেশে। এই পথগুলোই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ভারত থেকে আসা বন্যার পানি প্রধান তিনটি রুট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। এ বিষয়ে রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন  বলেন, এর একটি হলো গঙ্গা। যার পানি রাজশাহী দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। দ্বিতীয়টি ব্রহ্মপুত্র। যার পানি কুড়িগ্রাম দিয়ে প্রবেশ করে। অপরটি হলো মেঘনা। হাওর অঞ্চল, সুরমা, কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী, জাদুকাটাসহ ১৭টি নদী আছে, যেগুলোর পানি ভারত থেকে এসে হাওর অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। এগুলো সব মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়।

দুই ধরনের বন্যা: একসময় বাংলাদেশে পাঁচ ধরনের বন্যায় সমতল ভূমি প্লাবিত হতো বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। তবে এখন দুই ধরনের বন্যা বেশি পরিচিত। শেখ রোকন বলেন, একটি উপকূলীয় বন্যা। এটি দক্ষিণাঞ্চলে হয় ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সময়। আরেকটি পাহাড়ি ঢল। পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টি গড়িয়ে নিম্নভূমিতে চলে আসে। এটি আকস্মিক বন্যা। দূরে কোথাও বা প্রতিবেশী দেশে প্রচুর বৃষ্টি হলে সেই পানি নদীপথে নিচের দিকে আসতে থাকে। এতে বেশি ক্ষতি হয় বাংলাদেশের। সাধারণত এ ধরনের পাহাড়ি ঢল দেখা যায় মে মাসে। যা ইতোমধ্যে তিনবার হয়েছে। আরেকটি আছে মৌসুমি বন্যা। যখন মেঘগুলো হিমালয়ে ধাক্কা খায়, তখন প্রচুর বৃষ্টি হয়। সেই পানি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এই বন্যা তিন অববাহিকাতেই হয়। তিন অববাহিকায় যদি আলাদা আলাদা সময়ে হয় তখন বাংলাদেশের তেমন বিপদ হয় না। পানি নেমে যাওয়ার সময় পায়। কিন্তু একই সময় তিন অববাহিকায় বন্যা হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব দিক প্লাবিত হয়। বেশি দিন পানি আটকে থাকে। এবারও তাই হচ্ছে।

শেখ রোকন বলেন, মেঘনায় যখন পানি আসে তখন যমুনার পানি নামতে পারে না। আবার একই সময় যদি গঙ্গা দিয়ে পানি আসে, তখন মেঘনা ও যমুনার পানি নামতে পারে না। এবার মেঘালয়, আসাম, অরুণাচল, সিকিম, ভুটান, নেপালে বৃষ্টি হয়েছে। তাই মেঘনা ও যমুনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এরপর বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় গঙ্গাতেও বন্যা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা-চক্র: শেখ রোকন জানালেন, বন্যা একটি চক্র মেনে চলে। পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর বড় বন্যা হয়। ২০১৭, ২০১৪, ২০০৭-০৮, ২০০৪, ১৯৯৮, ১৯৯৪ এবং ১৯৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এই সাইকেলটা মেনে এবারও বন্যা হয়েছে।

পানি কেন সাগরে যেতে পারছে না: বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ৮০ ভাগ ভূমিই নদ-নদী অববাহিকায় পড়ে। ছোট বড় মিলিয়ে নদ-নদী আছে তিন শতাধিক। এগুলোর কোথাও না কোথাও সারা বছর ভাঙন লেগেই থাকে। বর্ষায় ভারত থেকে আসা ঢলে এ ভাঙন আরও তীব্র হয়। যে পরিমাণ পানি আসে তা বাংলাদেশের বড় নদীগুলো ধারণ করতে পারে না।

বন্যা বড় হওয়ার বিষয়ে শেখ রোকন বলেন, ভারতের মেঘালয় ও আসামে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। তারা হাইওয়ে করছে। বন উজাড় করছে। বিভিন্ন খনিতে কাজ চলছে। পাহাড়ে যখন গাছপালা থাকে তখন পলিমাটি ধুয়ে নদীতে আসে না। কিন্তু যখন গাছ না থাকে তখন সব ধুয়ে নদীতে যায়। এতে বাংলাদেশের নদীর গভীরতা কমছে ও পানি সমতলে চলে আসছে। সুরমা নদীর তলদেশে বর্জ্য ও পলিথিনের স্তর পেয়েছি আমরা। এ কারণেও নদী পানি ধরে রাখতে পারছে না। এছাড়া যেসব ছরা দিয়ে হাওরে পানি যেত সেগুলোও দখল হয়েছে, সংকুচিত হয়েছে। পানি প্রতিবন্ধকতার আরও কিছু বড় কারণ আছে, যেমননাব্য সংকট, প্লাবন ভূমিতে বাঁধ, সড়ক ও স্থাপনা। এসব জায়গা আগে পানি ধারণ করতো। কিন্তু সেগুলো বন্ধ হয়েছে। জনবসতি হয়েছে। পানি যাওয়ার জায়গা পাচ্ছে না। আমাদের মহাসড়কগুলো পূর্ব-পশ্চিম দিকে আড়াআড়ি করে নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হওয়া উচিত ছিল উত্তর-দক্ষিণে। পূর্ব-পশ্চিমে মহাসড়ক হওয়ায় পানি সহজে নামতে পারে না।

বালু উত্তোলন: শেখ রোকন বলেন, দেশের সবকটি নদী দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। নির্বিচারে বালু উত্তোলন করায় নদীর গতিবেগ নষ্ট হয়। ভাটিতে গিয়ে নদীর কোথাও চর পড়ে। এতে পানি প্রবাহও ঠিক থাকে না। এ ছাড়া উজান থেকে প্রবাহ স্বল্পতার কারণেও নদী ভাঙছে। প্রবাহ কমায় উজান থেকে আসা মাটি ও বালু মাঝপথে আটকে যাচ্ছে। তখন তীরে পানির চাপ বাড়ে, বন্যা হয়।

পাহাড়ি ঢল দ্রুত সাগরে নামাতে হলে: হাওর মাস্টারপ্ল্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বুক চিরে যাওয়া নদীগুলো দিয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার কিউসেক (এক কিউসেক মানে প্রতি সেকেন্ডে এক ঘনমিটার পানির প্রবাহ) সাগরে যায়। মোট যত পানি সাগরে নামে তার ৫৬ ভাগ ভারত থেকে আসে। ৪৪ ভাগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের। আর তাই পাহাড়ি ঢল দ্রুত সাগরে নামাতে হলে বাংলাদেশের নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে বলে জানান শেখ রোকন। এছাড়া, প্লাবন ভূমিতে উন্নয়ন কাজ না করা, হাওর অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনা এবং নির্বিচারে বালু উত্তোলন বন্ধের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



পাকিস্তানে জানা গেল ঈদের সম্ভাব্য তারিখ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) সোমবার জানিয়েছে, ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন এবং ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর জিও নিউজের

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নতুন চাঁদের জন্ম ৮ এপ্রিল রাত ১১টা ২১ মিনিটে হবে এবং তার বয়স পরের দিন (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ১৯ থেকে ২০ ঘণ্টার মধ্যে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, সূর্যাস্তের পর ৫০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চাঁদ দেখা যাবে।

পিএমডি জানিয়েছে, ৯ এপ্রিল দেশের বেশিরভাগ অংশের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে উত্তরাঞ্চলে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিনই বাংলাদেশ ও ভারতে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। এই হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল-ফিতর উদযাপিত হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পর পর ৩ মাস ২৯ দিনে হয় না। এবার রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ঈদুল ফিতর হতে পারে ১১ এপ্রিল। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রমজান মাসের আগের ২ মাস ২৯ দিনে শেষ হয়েছিল। তাই এ মাস ২৯ দিনে হবার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই ৯ এপ্রিল ছুটির প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে।

এর আগে ১১ মার্চ পাকিস্তানে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছিল এবং পরের দিন পবিত্র মাসের প্রথম দিন বা প্রথম রোজা পালিত হয়। সুতরাং পাকিস্তানিরা ২৯ দিন রোজা পালন করবে যদি পিএমডির পূর্বাভাস সত্য হয়।

রমজান শেষ হলে এবং শাওয়াল শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ঈদুর ফিতর উদযাপন করেন। ধর্মীয় মাস রমজান ধৈর্য এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করতে শেখায়, পাশাপাশি দাতব্য ও কল্যাণমূলক কাজে উৎসাহিত করে।


আরও খবর



মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৬০, আহত ১৪৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় একটি কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৪৫ জন। রাশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারির একমাসের মধ্যে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা ঘটলো। রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একদল অস্ত্রধারী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) একটি শপিংমলে ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

হামলার সময় হলে পিকনিক নামের একটি ব্যান্ডের পরিবেশনার প্রস্তুতি চলছিল। এই কনসার্টের জন্য ৬ হাজার ২০০ টিকেট বিক্রি হয়েছিল। হলটিতে ৯ হাজারের বেশি মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিকে শপিংমলে বন্দুকধারীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনার পরপর নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক পোস্টে আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হয়েছে। তবে আইএসের ওই পোস্ট স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ডেইলি স্টার থেকে চাকরি হারালেন সৈয়দ আশফাকুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গৃহকর্মীর মৃত্যুর মামলায় কারাগারে থাকা দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশ অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

সৈয়দ আশফাকুল হক ১৯৯৩ সালে ডেইলি স্টারের ক্রীড়া বিভাগে যোগদান করেন। ক্রমান্বয়ে ক্রীড়া সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং অবশেষে ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে দণ্ডবিধি আইনের ৩০৪ (ক) ধরায় অভিযোগ করা হয়।

ওই মামলায় একই দিন গ্রেপ্তারের পর আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর পুনরায় রিমান্ড আবেদন করা হলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১৮ ফেব্রয়ারি তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে প্রীতি ওড়াং নামের এক কিশোরী গৃহপরিচারিকার মৃত্যু হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করত ১৫ বছর বয়সী প্রীতি ওড়াং। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিত্তিঙ্গা গ্রামে। বাবার নাম লুকেশ ওড়াং।


আরও খবর



বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে চলবে রাজনীতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রাজনীতি করা বন্ধ হয়েছিল। তারা চাইলে আবার শুরু হবে। তবে সেই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের থেকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

আজ রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপাচার্যের কক্ষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই আছে।

আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাবার আহ্বানও জানান তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে আসার প্রতিবাদে টানা বিক্ষোভ করে আসছিল বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ।

এদিকে আজ ২২ তম ব্যাচের সকল বিভাগের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর বিপরীতে দুইজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, তারা আসলে আলোচনা করে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি দেখা যাবে।


আরও খবর



শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ৯৬৭৩৬

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদ রয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে এনটিআরসিএর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টায় এনটিআরসিএ ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ওইদিন থেকেই প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনকারীর যোগ্যতা গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদে আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী এনটিআরসিএর নিবন্ধন সনদধারী হতে হবে। ৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন এবং ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। আবেদনের জন্য সর্বস্তরের প্রার্থীকে এক হাজার টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদন বাতিল বলে বিবেচিত হবে।

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ৩৫ বছর বা তার চেয়ে কম হতে হবে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়েছে, তারা কোনোভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।

কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন। তাহলে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবচেনা করা হবে। এমপিওভুক্ত প্রার্থীর এক পর্যায়ের (স্কুল বা কলেজ) একাধিক নিবন্ধন সনদ থাকলে ওই প্রার্থী একই পর্যায়ে আবেদন করতে পারবেন না।

সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) পদে চাকরিপ্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সেই ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে তা বাতিল করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া, ফি পরিশোধসহ বিস্তারিত নিয়মাবলী গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির যেকোনো শর্ত এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ যেকোনো সময় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন এবং স্থগিত করতে পারবে। একইসঙ্গে মামলা বা আইনগত অন্য কোনো জটিলতার কারণে অনলাইনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হলে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: এনটিআরসিএ

আরও খবর