বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি সাবেক এমএলএ, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি (যুক্তফ্রন্ট) ও ভাষা সৈনিক মরহুম এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আবেদা খাতুন (হেনা) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে বার্ধ্যকজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৮৭ বছর। রেখে গেছেন তিন সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং আত্মীয় স্বজন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মরহুমার ছোট ছেলে মো. আহসান উল্লাহ (ফিলিপ)। তিনি বলেন, ‘অসুস্থ্যতার কারণে মাকে গত ২৬ আগস্ট জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তার জন্য সকলে দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
মরহুমার জানাযা ও দাফন কার্য সম্পন্ন হবে আগামীকাল রোববার ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে মরহুম এডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আবেদা খাতুন (হেনা) এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার স্বামীর অসম্ভব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি তা নিজেই দেখেছি। বিয়ের ১০ বছরের মাথায় স্বামীকে হাড়িয়ে কোলের শিশুদের নিয়ে করুন ও নিদারুন দিন পার করেছি! এতো আন্দোলন সংগ্রাম করেও এখনো রফিক, বরকত, সালাম, জব্বারের মতো ভাষা সৈনিক হিসেবে কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেল না আমার স্বামী। মরার আগে যদি তার স্বীকৃতি দেখে যেতে পারতাম তাহলে মরেও শান্তি পেতাম।’ এই বুকভরা আশা, স্বপ্ন ও ইচ্ছা তার পুরণ হলো না। তার আগেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।