আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

অ্যান্ড্রয়েডের অস্তিত্ব হুমকির মুখে

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

এক দশকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের দুই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে। হয় অ্যান্ড্রয়েড না হয় আইওএস। যেখানে আগে সিম্বিয়ান, ব্ল্যাকবেরিও এস, পাম ওএসসহ আরো অপশন ছিল। আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের মধ্যে পরের অপারেটিং সিস্টেমটির বাজার বেশ বড়।

 

কেননা একমাত্র অ্যাপল ছাড়া সব স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। তবে জেনারেশন জি বা নতুন প্রজন্মের ব্যবহারকারীদের জন্য  অ্যান্ড্রয়েডের আধিপত্য হুমকির মুখে।

 

বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ জেনারেশন জি। বিশেষ করে যাদের জন্ম ১৯৯৬ সালের পর তাদের জেন জি বা জুমার বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জেন জি ভোক্তারা সব ধরনের মোবাইল ডিভাইসের পরিবর্তে আইফোন ব্যবহারেই ঝুঁকছে।

 

জরিপের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৪ শতাংশ আইফোন ব্যবহারকারী জেন জির অন্তর্গত। এর মাধ্যমে বাজারে স্যামসাংয়ের যে ১০ শতাংশ দখল ছিল তাও ধ্বংস হয়ে গেছে। জুমারদের আইফোন ব্যবহার বাড়ায় ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির হিস্যা ৫০ শতাংশের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯ সালে যার পরিমাণ ছিল ৩৫ শতাংশ।

 

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের তুলনায় আইফোনের দাম তিন গুণ বা তারও বেশি। গড় দামও ১ হাজার ডলারের কাছাকাছি। কিন্তু এর পরও জুমারদের মধ্যে আইফোন কেনার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উত্তর আমেরিকায়ই যে শুধু আইফোনের ব্যবহার বাড়ছে তা নয়। ইউরোপে ৮৩ শতাংশ আইফোন মালিক তাদের ডিভাইস ব্যবহার অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে।

 

অন্যদিকে এর অর্ধেকের কম অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী একই ডিভাইস রাখার কথা জানিয়েছে। এককথায় এটি নিশ্চিত যে জেনারেশন জি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার থেকে সরে আসছে। যে কারণে ধীরে ধীরে অ্যান্ড্রয়েডের বাজারও কমতে থাকবে।

 

আইফোনের অন্যতম একটি সেবা আইমেসেজ। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য, পর্যালোচনা ও পরিসংখ্যান রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডে আইমেসেজ সেভাবে ব্যবহার করা যায় না। যে কারণে জুমাররা যেকোনো মূল্যে আইমেসেজ ব্যবহারের জন্য আইফোন বা আইওএস ডিভাইস সংগ্রহের জন্য মুখিয়ে থাকে।

 

এ বিষয়ে বিভিন্ন লেখনি রয়েছে। একটি লেখনিতে দেখা যায় আইমেসেজের অনেক ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কথোপকথন থেকে বাদ দিয়ে থাকে। এদিকে প্রচারণা ক্যাম্পেইনে রিচ কমিউনিকেশন সার্ভিসেস (আরসিএস) চালু না করায় অ্যাপলের সমালোচনা করছে গুগল।

 

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আইমেসেজ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা অধিকাংশই মেসেজ আদান-প্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মতো থার্ড পার্টি পরিষেবা ব্যবহার করে থাকে। স্মার্টফোন বা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারে তরুণরা কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দিয়ে থাকে সেগুলো সহজে নির্ধারণ করা যায় না। কারণ বিভিন্ন বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পছন্দে পরিবর্তন আসে। এগুলোর মধ্যে জীবনযাপন পদ্ধতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান অন্যতম। তবে এসবের বাইরে আইওএস ডিভাইস পছন্দের আরো কিছু কারণ আছে।

 

ডিজাইন ও ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা: আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্য তরুণদের কাছে অ্যাপলের জনপ্রিয়তা বেশি। বিশেষ করে যারা ছোট থেকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আসছে। ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ায় আইওএস ডিভাইসের ভালো সুনামও রয়েছে। ফলে প্রযুক্তি সম্পর্কে যারা কম জানে তারাও এ ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে।

 

ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি: দীর্ঘ সময় বাজারে অবস্থানের মাধ্যমে ব্র্যান্ড হিসেবে অ্যাপলের ভালো সুনাম তৈরি হয়েছে। ফলে জেনারেশন জি বা জুমারদের অনেকেই আইওএস বা আইফোন ব্যবহারকে সম্মানের বলে মনে করে থাকে।

 

সামাজিক প্রভাব: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও আশপাশের চাপের কারণে অনেক সময় তরুণদের পছন্দে পরিবর্তন আসে। যদি কারো বন্ধু বা সমাজে প্রভাব বিস্তারকারী কেউ আইফোন ব্যবহার করে থাকে তাহলে আইওএসের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।

 

গেমিং: বর্তমানে আইওএস প্লাটফর্মে অনেক বড় ও সমৃদ্ধ গেমিং ইকোসিস্টেম রয়েছে। আর তরুণরা মোবাইল গেম খেলার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। যে কারণে জুমারদের কাছে আইফোনের গ্রহণযোগ্যতা বেশি।

 

অ্যাপ স্টোর: আইওএসের অ্যাপ স্টোর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে এ প্লাটফর্মের ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর বা নিম্নমানের অ্যাপ ব্যবহার করতে হয় না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে এটি তরুণদের জন্য ইতিবাচক। কেননা অ্যাপ ডাউনলোডের সময় তা নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য কিনা সেটি গুরুত্বপূর্ণ।

 

নিরাপত্তা: সাম্প্রতিক সময়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাকে মূল বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাপল। এর মধ্যে অ্যাপ ট্র্যাকিংয়ে স্বচ্ছতা ও প্রাইভেট রিলে রয়েছে। তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক তাদের জন্য আইওএস ডিভাইস আকর্ষণীয়।

 

জেনারেশন জি বা জুমারদের মধ্যে অনেকে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সাশ্রয়ীমূল্য, কাস্টমাইজ করার সুবিধাসহ বিভিন্ন ফিচারের কারণে অ্যান্ড্রয়েডের গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। অনেকের কাছে ডিজাইন ও ব্র্যান্ডের তুলনায় এগুলোর প্রয়োজন বেশি। তবে সবার কাছেই যে সব বিষয় ভালো লাগবে তা নয়।

 

ব্যক্তিভেদে ফিচার, বাজেটসহ বিভিন্ন বিষয়ের পার্থক্য পছন্দে পরিবর্তন আনে। ঘটনা যা-ই হোক না কেন গুগল গুরুতর সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সফটওয়্যার জায়ান্টটি যদি অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে জেন জি কে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার উৎসাহিত করতে হবে। তা না হলে ১০ বছর পর এর অস্তিত্ব থাকবে না এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষক ও গবেষকরা।


আরও খবর



ফরিদপুরে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ফরিদপুর সদরসহ মধুখালী উপজেলার বালিয়াকান্দি পঞ্চপল্লীর নিকটে এবং বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির টহলের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ অবস্থান করছে।

এর আগে সকালে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত হয় পাঁচ শতাধিক জনতা। আনুমানিক আধা ঘণ্টা স্থায়ী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মধুখালীর ঈদগাঁ ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি মহাসড়কে উঠে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে কামারখালী সেতুর দিকে এগোতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা খণ্ড খণ্ড হয়ে মিছিল করতে থাকে। একাধিক ভাগে বিভক্ত বিক্ষোভকারী মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, নওয়াপাড়ার মোড়, মাঝিবাড়ি ও বাগাটের ঘোষঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

বাগাটের ঘোষঘাটে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি এনে অবরোধ করে এবং সড়কের মাঝে গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নওয়াপাড়ার মোড়ে একটি ইটভর্তি ট্রাক সড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং একপর্যায়ে পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই জায়গায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর পুলিশের গুলি ও হামলার প্রতিবাদ জানান। জেলা প্রশাসক এ ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, পুলিশের হামলায় তাদের চারজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং বাকি একজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ওই মহাসড়কের মালেকা চক্ষু হাসপাতাল থেকে ফরিদপুরের দিকে এবং বাগাটের ঘোষঘাট এলাকা থেকে কামারখালী সেতুর দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, ডুমাইনের পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। কোথাও বুঝিয়ে আর কোথাও টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে নিবৃত্ত করা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ এমদাদ হুসাইন বলেন, বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে এ ঘটনায় হতাহত বা জানমালের ক্ষতিসাধনের ঘটনা ঘটেনি।

নিউজ ট্যাগ: বিজিবি মোতায়েন

আরও খবর



‘আমার পিতা দেশ ছেড়ে পালাননি, আমিও পালাবো না’

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ উল্লেখ করে সবসময় তাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ এলাকা আনোয়ারায় টানেল-মুখ সড়কে ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।

প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমরা পিতা কখনও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও এমপি করেছেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো, নামফলক ভেঙে দিতো।

ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশের জনগণের তদারক করার অধিকার আছে। প্রতিটি কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই জনগণ পাহারা দেবে। জনগণকে বলবো, কাজে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, দক্ষিণের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বিএমএর চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ইসলাম আহমেদ।


আরও খবর



উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



সোমবার সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান সৌদির

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের নাগরিকদের সোমবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের অর্থাৎ ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট শনিবার এ আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সৌদিতে রমজান মাসের ২৯ তারিখ। যদি ওইদিন শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায় তাহলে মঙ্গলবার দেশটিতে উদযাপিত হবে খুশির ঈদ। খবর খালিজ টাইমসের

কিন্তু যদি সোমবার চাঁদ দেখা না যায় তাহলে রমজান মাস ৩০ দিনের হবে এবং বুধবার দেশটিতে ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

রমজান হলো হিজরি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস। আরবি মাসগুলো ২৯ ও ৩০ দিনের হয়ে থাকে। আর মাসগুলো নির্ধারিত হয়ে থাকে চাঁদ দেখার ওপর।

সৌদি আরবে গত ১১ মার্চ ১৪৪৫ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। আগামী সোমবার ৮ এপ্রিল দেশটিতে রমজানের ২৯তম দিন পড়বে।

গত বছর সৌদিতে রমজান মাস ২৯ দিনের হয়েছিল। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মাসটি ৩০ দিনের হয়েছিল। ইসলামের সূতিকাগার হওয়ায় সৌদিতে চাঁদ দেখা যাওয়া নিয়ে সারা বিশ্বের সব মুসল্লিদের মধ্যে একটি আগ্রহ কাজ করে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মধ্যে ওইদিন থেকেই একটি আনন্দ লাগা শুরু করে। কারণ সৌদিতে যদি চাঁদ উঠে যায় তাহলে তারা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান যে পরদিন তাদের দেশেও ঈদ হবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশে রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। তবে পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এবার পাকিস্তানে রোজা ২৯টি হতে পারে।


আরও খবর



দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ, ১৪৩১ এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

সরকারপ্রধান বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

পরিশেষে কবি সুফিয়া কামালের কবিতার পঙতি উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন, তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন। শুভ নববর্ষ।


আরও খবর