পাবনার সাঁথিয়ায়
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিনজনকে আট্ক করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস
ও কয়েকটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা-পাবনা
মহাসড়কের সাঁথিয়া উপজেলার মহিষাকোলা ভাঙ্গা ব্রিজের কাছ থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন-
পাবনা সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ডাকাত সর্দার আমিনুল ইসলাম (৩৮),
আজাদ মন্ডলের ছেলে শাকিল (২৪), অপরজন শহরের কাচারিপাড়া সিরাজুল ইসলামের ছেলে আতিকুল
ইসলাম (২৩)। আটকদের মধ্যে আমিনুল ইসলামের নামে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ ৮টি মামলা রয়েছে
বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাতে অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত সাঁথিয়া থানায় এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য
জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার
ভোররাত পর্যন্ত ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে পুলিশ টহলরত ছিল। এ সময় গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে
পারে মহাসড়কে ডাকাতির উদেশ্যে একটি মাইক্রোবাস ওঁৎ পেতে আছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে সাঁথিয়া
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) কমল
কুমার দেবনাথ ফোর্সসহ মহাসড়কে নজরদারি বাড়ান।
তিনি বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কাশীনাথপুর থেকে সন্দেভাজন একটি মাইক্রোবাসকে পুলিশ থামার জন্য সিগন্যাল
দেয়। কিন্তু তারা দ্রুত গতিতে বগুড়ামুখী সড়কের দিকে চলতে থাকে। পুলিশের ওই টিমটি ঢাকা-পাবনা
মহাসড়কে সাঁথিয়া উপজেলার মহিষাকোলা ভাঙাব্রিজের কাছে মাইক্রোবাসটিকে (ঢাকা মেট্রো চ
১১-৭৭১৯) থামাতে সক্ষম হয়। এসময় মাইক্রোবাসে থাকা পাঁচজনের মধ্যে পুলিশ তিনজনকে জনকে
আটক করে। এসময় গাড়ি থেকে একটি হাসুয়া, একটি বড় ছুড়ি, তিনটি গ্রিলকাটা কাটার, দুটি রেঞ্জ
উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে।