আমদানির পরও কাঁচামরিচের বাজারে অস্থিরতা
কাটেনি। দাম ওঠানামা করছে। আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে দামে তারতম্য রয়েছে। ভোক্তা অধিকার
সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। এ নিয়ে ভোক্তারা ক্ষুব্ধ।
তারা বাজার মনিটরিং আরও কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঢাকা:
রাজধানীসহ দেশের ৪১টি জেলায় কাঁচামরিচ
ও চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ সময় ১১৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার অধিদপ্তরের
পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, রাজধানীতে অধিদপ্তরের
৩টি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় শহরসহ ৪১টি জেলায় একযোগে এ অভিযান
পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন<< বিশ্ববাজারে ফের কমলো জ্বালানি তেলের দাম
ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, গুলশান কাঁচাবাজার,
বনানী বাজার, উত্তরা, বাড্ডা ও মহাখালী কাঁচা বাজার, পলাশী, হাতিরপুল কাঁচা বাজার ও
নিউমার্কেট এলাকায় মরিচের বিক্রয়মূল্য ও ক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা
অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, মরিচের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। কোনো ঘাটতি
নেই এবং মরিচের মূল্য ধীরে ধীরে আরও কমে আসবে। এদিকে সার্বিকভাবে ৪৪টি বাজারে অভিযান
পর্যালোচনায় করে কিছু অনিয়ম পাওয়ায় ১১৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়। ভোক্তার স্বার্থে এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বগুড়া:
বগুড়ায় একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচ প্রতি
কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা হয়েছে। সোমবার বাজারে প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ টাকা থেকে
৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, লোকসানের আশঙ্কায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর
দিয়ে মরিচ দেশে ঢোকেনি। এ কারণে মরিচের দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন<< বারো কেজি এলপিজি এখন ৯শ’ ৯৯ টাকায়
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া শহরের রাজাবাজার, ফতেহআলী বাজারে মানভেদে কাঁচামরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। তবে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে ২০-৩০ টাকা যোগ করে বিক্রি হয়। ঈদের পর মরিচ ৬০০ টাকা কেজি থেকে কমে সোমবার ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
হাকিমপুর (দিনাজপুর):
দিনাজপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার দেশি কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ৫০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা বিক্রি হয়। যদিও পাশে ভারতের বাজারে প্রতি কেজি ১৬০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। অনেক আমদানিকারক কাঁচামরিচের এলসি করলেও লোকসানের আশঙ্কায় এ বন্দর দিয়ে আনেননি।
হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা ইলিয়াস
হোসেন বলেন, পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও কাঁচামরিচের বাজারে স্বস্তি ফিরছে
না। ১৫ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে কিনেছি। আজ সেই কাঁচামরিচ
২৫০ থেকে ৩২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম ওঠানামায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ
ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং করলে দাম কমে যায়। সেই জন্য নিয়মিত বাজার
মনিটরিং করা দরকার।