স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে শিগগিরই নতুন আইন হচ্ছে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করলে আইন অনুয়ায়ী তার লাইসেন্স বাতিল হবে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে করণীয় শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন,আইন অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না। যদি কেউ বিক্রি করে, তাহলে আইন অনুযায়ী তার লাইসেন্স বাতিল হবে।
তিনি বলেন, ঔষধ আইন-২০২২ প্রণয়ন শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগিরই অনুমোদনের জন্য সংসদে তোলা হবে। এরপরই অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণে আইন হবে।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এডিস মশার লার্ভা নির্মূলে জনগণের সচেতনার পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, দেখা গেছে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে পৃথিবীতে বছরে প্রায় ১৫ লাখ লোক মারা যায়। বাংলাদেশেও অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারে অসংখ্য রোগে এখন আর ওষুধ কার্যকর হয় না। পরে তাদেরকে সুস্থ করতে হলে একটি কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। যেখানে অল্প চিকিৎসাতেই রোগ ভালো হয়ে যেত, সর্বোচ্চ চিকিৎসার মাধ্যমে এখন রোগ ভালো করা যাচ্ছে না। এমনকি এর ফলে অসংখ্য লোকই অকালে মৃত্যুবরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা সেবা দেওয়ার জন্য সচেষ্ট। আমরা করোনা প্যানডেমিক সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। এবং বাংলাদেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। কোভিড সংক্রমণ থেকে দেশ এখন অনেকটাই সুরক্ষিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা আমাদের প্রশংসা করে। আমরা এখন মনযোগী হয়েছি আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের দিকে। আপনারা জানেন স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নের জন্য ভালো হাসপাতাল প্রয়োজন। একইসঙ্গে ভালো ওষুধ, ভালো চিকিৎসক এবং ভালো খাদ্যের প্রয়োজন। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।