বলিউড তারকাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে সুনাম আছে শিল্পা শেঠির। বয়সকে মুঠোবন্দী করতে স্বাস্থ্যকে বশে রাখার রহস্য অনুরাগীরাও জানতে চান তার নিকট। এ ব্যাপারে শিল্পাও বেশ উদার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শরীরচর্চার ভিডিও প্রকাশ করে তাদের মন রাখেন তিনি। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন হয়েও সাস্থ্যজনিত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল এই তারকাকে। শরীরে তার বাসা বেঁধেছিল এক বিরল অসুখ। সে খবর জানতে পেরেছিলেন মা হতে গিয়ে। এই অভিনেত্রীর বয়স যখন ত্রিশ তখন মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গর্ভধারণও করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিত গর্ভপাত তার মা হওয়ার পথে বিপত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
পরপর দুইবার একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে ভেঙে পড়েন তিনি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেন শিল্পা। চিকিৎসক তখন সনাক্ত করেন, শরীরে এক বিরল রোগ বহন করছেন এই তারকা। অ্যান্টিফসফোলিপিড সিন্ড্রোম নামক এই রোগের কারণেই ঘটছে এই অপ্রত্যাশিত গর্ভপাত। এই রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়েও কম ধকল সইতে হয়নি শিল্পাকে। গর্ভধারণের সময় একটানা সাড়ে সাতমাস ইনজেকশন নিতে হয় তাকে। ইনজেকশনের প্রভাবে তার দুধে আলতা রঙের শরীর ধারণ করেছিল কালো বরণ।
একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শিল্পা বলেন, মাত্র দুই শতাংশ মহিলারা এই রোগে আক্রান্ত হন। আমিও তাদের একজন। হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এই অসুখের কারণে মা না হতে পারার যন্ত্রণায় ভুগতে হয়েছে আমাকে। যন্ত্রণাদায়ক সেই চিকিৎসা সম্পন্ন করেই মা হওয়ার সাধ পূরণ হয় এই অভিনেত্রীর। ২০১২ সালে তার পুত্র ভিয়ান জন্মগ্রহণ করে। এর আট বছর বাদে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শিল্পা। তবে সেসময় পুনরায় বিড়ম্বনায় পড়ার ভয়ে বেছে নিয়েছিলেন সারোগেসি পদ্ধতি।