আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

অভয়নগরে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত এক ইউপি সদস্যকে গুলিতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সুন্দলী ইউনিয়নের হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউপি সদস্য উত্তম কুমার সরকার (৩৪) উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত অশান্ত সরকারের ছেলে।

সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র মল্লিক জানান, সোমবার রাতে সুন্দলী বাজার থেকে হরিশপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হরিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে বুকে গুলি চালায়। গুলি তার বুক ভেদ করে বেরিয়ে গেলে উত্তম সরকার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। গুলির শব্দে গ্রামবাসী ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

অভয়নগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল জানান, ইউপি সদস্য উত্তম সরকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হবে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন উত্তম সরকার।


আরও খবর



আমি পবিত্র, পুরুষরা আমাকে স্পর্শ করবেন না: রাখি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিতর্ক আর বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। প্রায় সময়ই যেকোনো ইস্যুতে আলোচনায় দেখা যায় তাকে। কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙেছে তার। এ নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিল না।

স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, জানিয়েছিলেন হানিমুনে গিয়ে তার নগ্ন ভিডিও শুটিং করে মোটা অংকে বিক্রি করেছেন আদিল। এবার হঠাৎ করেই নতুন সুরে কথা বললেন রাখি।

ঠোঁটকাটা স্বভাবের এ অভিনেত্রী আদিল দুরানি খানের সঙ্গে বিয়ের সময় ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়েছেন। নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন ফাতিমা। ইসলাম অনুযায়ী জীবনযাপনও করছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সম্প্রতিই ওমরাহ করেছেন রাখি। এর পর থেকেই তাকে চেনা বড় দায়। সৌদি আরব থেকে মুম্বাই এয়ারপোর্টে এসে বলেন, আমাকে রাখি নয়, ফাতিমা বলে ডাকুন। আর শনিবারও সেই একই রূপ দেখা গেল তার মধ্যে।

এদিন লাল বোরকা ও হিজাব পরে এক অনুষ্ঠানে আসেন রাখি। সেখানে পুরস্কারে ভূষিত করা হয় রাখিকে। কিন্তু ইভেন্ট থেকে ফেরার পথে হঠাৎই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এই বলি তারকা। সাংবাদিকরা কথা বলার জন্য ডাকেন এবং ভক্তরাও সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। তখনই চটে যান। বলেন, আমি পবিত্র, আমি মক্কা-মদিনা ঘুরে এসেছি। পুরুষরা আমাকে স্পর্শ করবেন না। আমার থেকে দূরে থাকুন।

এদিকে রাখির এই ভিডিও রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওর শেষে সৌদি আরবের শেখদের স্ত্রীর সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে দেখা যায় তাকে। বিপরীতে এসব পোস্টে মন্তব্যের ঘরে নানা কটু কথা বলছেন নেটিজেনরা।

একজন মন্তব্য করেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রামাবাজ নারী। আরেকজন লিখেছেন, এই নারীর নাটকের শেষ নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী।


আরও খবর
‘শক্তিমান’ হবেন রণবীর সিং

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




থমকে আছে চাখারে শেরেবাংলা হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

Image

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় চাখারে সন্ধ্যা নদীর তীরে শেরে বাংলার নামে প্রস্তাবিত হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ থমকে আছে। ২০১২ সালে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। যার কারণে দফায় দফায় হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল চাখারে সন্ধ্যা নদীর তীরে সম্ভাব্যতা যাচাই করলেও গত প্রায় এক যুগেও এখানে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হয়নি।

জানা গেছে, ২০১২ সালে শেরেবাংলার স্মৃতিবিজড়িত চাখার ইউনিয়নের সোনাহার-সাকরাল গ্রামের সন্ধ্যা নদীর তীরে হাইটেক পার্ক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের তৎকালীণ সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার এ স্বপ্নের উদ্যোগের সারথী হন বাংলাদেশ জাপান ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম খান বুলবুল। ফলে তাদের প্রচেষ্টায় ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন পিএস ও সচিব মো. নজরুল ইসলাম খানসহ (এন আই খান) হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরেজমিন পরির্দশন শেষে চাখারে হাইটেক পার্ক স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মো. মনিরুল ইসলাম মনি বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় চাখারে তার স্বপ্নের হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ থমকে যায়।

২০১৭ সালে সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাইটেক পার্ক নির্মাণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য আবেদন করেন। ফলে ওই বছরের ১২ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহাসহ প্রতিনিধি দল চাখারে প্রন্তাবিত হাইটেক পার্কের স্থান পরিদর্শনে যান। এসময় সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি, তৎকালীণ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব গোরীশংকর ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আবদুর রহিম, সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আহম্মেদ, চীনা আইটি বিশেষজ্ঞ আবুলইকিমু আবুলইমিতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় পরিদর্শন করেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব জোহরা বেগম ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অ্যাসিটেন্ট মেইনটেন্যান্স প্রকৌশলী মাহাবুল আলম। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মো: মনিরুল ইসলাম মনি।

তখন পরিদর্শনে যাওয়া হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপসচিব জোহরা বেগম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শের-ই বাংলার পূণ্যভূমি চাখারে তার নামে প্রস্তাবিত হাইটেক পার্কের স্থান পরিদর্শন করছি। ঢাকায় ফিরে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার পরে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাখারে হাইটেক পার্ক করার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। তারা চাচ্ছেন, শতাধিক একর আয়তনের জমি ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ওই সূত্র জানায়, বরিশালের সমমানের বিভাগীয় শহর সিলেটে হাইটেক পার্ক করা হয়েছে ১৬৩ একর জমির ওপর। একই সময়ে বরিশাল নগরীতে জমি সংকটের কারণে নথুল্লাবাদে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয় মাত্র ২ দশমিক ৫১ একর জমির ওপর। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে, বিভাগীয় শহর হিসাবে বরিশালেও সিলেটের সমমানের একটি হাইটেক পার্ক হোক।

এ প্রসঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, শেরেবাংলার স্মৃতিধন্য পূন্যভূমিতে তার নামে হাইটেক পার্ক হবে এটা পুরো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দাবি। এজন্য জেলা প্রশাসন চাখার ইউনিয়নের সোনাহার-সাকরাল গ্রামে প্রায় ১০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। ওই ১০ একর জমির আশপাশে প্রচুর খাসজমি রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ করারও সুযোগ রয়েছে। চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজেরও প্রচুর জমি অব্যবহৃত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

এদিকে দফায় দফায় স্থান পরিদর্শন করা হলেও হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার বাস্তব রূপ কবে দেখা যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেনা। স্থানীয় সচেতনমহল বাঙালী জাতির মহান নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে তাঁর পূণ্যভূমিতে হাইটেক পার্ক গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, হাইটেক পার্ক মূলত তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর একটি বিশেষ স্থান। আইটি সংক্রান্ত সব কাজ সম্পাদন করা, আইটিকে ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, আইটি সেক্টরে সুযোগ-সুবিধা তৈরি, তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আমদানি-রপ্তানির সুবিধা সংবলিত যে পার্ক গড়ে তোলা হয় তাকেই হাইটেক পার্ক বলে। দেশ-বিদেশের নাম করা বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো এ পার্কে কোম্পানি খুলে তাদের কাজ করতে পারবে। প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি করে হাইটেক পার্ক।


আরও খবর



ভুয়া দলিল তৈরি করলে ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলিল যার, জমি তার অর্থাৎ দখলে থাকলেই হবে না, জমির দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও থাকতে হবে, এই বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল ২০২৩ পাস হয়েছে। এ বিলে অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনো জমির অংশবিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে বলা হয়, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করা, প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

নতুন আইন অনুযায়ী সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকার সূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশ্যে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টিন্যান্সি অ্যাক্টর প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা সেবা অন্য কোনো ভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না।

বিলে আরো বলা হয়, কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরের অংশ কাটলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনে থাকা কোনো অপরাধে সহায়তা ও প্ররোচনা করে তাহলে মূল অপরাধীর সমান তার অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার পাই তার জন্য এই আইন করা হয়েছে। নাগরিকদের নিজ নিজ মালিকানাধীন জমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারগুলো নিশ্চিতকরণ, ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ,ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকার করার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।


আরও খবর



সংবিধানে নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে উল্লেখ করল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে দেশটিকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি মোকাবিলায় দেশটির নেতা কিম জংউন যখন আরও অত্যাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিয়ে তৎপর, তখনই সংবিধান সংশোধনের এ পদক্ষেপ নিল পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তাতে কর্ণপাত করছে না দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাদের মিত্রদের আপত্তির পরও চলতি বছরে রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।

পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে দূরে রাখতে পশ্চিমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সফল হয়নি। গত বছর কিম জংউন ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়া থেকে উত্তর কোরিয়াকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএনের খবরে বলা হয়, দেশটির পার্লামেন্টে কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির নীতিমালা দেশটির একটি মূল আইন হিসেবে স্থায়ী করা হয়েছে। এই আইন উপেক্ষা করার অনুমতি কারও নেই।

গত মঙ্গল ও বুধবার উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্টে অধিবেশন বসে। সেখানে কিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হুমকি মোকাবিলার জন্য উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োজন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে সম্প্রতি নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধিকে সবচেয়ে খারাপ হুমকি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে জাপান বলছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্প একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। পিয়ংইয়ংয়ের সংবিধান সংশোধন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার জাপানের মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিকায়ন জাপান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছে।


আরও খবর



জাতিসংঘের গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত একটি জাতিসংঘ চুক্তিপত্রে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন-বিবিএনজে নামে এ চুক্তিতে সই করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও আহরণে বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি আরও দৃঢ় হলো।

চুক্তিপত্রে যারা সই করবে ও অনুস্বাক্ষর করবে তাদেরকে গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

এ নিয়মগুলো হলো- মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না; উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে; অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না; পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে; সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে ও গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে। 

আরও পড়ুন>> অতীতের ভুল এড়িয়ে সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

চুক্তিপত্র অনুযায়ী, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ, যা মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস নামে পরিচিত হবে। অন্য কোনো দেশ বা কোম্পানি আহরণ করলে তার একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা দেশ পাবে।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র রয়েছে সেটির ওপর ওই দেশের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে তার মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে, তার মালিকও ওই দেশ।


আরও খবর