আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পাবনায় পদ্মা-যমুনার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ও টানা বৃষ্টিতে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা এখন পানি নিচে ডুবছে। এর প্রভাবে পাবনার পদ্মা যমুনা নদীরধ পানি বৃদ্ধি হওয়া শুরু করেছে। যেকোনও সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

ইতোমধ্যে যমুনার পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থা। পদ্মা যমুনা এলাকায় উঠতি ফসল ও সবজির খেত তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলী জাহিদ হোসেন বলেন, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীস্থ পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে (১৯ জুন) সোমবার দুপুর ১২ টায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। যুমনা নদীর নগরবাড়ি পয়েন্টে ৯ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার অতিক্রম করছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই পদ্মা ও যুমনার বিভিন্ন পয়েন্টে ১/২ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।কয়েকদিনের তুলনায় পদ্মা, চলনবিল, বড়াল, গুমানি, চিকনাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানির বিপদসীমার মাত্র ১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নগরবাড়ি পয়েন্টে ০ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে পাবনার দুই পয়েন্টেই পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা ও যমুনা নদীতে আশঙ্কাজনকভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীরবর্তী নিচু এলাকাতে কয়েকদিনের মধ্যে উঠতি নানা ধরনের শবজি ও ফসলের খেত ডুবে যেতে পারে। অনেকেই ইতোমধ্যে বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন পার করছেন।

ঈশ্বরদীর চরকামালপুর, বিলকাদা, চরকুড়লিয়া, বেড়া অঞ্চলের নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দা নির্ঘুম দিন কাটাচ্ছে। পুর্বশ্রীকণ্ঠদিয়া, চরশাফুলা, সাঁথিয়ার নাগডেমরা ইউনিয়নে, সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙনের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর, চরখলিলপুর এবং কালিকাপুর এলাকা, পাবনা সদরের আশুতোষপুর, বলরামপুর, রানীনগরে বেড়ার রূপপুর ও মাসুমদিয়া ইউনিয়নের কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করার উপক্রম হয়েছে।

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের সাঁড়াঘাট এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক মাষ্টার বলেন, পদ্মার পানি দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়াতে আমরা নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি।সেইসঙ্গে আমাদের উঠতি সবজি খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সরকারের পক্ষ থেকে এখন থেকেই সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখানে কয়েকদফা জিওব্যাগ ফেলানো হয়েছে। তারপরও আমরা নদীবাঙনের আশঙ্কা করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পাবনা কার্যালয়ের নিবাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ মিটার নিচে অবস্থান করছে। তবে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁইছুঁই অবস্থা। বেড়ার নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। বন্যা দেখা দিলে বা নদী ভাঙন শুরু হলে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্ধ দেওয়া হবে।

পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, সিলেট সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা বন্যার কবলে পরলেও আমাদের জেলাতে এখন পর্যন্ত কোথায় বন্যার প্রভাব দেখা যায়নি। বন্যা হলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য জেলা ত্রাণ দপ্তর সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে রাখা হয়েছে। বিতরণের পক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



ট্রলের জবাবে যা বললেন রাশমিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দফায় দফায় বিতর্কের মুখে পড়েছে রণবীর-রাশমিকার অ্যানিমেল ছবি। নারীবিদ্বেষীর তকমা মেলে। সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার একটি অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পর্দার গীতাঞ্জলি

তিনি বললেন, রণবীরের চরিত্র বিজয় তার বাবার জন্য যত দূর ইচ্ছে যেতে পারে। মাথার মধ্যে বিশৃঙ্খল চিন্তাভাবনা। ছবির শুটিংয়ের সময় এই কথাটা মাথায় গেঁথে নিয়েছিলাম আমি। এটা নিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। কারণ এই চরিত্রকে ঘিরেই গল্প। ছবির স্বতন্ত্রতা, পটভূমি ও প্রকৃত স্বাদ বজায় রাখার নিদর্শন এই ছবি। ছবি দেখার পর নারীবিদ্বেষী বা অন্য কিছু বলে লাভ নেই। ছবি যদি উপভোগ করে থাকেন তা হলে এই বিষয়গুলো বাদ দিন।

রণবীরের সঙ্গে তৃপ্তি ডিমরির সাহসী দৃশ্য, রাশমিকার অভিনয় এমনকি শারীরিক গঠন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দর্শকের একাংশ। নারীদের শারীরিক গঠন নিয়ে ট্রলিং সমর্থন করি না। আমার সংলাপ বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ট্রল করা হলে অসুবিধা নেই, বলেন রাশমিকা মান্দানা।

রাশমিকার হিন্দি সংলাপ নিয়েও দর্শকের সমালোচনার শিকার হন এই দক্ষিণী তারকা। তার কথায়, সেটে সবাই করবাচৌথের দৃশ্যটি পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর আমাকে ওই দৃশ্য নিয়ে ট্রল করা হয়। আমি কিন্তু ভেবেছিলাম, এই ৯ মিনিটের দৃশ্যটি আমি খুব ভালো করেছি। তা হলে কি আমি বুদবুদে বাস করছিলাম এতদিন? আমি জানি, আমি যা করছি সবই সুন্দর নয়। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম, ছবি মুক্তি পাওয়ার পর অধিকাংশ দর্শকের কাছে আমার এই দৃশ্যটি প্রশংসা পেয়েছে, তখন বুঝলাম প্রথম থেকে আমার ভাবনা সঠিক ছিল।


আরও খবর



মার্কিন বোমরু বিমানকে রুশ যুদ্ধবিমানের ধাওয়া

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কৌশলগত বোমরু বিমানকে বাধা দিয়েছে রাশিয়া। রবিবার (২৪ মার্চ) বারেন্টস সাগরের ওপরের আকাশসীমার কাছে বিমান দুটিকে বাধা দেয়া হয়।

এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তাসের।

এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আকাশ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা দেশটির আকাশসীমার দিকে আসা বিমানের একটি গ্রুপ শনাক্ত করে। এর পর বিমানগুলোকে রুখে দিতে একটি মিগ-৩১ ফাইটার জেট পাঠায় রাশিয়া।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার ফাইটার ক্রুরারা আকাশে দুটি মার্কিন বিমানবাহিনীর বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান শনাক্ত করেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার ফাইটার জেট কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো তাদের গতিপথ সংশোধন করে নেয়। মার্কিন বিমানগুলো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সীমানা লঙ্ঘন করতে সক্ষম হয়নি বলেও জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

তবে কৌশলগত বোমারু বিমান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ: বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

তৃতীয় দিনের আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর