আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রীসহ নিহত তিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পাবনা সদর ও সাঁথিয়া উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার পুষ্পপাড়া গ্রামের মৃত মিলন হোসেনের মেয়ে ও পাবনা ইসলামিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিতু খাতুন (১৮), সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্যপাড়া গ্রামের চাঁদ আলী মৃধার ছেলে জুয়েল হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের সোহান শেখের ছেলে সুরুজ শেখ (১৮)

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পাবনা সদর উপজেলার পুষ্পপাড়া বাজারে ১১টার দিকে রাস্তা পার হচ্ছিলেন কলেজছাত্রী মিতু। এ সময় ওমর ট্রাভেলস নামের একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে সাঁথিয়ায় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কুমার দেবনাথ জানান, বেলা ১১টার দিকে ইট বহনকারী একটি ট্রলি কাশিনাথপুর থেকে সাঁথিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাশিনাথপুর আমতলা  নামক স্থানে শাহজাদপুর ট্রাভেলস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই জুয়েল ও সুরুজের মৃত্যু হয়। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তারা ট্রলি চালক।

দূর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ঘাতক বাস দু'টিকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্ত শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় পুলিশ।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হল উন্নত নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার সাথে সাংবাদিক শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা। আর্টিকেল ১৯ (বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়া) এর টোটেম প্রকল্পের আওতায় নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজন করা হয় এই কর্মশালাটি।

কর্মশালায় চট্রগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন সনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন টোটিমের আইটি কনসালটেন্ট তাওফিক আহমেদের সঞ্চালনা ও উপস্থাপনায় প্রোগ্রামটি পরিচালনা করেন আর্টিকেল ১৯ এর কনসালটেন্ট নাসরিন জেবিন, প্রোগ্রাম অফিসার উজমা মাসিয়াত।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের ডিভাইস নিরাপত্তা কি, ডিজিটাল ঝুঁকি বুঝতে পারা এবং সুরক্ষিত থাকার কৌশল, ম্যালওয়্যার, চুরি-বিরোধী প্রযুক্তি, নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপসের ব্যবহার, ডিভাইসের সুরক্ষিত নিবন্ধন, ইন্টারনেটের শারীরিক গঠন, মেটা ডেটা, এনক্রিপশন, ভিপিএন বরফ ভাঙা এবং নেটওয়ার্কিং, মোবাইল এবং যোগাযোগ পরিকাঠামো, পাসওয়ার্ড, 2FA, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সহ বিভিন্ন বিষয়ের সামগ্রিক বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্ব যেমন আমাদের হাতের মুঠোয় আবার তেমনি সঠিক ব্যবহার না জানলে ও না বুঝলে জীবন হয়ে উঠতে পারে বিপর্যস্ত। তাই আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা অত্যাবশকীয়।

এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে টোটেম কতৃপক্ষ পরবর্তীতে আরও ব্যাপকভাবে তাদের কর্মশালা আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



স্বরূপকাঠিতে মা ও বোনসহ গাঁজা ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মাদক ব্যবসায়ী মো. বেল্লাল হোসেনকে (২৭) সহ তার মা দেলোয়ারা বেগম (৫০) ও বোন জায়েদা আক্তার স্বর্ণাকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে তিনকেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতার বেল্লালের পিতা মাদক ব্যবসায়ী জহিরুল হক পালাতক রয়েছেন। আসামীরা সকলেই এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের শনিবার সকালে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেছারাবাদ থানার এসআই মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার পূর্ব সোহাগদল গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মো. জহিরুল হকের ঘরে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ জহিরুলের ছেলে বেল্লাল হোসেন, স্ত্রী দেলোয়ারা ও মেয়ে স্বর্ণাকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে জহিরুল সটকে পড়েন। আটককৃতদের দেয়া  তথ্যানুযায়ী পুলিশ জহিরুলের পাকাঘরের মাটির নিচে পুতে রাখা ড্রাম থেকে অনুমানিক সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।


আরও খবর



ঈদে ট্রেনযাত্রা : পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের টিকিট মিলবে যখন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের যাত্রীর পরিবহনের সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ চাহিদা থাকে ট্রেনের টিকিটের। টিকিট পেতে সবাই একসঙ্গে অনলাইনে যুদ্ধে নামেন। ফলে সার্ভারে চাপ বেড়ে যায়, বিঘ্ন ঘটে টিকিট বিক্রিতে। তাই এই যুদ্ধ থামাতে রেলওয়ের প্রশাসনিক অঞ্চলভেদে গতবারের মতো এবারও দুটি সময়ে টিকিট বিক্রি করা হবে।

রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট। এদিন পাওয়া যাবে ৩ এপ্রিলের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে।

এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। টিকিট যার, ভ্রমণ তার এই নীতি মেনেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হবে। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট রিফান্ড/ফেরত দেওয়া যাবে না। ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটও অনলাইনে পাওয়া যাবে। একজন যাত্রী শুধুমাত্র ঈদের আগে একবার এবং ঈদের পরে একবার করে টিকেট নিতে পারবেন। একজন যাত্রী একটি আইডি দিয়ে মোট ৪টি টিকিট নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যাত্রীর সঙ্গে থাকা বাকি ৩ সহযাত্রীর বিবরণ টিকেটে উল্লেখ করতে হবে।

সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে

একতা এক্সপ্রেস (৭০৫/৭০৬), করতোয়া এক্সপ্রেস (৭১৩/৭১৪), কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (৭১৫/৭১৬), সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬), রুপসা এক্সপ্রেস (৭২৭/৭২৮), বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (৭৩১/৭৩২), তিতুমীর এক্সপ্রেস (৭৩৩/৭৩৪), সীমান্ত এক্সপ্রেস (৭৪৭/৭৪৮), লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫১/৭৫২), সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩/৭৫৪), মধুমতী এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬), দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৭/৭৫৮), পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯/৭৬০), সাগড়দাড়ি এক্সপ্রেস (৭৬১/৭৬২), চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৩/৭৬৪), নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৫/৭৬৬), দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস (৭৬৭/৭৬৮), ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯/৭৭০), রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১/৭৭২), সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫/৭৭৬), ঢালারচর এক্সপ্রেস (৭৭৯/৭৮০), টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (৭৮৩/৭৮৪), বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১/৭৯২), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩/৭৯৪), বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭/৭৯৮), বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (৮০৩/৮০৪), চিলাহাটি এক্সপ্রেস (৮০৫/৮০৬) এবং বুড়িমারী এক্সপ্রেস (৮০৯/৮১০)।

দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে

সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২), গোধূলি/প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭০৩/৭০৪), তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭/৭০৮), পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯/৭১০), উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১/৭১২), জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস (৭১৭/৭১৮), পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯/৭২০), মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২), উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪), মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০), অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫/৭৩৬), এগারোসিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭৩৭/৭৩৮), উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯/৭৪০), তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩/৭৪৪), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫/৭৪৬), এগারোসিন্ধুর গোধূলি এক্সপ্রেস (৭৪৯/৭৫০), কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩/৭৭৪), হাওড় এক্সপ্রেস (৭৭৭/৭৭৮), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮১/৭৮২), বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭/৭৮৮), মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮৯/৭৯০), জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯/৮০০), চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১/৮০২), কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩/৮১৪) এবং পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৫/৮১৬)।

নিউজ ট্যাগ: ঈদে ট্রেনযাত্রা

আরও খবর



আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



গাজায় প্রথমবার বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবার ফেলা হয়েছে। জর্ডানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, এমন আরো সহায়তা তারা পাঠাবে গাজায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১২ জন নিহত হলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সহায়তার কাজে দ্রুতগতি আনবেন। সেদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস।

বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সব রকম প্রস্তুতি চলমান। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তা শনিবার জানান, ইসরায়েল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রায় অনেকটা গ্রহণ করেছে।

নাম পরিচয় প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্তকর্তা বলেন, গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে, যদি হামাস নির্দিষ্ট কিছু যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়...যেগুলো হলো অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দী।’

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমান আকাশ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবার ফেলেছে গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে। এতে আরো বলা হয়, এই সহায়তাগুলো গাজায় আরো বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে যোগ হবে সড়ক পথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা।’

এর আগে অন্যান্য দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিসর ও জর্ডান আকাশ থেকে গাজায় সহায়তা ফেলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা প্রথমবার করলো।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার মানবেতর পরিস্থিতির থেকে বের হয়ে আসতে এখানে আরো বেশি মানবিক সহায়তার পৌঁছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে।’

তবে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, এভাবে আকাশ থেকে সহায়তা ফেলা ত্রাণ বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়। গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মেধাত তাহের সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ত্রাণ সহায়তার এই পদ্ধতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তিনি বলেন, এটা কি একটা স্কুলের জন্য যথেষ্ট হবে? ১০ হাজার লোক কি এতে চলতে পারবে? এভাবে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলার চেয়ে বরং সীমান্ত দিয়ে সহায়তা আসা ভালো।’

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আরো বেশি মানুষ, যাদের সহায়তার দরকার সেখানে পৌঁছানোর জন্য বেশি করে ট্রাক ঢুকতে দেয় ও নতুন পথ খুলে দেয়।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সোমবার ওয়াশিংটনে যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজের সঙ্গে দেখা করবেন যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনায়।

বৃহস্পতিবার গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে এক ত্রাণের বহর ঘিরে ভিড় করলে সেখানে ১১২ জন হত্যা করা হয় এবং ৭৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে উপকূলের রাস্তা আল-রাশিদ স্ট্রিট, যা সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল, সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, সেখানে সতর্কতার জন্য শুধু ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয় এবং মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়।

গাজা সাব অফিসে হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বিষয়ক জাতিসংঘের সমন্বয়ক গিওর্গিওস পেত্রোপোলস বিবিসিকে বলেন, তিনি ও তার দল আল-শিফা হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর গুলিবিদ্ধ মানুষ দেখতে পেয়েছেন।

এদিকে হামাস বলছে, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে শনিবারও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শিবিরে ১১ জন মারা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এই হামলাকে জঘন্য’ বলে নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা সেখানে ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একটা সুপরিকল্পিত ও নির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজায় একটা দুর্ভিক্ষ অতি অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে, সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে খুবই সামান্য সহায়তা যাচ্ছে এবং সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষের ভাগ্যে খুব সামান্যই খাবার ও বিশুদ্ধ পানি জুটছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীদের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫৩ জনকে বন্দি করে নেওয়ার পর গাজায় এক তীব্র মাত্রার আকাশ ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৩০ হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার মধ্যে ২১ হাজারই নারী ও শিশু। এর বাইরেও এখনো প্রায় সাত হাজার মানুষ নিখোঁজ এবং ৭০ হাজারের ওপর আহত হয়েছে।


আরও খবর