বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইঞ্জিনচালিত
নসিমনের মধ্যে সংঘর্ষে সহোদর দুই বোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহত দুই বোনের
বাবা ও মা গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া
শহরতলীর এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের তথ্য
নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইমতিয়াজ আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: টেকনাফ স্থলবন্দরে আজ থেকে পাঁচ দিনের ছুটি
নিহতেরা হলেন,
আশা
মনি (৭) ও তার ছোট বোন খাদিজা (২) এবং অটোরিকশার চালক আমিনুর রহমান তোতা (৫৫)।
আহত হয়েছেন,
নিহত
দুই শিশুর বাবা রাশেদ শেখ (২৭) ও মা জোৎস্না বেগম (২৫)। তারা বগুড়ার কাহালু উপজেলার
বিবিরপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। নিহত
অটোরিকশা চালক কাহালু উপজেলার নারহট্ট গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
উপপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে
বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে
রাশেদ শেখ তাঁর এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাইবান্ধা জেলার বোনারপাড়ায়
যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে
বগুড়া রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এরুলিয়া এলাকায় বিপরীতমুখী মাছ বোঝাই নসিমনের
সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: টানা পাঁচ দিনের ছুটির কবলে ভোমরা স্থলবন্দর
এসআই আরও বলেন, ‘অটোরিকশার চালক
ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর
রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শিশুর মৃত্যু
হয়। তাদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ ছাড়াও অটোরিকশা চালকের মরদেহ স্বজনেরা
ঘটনাস্থল থেকেই নিয়ে যান।
তবে নসিমনের চালক দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের
ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁর নাম পরিচয় জানা যায়নি। নসিমনটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি
ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ উপপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহম্মেদ।