আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অ্যাম্বুলেন্স থেকে টোল না নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক, সেতু ও ফ্লাইওভারে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স থেকে টোল না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ (সোমবার) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন।

এর আগে, এই আইনজীবী সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার টানেল, ফেরি ও এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্স থেকে টোল না নিতে আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া না পাওয়ায় রিট দায়ের করেন তিনি।

আবেদনে বলা হয়, অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে টোল প্লাজা থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে এই আধুনিক সভ্যসমাজের জন্য অমানবিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান। একজন অসুস্থ রোগীর জন্য প্রতিটি সেকেন্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু টোল প্লাজায় টোল আদায়ের জন্য যে সময় নষ্ট হচ্ছে, তাতে রোগী হাসপাতালে নেওয়ার আগে মারা যাচ্ছে। আবার টোল প্লাজায় আটকা পড়ে রোগীর কাছে অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার আগেই রোগী মারা যাচ্ছে।

অথচ নাগরিকের স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং জীবন বাঁচানোর জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় হাসপাতালগুলোতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। তাই অ্যাম্বুলেন্স থেকে টোল আদায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। শুধুমাত্র ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের জীবন, অর্থ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে।


আরও খবর
আদালতে আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ওয়ালটন পণ্য মেরামতে গ্রাহকদের ফ্রি সার্ভিস প্রদানের ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের পরিবারে ব্যবহৃত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য। ওই সব পণ্য মেরামতে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের ফ্রি সার্ভিস দিবে ওয়ালটনের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (সিএসএম)।

সম্প্রতি রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী মেরামতে গ্রাহকদের ফ্রি সার্ভিস প্রদানের জন্য সিএসএম বিভাগকে নির্দেশনা দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। তাঁর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বন্যাদুর্গত ওয়ালটন পণ্যের গ্রাহকদের জন্য ফ্রি সার্ভিস প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে সিএসএম বিভাগ।

ওয়ালটন সিএসএম বিভাগের প্রধান শিবদাস রায় বলেন, সম্প্রতি আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি জেলার লাখ লাখ পরিবারের ঘরবাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে, এই অঞ্চলের সিংহভাগ পরিবারে ব্যবহৃত ওয়ালটনের বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক্স, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ওই সব পণ্যের সার্ভিসিং এর প্রয়োজন পড়বে। তাই বন্যা কবলিত গ্রাহকদের জন্য ওয়ালটন পণ্য মেরামতে ফ্রি সার্ভিস প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, গ্রাহকদের দুর্দিনে ওয়ালটন পরিবার সর্বদা পাশে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্যাদুর্যোগ এলাকায় ওয়ালটনের যেসব গ্রাহকের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো মেরামতে সার্ভিসিং চার্জ ফ্রি করা হয়েছে। এছাড়াও পণ্য মেরামতে নতুন কোনো স্পেয়ার পার্টস বা খুচরা যন্ত্রাংশ লাগলে সেসব যন্ত্রাংশের দামের উপরও গ্রাহকদের বিশেষ ছাড় দেয়া হবে। গ্রাহকেরা ১৬২৬৭ বা ০৮০০০০১৬২৬৭ (টোল ফ্রি) নাম্বারে ফোন করে এই সুবিধা নিতে পারবেন।  

উল্লেখ্য, বন্যার শুরুতেই মানুষের পাশে, মানুষের জন্য স্লোগানে অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা। বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে আসে ওয়ালটনের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, প্লাজার বিক্রয় প্রতিনিধি ও সিএসএম বিভাগের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও ওয়ালটন কর্পোরেট অফিস থেকেও সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে সাধ্যমত আর্থিক অনুদান ও বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্থ ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ফ্রি সার্ভিস প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করা হবে না : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠক শেষে দলগুলোর প্রতিনিধিরা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

নেতারা জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানানো হয়।

তারা আরও জানান, সংলাপে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য নিশ্চিত করা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক বেশ কিছু সংস্কারের দাবিও উপস্থাপন করেছেন নেতারা।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা যৌক্তিক সময়ে সব কিছুর সমাধান করে দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তারা।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন এবং নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ- এই ৭টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। তার প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন দলের আমির চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তার সঙ্গে ছিলেন মুফতি ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আশরাফুল আলম প্রমুখ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি।

হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা মুনীর হোসেন কাশেমী।

নেজামী ইসলামের নেতৃত্ব দেন দলটির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামেদি।


আরও খবর
শেখ হাসিনা কি সত্যি পদত্যাগ করেছিলেন?

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুমকি বিমানের কেবিন ক্রুদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফ্লাইট সার্ভিসে সব চুক্তি ভিত্তিক কেবিন ক্রুদের চাকরি অনতিবিলম্বে স্থায়ী করা ও পেনশন সুবিধার আওতায় আনাসহ ২০ দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়ন।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিমানের প্রশাসনিক ভবনে এই অনশন শেষে তারা দাবিসমূহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালকের (কাস্টমার সার্ভিসেস) কাছে পেশ করে। এই দাবি না মানা হলে তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দেয়।

বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজ মিয়া আবীর ও মোহাম্মদ শামীম আক্তার (লোটাস) লিখিত ২০ দফা দাবি বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে পেশ করেন।

তাদের অন্যান্য দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে; কোভিডকালীন সময়ে ক্রুদের সব রকম কেটে নেওয়া ও স্থগিত করা ভাতাসমূহ পুনর্বহাল করা, নতুন নিয়োগ পাওয়া ৪৬ এ ও বি ক্রুদের বেতন/ভাতার বৈষম্য দূর করা ও সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, কেবিন ক্রুদের সঠিক সময় উপযোগী ক্যারিয়ার প্ল্যান প্রণয়ন ও তা ওএন্ডএমে অন্তর্ভুক্ত করা, তাদের বর্তমান ভাতা তিন মাস পর পর রিভিউর প্রশাসনিক আদেশ বাতিল করে শতভাগ ডলারে প্রদানের জন্য নতুন প্রশাসনিক আদেশের ব্যবস্থা করা, ক্রু কমপ্লিমেন্টের ব্যবস্থা করা ও তা বাস্তবায়ন করা।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে গত ১৫ আগস্ট বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। বিমানের প্রধান নির্বাহী পদে সরকার এখনো কাউকে নিয়োগ দেয়নি।


আরও খবর



অবৈধ অস্ত্র জমার শেষদিন আজ, কাল থেকে অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ও পরে সারাদেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক নির্দেশনায় কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে মঙ্গবারের মধ্যে তা নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী- দেশে বিভিন্ন জনের কাছে থাকা বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এসব বৈধ অস্ত্রের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি, অর্থাৎ এখনও জমা হয়নি ৪৬ হাজারের বেশি অস্ত্র। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে জমা দিতে হবে এসব অস্ত্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে বুধবার থেকে যৌথ অভিযান চালানো হবে।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে সব বাহিনীর সমন্বয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।

একটি সূত্র জানায়, রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সম্প্রতি থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়ে এতে জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে যারা নির্বিচারে গুলি করে গা-ঢাকা দিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গুলি করার অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য নির্বিচারে গুলি করায় সরাসরি জড়িত ও পলাতক রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, জেল পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর দেওয়া হবে।

পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত লুণ্ঠিতসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি। গুলি জব্দ করা হয়েছে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড, টিয়ার গ্যাসের শেল ২২ হাজার ২০১টি ও সাউন্ড গ্রেনেড দুই হাজার ১৩৯টি।

২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।

এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গুলি জমা না দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



এস আলমের লাখ কোটি টাকা ঋণ, ব্যাংকে জমা ২৬ হাজার কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছয়টি ব্যাংকে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার নগদ জমা থাকার সন্ধান পেয়েছে এনবিআর। এর বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এই গ্রুপ সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে ঋণের অর্থে সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবার সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৬ হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে। এর মধ্যে ভাই আবদুল্লাহ হাসানের ব্যাংক হিসাবে এখন নগদ জমা (স্থিতি) আছে ১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এই অর্থ এখন কেউ যাতে তুলে নিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য হিসাব জব্দের আদেশ দিতে যাচ্ছে কর বিভাগ।

এছাড়া এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামেও কয়েক শকোটি টাকা আছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেডের নামে তাদের মালিকানা ছয়টি ব্যাংকে বর্তমানে মাত্র ৪ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা জমা আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫এর একটি তদন্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান মেলে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখন এই সম্পূর্ণ অর্থ কর বিভাগের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই কর অঞ্চল-১৫ এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব করে, যা সাধারণত কর ফাঁকি রোধের লক্ষ্যে করা হয়।

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের পর থেকে শুধু এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের হিসাবেই জমা হয়েছে ৮৩,৭০৬ কোটি টাকা। তদন্তে আরও জানা যায়, গত পাঁচ বছরে ছয়টি ব্যাংকের এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন হিসাবে জমা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগই ঋণের টাকা।

এস আলম গ্রুপের বিপুল অঙ্কের টাকা যে ছয়টি ব্যাংকে পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আলআরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ও আলআরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ছাড়া বাকি চারটি সরাসরি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ছিল।

আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এনবিআর এস আলমসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব তলব করে। এর মধ্যে ওই ছয়টি ব্যাংক থেকে পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, এস আলম পরিবারের সদস্য ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকগুলোতে জমা আছে (স্থিতি) ২৫ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। বাকি ব্যাংকের তথ্য যাচাইবাছাই চলমান। রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরীর মতে, বিগত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। এস আলম গ্রুপ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ডগুলোর অনৈতিক চক্র এই লুটপাটে সহায়তা করেছে।


আরও খবর
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪