আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হাওর অঞ্চলের সংস্কৃতিচর্চা বিকশিত করতে ২০০১ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় হবিগঞ্জ কিবরিয়া পৌর মিলনায়তন। যা তৎকালিন সময়ে ছিল দেশের অন্যতম বড় এবং আধুনিক মিলিনায়তন। হলের ভেতরে ছিলো সু-বিশাল মঞ্চ এবং একসাথে সাড়ে ৬শ মানুষের বসার সিট। শিল্পীদের জন্য ছিল আলাদা আলাদা ড্রয়িং রুম, ড্রেসিং রুম, রিয়ারসেল রুম ও মেকাপ রুম। ছিল সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা। সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট এবং আলোকবাতিসহ যাবতীয় যন্ত্রাংশ আনা হলেছিল আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুর থেকে।

২০০১ সালের ২৪ মার্চ কিবরিয়া পৌর অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ্ এএমএস কিবরিয়া। উদ্বোধনের পর অডিটোরিয়ামটি হবিগঞ্জ পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে নির্মাণকারী সংস্থা এলজিইডি। এরপর থেকে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে পৌরসভা। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর এটি চালু থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও উদতাসিনতার কারণে ২০১২ সালের দিকে অডিটরিয়ামটি বন্ধ হয়ে যায়।

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই অডিটোরিয়ামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার এসি, সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট, আলোকবাতি, মঞ্চ, চেয়ার-টেবিলসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি। প্রবেশের দরজাগুলো খেয়ে ফেলেছে উইপোকা। এতে ক্ষুব্ধ ও ভারাক্রান্ত জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

জেলা ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ ইসলাম বলেন, হবিগঞ্জে ভালো কোন অডিটরিয়াম নেই। বর্তমানে আমাদের যে কোন অনুষ্ঠান করতে হয় শহরের টাউন হলে। সেখানে যেমন বেশি মানুষের ধারণ ক্ষমতা নেই, তেমনি নেই পার্কিং ব্যবস্থা। সেই সাথে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, কিবরিয়া অডিটরিয়ামটি অনেক বড়। এখানে এক সাথে হাজার মানুষ নিয়ে যে কোন অনুষ্ঠান করা যেতো। আমরা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান এখানে করেছি। কিন্তু অজানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ রয়েছে।

হবিগঞ্জ ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতি (ব্যাকস্) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, কিবরিয়া অডিটরিয়ামটি বিশাল বড় এবং খুবই আধুনিক ছিল। এখানে যে কোন বড় অনুষ্ঠান করা যেতো। যেমন মনোরম পরিবেশ ছিল, তেমনি সব ধরণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যেটি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই এটি দ্রুত সংস্কার করে আবারো উন্মোক্ত করে দেয়া হোক।

সাংস্কৃতিক কর্মী সিদ্দিকী হারুন বলেন, কিবরিয়া অডিটারিয়াম চালুর পর জেলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন ধারা যুক্ত হয়েছিল। গতি পেয়েছিল সংস্কৃতিচর্চা। কিন্তু এটি বন্ধের পর ঝিমিয়ে পড়েছে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা শিল্পকলায় যে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি। কিন্তু এখানে ভাড়া বেশি এবং ভালো সুবিধাও নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাবো দ্রুত এটিকে সংস্কারের মাধ্যমে চালু করে স্বল্পভাড়ায় সংস্কৃতিক চর্চার ব্যবস্থা করে দেয়া হোক।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই অডিটরিয়ামটি যখন নির্মাণ হয় তখন আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। এটি ছিল বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম বড় এবং আধুনিক অডিটরিয়াম। এখানে সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট, আলোকবাতিসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি আনা হয়েছিল আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুর থেকে।

তিনি বলেন, শুরু কয়েক বছর এটি চালু ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যে বা যারা পৌরসভার দায়িত্বে এসেছেন তারা এটিকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেননি। যে কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা চাই বর্তমান পৌর পরিষদ এটি আবার সংস্কার করে চালু করবে।

দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত থাকার কারণে অপরাধিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় অডিটরিয়ামটি। তবে বছরখানেক ধরে এটিকে ডাম্পিং হিসেবে ব্যবহার করছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। রাখা হচ্ছে পৌরসভার গাড়িসহ নানা সরঞ্জামাদি। সেই সাথে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুজন নিরাপত্তাকর্মী।

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, এইর মধ্যে অডিটরিয়ামটি সংস্কার করে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমি মন্ত্রণালয়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলছি। তারাও আমাকে আশ্বস্ত করেছেন আমাকে এটি অনুদান দেবেন।

তিনি বলেন, তৎকালিন সময় এটি ৫ কোটি টাকায় নির্মাণ হলেও জায়গা এবং আনুষাঙ্গীক বিষয় মিলিয়ে বর্তমানে এটির ভ্যালো হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিকভাবে এটিকে সংস্কার ও পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাইলে সেই সুযোগও আছে।


আরও খবর



বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বীকে সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলে সিট ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেছেন।বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লা নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় তিনি ছাড়াও নিহত হয়েছেন আরো ৯ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিট নাগাদ এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি রাজধানী নাইরোবির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে সেনাপ্রধান ফ্রান্সিসের সঙ্গে ১১ জন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত অন্য নয়জন হলেন- ব্রিগেডিয়ার সোয়াল সাইদি, কর্নেল ডানকান কিটানি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডেভিড সাওয়ে, মেজর জর্জ বেনসন মাগোন্ডু, ক্যাপ্টেন সোরা মোহাম্মদ, ক্যাপ্টেন হিলারি লিটালি, এসএনআর সার্জেন্ট জন কিনুয়া মুরেথি, সার্জেন্ট ক্লিফন্স ওমন্ডি এবং সার্জেন্ট রোজ ন্যাভিরা।

তবে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

দেশের জন্য এমন ঘটনা খুবই দুঃখের এমনটা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কেনিয়ার বিমান বাহিনী থেকে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আজ শুক্রবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করবে কেনিয়া। এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি।


আরও খবর



ট্রলের জবাবে যা বললেন রাশমিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দফায় দফায় বিতর্কের মুখে পড়েছে রণবীর-রাশমিকার অ্যানিমেল ছবি। নারীবিদ্বেষীর তকমা মেলে। সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার একটি অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পর্দার গীতাঞ্জলি

তিনি বললেন, রণবীরের চরিত্র বিজয় তার বাবার জন্য যত দূর ইচ্ছে যেতে পারে। মাথার মধ্যে বিশৃঙ্খল চিন্তাভাবনা। ছবির শুটিংয়ের সময় এই কথাটা মাথায় গেঁথে নিয়েছিলাম আমি। এটা নিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। কারণ এই চরিত্রকে ঘিরেই গল্প। ছবির স্বতন্ত্রতা, পটভূমি ও প্রকৃত স্বাদ বজায় রাখার নিদর্শন এই ছবি। ছবি দেখার পর নারীবিদ্বেষী বা অন্য কিছু বলে লাভ নেই। ছবি যদি উপভোগ করে থাকেন তা হলে এই বিষয়গুলো বাদ দিন।

রণবীরের সঙ্গে তৃপ্তি ডিমরির সাহসী দৃশ্য, রাশমিকার অভিনয় এমনকি শারীরিক গঠন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দর্শকের একাংশ। নারীদের শারীরিক গঠন নিয়ে ট্রলিং সমর্থন করি না। আমার সংলাপ বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ট্রল করা হলে অসুবিধা নেই, বলেন রাশমিকা মান্দানা।

রাশমিকার হিন্দি সংলাপ নিয়েও দর্শকের সমালোচনার শিকার হন এই দক্ষিণী তারকা। তার কথায়, সেটে সবাই করবাচৌথের দৃশ্যটি পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর আমাকে ওই দৃশ্য নিয়ে ট্রল করা হয়। আমি কিন্তু ভেবেছিলাম, এই ৯ মিনিটের দৃশ্যটি আমি খুব ভালো করেছি। তা হলে কি আমি বুদবুদে বাস করছিলাম এতদিন? আমি জানি, আমি যা করছি সবই সুন্দর নয়। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম, ছবি মুক্তি পাওয়ার পর অধিকাংশ দর্শকের কাছে আমার এই দৃশ্যটি প্রশংসা পেয়েছে, তখন বুঝলাম প্রথম থেকে আমার ভাবনা সঠিক ছিল।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের বিজিপির আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলি পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৭৭ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া সব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর