রক্তক্ষয়ী রোববারের
পর সোমবারও (০১ মার্চ) বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ। এদিন জান্তা
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার আন্দোলনকারী। এসময় বিক্ষোভকারীদের
ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে, রোববারের বিক্ষোভে
নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচারের গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা
জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
অভ্যুত্থানের
২৯তম দিনেও জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। আগের দিনের ধারাবাহিকতায়
এদিনও সময় গড়ানোর সাথে সাথে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ রূপ নেয় সহিংসতায়। সকাল থেকে বিক্ষোভ
দমাতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ও টিয়ারশেল
নিক্ষেপ করে পুলিশ। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইয়াঙ্গুন ও দাওয়েই শহর। একই পরিস্থিতি
মিয়ানমারের অন্যান্য শহরেও। একইদিন রোববারের ভয়াবহতমদিনে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে ভুল
দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করেছে অবুঝ
শিশুরা। দেশ শাসন কিংবা রাজনীতির মারপ্যাচ না বুঝলেও ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে সেনা
সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান তারা
এদিকে, মিয়ানমারে
শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। জাতিসংঘ
মানবাধিকার কমিশন জানায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নিরাপত্তাবাহিনীর নজিরবিহীন দমনপীড়ন ও
গণগ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেসও।
রোববারের ঘটনায়
সামরিক বাহিনীর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। একইসঙ্গে হতাহতের ঘটনার
জেরে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে জোটটি। এরই মধ্যে
অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারে সব ধরনের সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা
আরোপে একমত হয়েছেন ইউরোপের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এদিকে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি রাখা করোনাবিধি লঙ্ঘনের দুইটি মামলায় আদালতের শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমারের গৃহবন্দী নেত্রী অং সান সু চি। এসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সু চি।