দেশের ৬৭ শতাংশের বেশি ওষুধ বিক্রয়কেন্দ্র (ফার্মেসি)
অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানে না। এ পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক চিহ্নিতকরণ
সহজ করতে এবার মোড়ক (প্যাকেট) বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে চলমান অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স
(এএমআর) পরিস্থিতি ও এএমইউ ট্রেন্ডস শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ)
সহকারী পরিচালক এসএম সাবরিনা ইয়াছমিন এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল ওয়েস্টিনে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাবরিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে
অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবনের
প্রবণতা। অসুস্থ হলেই ফার্মেসি থেকে সাধারণ মানুষ ওষুধ কিনে সেবন করে। দেশের আটটি বিভাগের
৪২৭টি ফার্মেসিতে জরিপ চালিয়ে আমরা দেখেছি, ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ ফার্মেসি কর্মী অ্যান্টিবায়োটিক
সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। এ ছাড়া তাঁরা সহজে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতেও পারেন
না।’
ঔষধ প্রশাসনের এই সহকারী পরিচালক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ
অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানুয়ারিতে
এক সভায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের লেভেলে লাল চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে
সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদনও দেওয়া হয়।’
সাবরিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘মানুষ
ও পশু দুই ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে এই চিহ্ন ব্যবহার করা হবে। অনেক কোম্পানি
বর্তমানে তাদের ওষুধের লেভেলে এই চিহ্ন ব্যবহার করছে।’
অনুষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে ঔষধ প্রশাসন
অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ (আইইডিসিআর)
কয়েকটি সংস্থা বিভিন্ন গবেষণা তুলে ধরে। এ সময় ডিজিডিএর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, রোগ
নিয়ন্ত্রণ (সংক্রামক) শাখার পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।