আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাবনায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বরে একটি র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালি শেষে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আ: হামিদ মাস্টার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আল মামুন হোসেন মন্ডল।

বক্তারা দুগ্ধের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, দেশব্যাপী দুগ্ধ উৎপাদন বেড়েছে। পাবনা দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যের জন্য ইতিমধ্যেই সুনাম কুড়িয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে এ সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। এক্ষেত্রে খামারিদের ভূমিকা ব্যাপক। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই এ অঞ্চলে খামারি শিল্প তথা দুগ্ধ শিল্পের প্রসার ঘটেছে।

এসময় গো-খাদ্যের অতিমাত্রায় দাম বৃদ্ধিসহ খামারিরা তাদের নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরেন এবং তা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে শেষে এদিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে সনদ ও উপহার তুলে দেয়া হয়।


আরও খবর



ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন প্রসূতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।

এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।

জন্ম প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি, তাই বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



বিরল ঘটনাটি স্থায়ী হবে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) ভরদুপুরে বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সময় চাঁদের ছায়া সূর্যকে তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে। পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণের সময় উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। এ ধরনের বিরল আরেকটি ঘটনা দেখতে মানবজাতিকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের কোটি মানুষ।

বেলা ১টা ৫২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ধীরে ধীর সূর্যকে ঢাকতে থাকবে চাঁদ। তবে ৩টা ৭ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে পূর্ণগ্রাস শুরু হয়ে শেষ হবে ৩টা ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে। অর্থাৎ তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে মহাজাগতিক ঘটনাটি।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় অবস্থান করে যে চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। আর একেই বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী ৮ এপ্রিল যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এমনটি আগামী দুই দশকে আর দেখা যাবে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে বিরল এই সূর্যগ্রহণটি মেঘ ও বজ্রঝড়ে ঢাকা পড়তে পারে।

এদিকে, প্রায় সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে কানাডাবাসী। পূর্ণাঙ্গ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে দেশটির নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাজে জড়ো হতে পারে অন্তত ১০ লাখ দর্শনার্থী।

বিরল এই সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে মেক্সিকোর মাজাটলান, টরিওন; টেক্সসাসের সান অ্যানটোনিও, অস্টিন, অকো, ফর্ট ওর্থ এবং ডালাস, আরকানসাসের লিটল রকি, মিসৌরির এটি লুইস, কেন্টাকির লুইসভিলে, ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিস, কলম্বাবাসের ডেটন, ওহিওর টোলেডো এবং কেলিল্যান্ড, মিশিগানের ডেট্রয়েট, পেনসিলভানিয়ার ইরি, নিউ ইয়র্কের বাফেলো, রোসেস্টার এবং সিরাকাস এবং কানাডার হেমিলটন, টরেন্টো ও মন্ট্রিয়াল থেকে দেখা যাবে এই বিরল সূর্যগ্রহণ।

তবে বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাধারণ কোনো সানগ্লাস এ ক্ষেত্রে নিরাপদ হবে না। এজন্য বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।


আরও খবর