রসুন কেবল খাবারের স্বাদ বাড়াতেই সাহায্য
করে না, পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারি। স্বাস্থ্যরক্ষায় রসুন খাওয়ার
চল বহু যুগ ধরে চলে আসছে। এতে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ, যা আমাদের হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সারের
মতো মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাছাড়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রসুনের
কোনও জুড়ি নেই। কিন্তু জানেন কি, অতিরিক্ত রসুন খেলে স্বাস্থ্যের ভাল হওয়ার পরিবর্তে
মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে?
খুব বেশি রসুন খেলে শরীরে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
হতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, রসুন কখন-কীভাবে খাওয়া উচিত এবং অত্যধিক রসুন
খেলে কী কী বিপদ হতে পারে।
১. শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার।
রক্ত পরিশোধন, ফ্যাট মেটাবলিজম, প্রোটিন মেটাবলিজম করা ছাড়াও, আমাদের শরীর থেকে অ্যামোনিয়া
অপসারণের মতো কাজও করে। বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি
যৌগ থাকে, যা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
২. খালি পেটে রসুন খেলে ডায়ারিয়া হতে
পারে। রসুনে সালফারের মতো গ্যাস তৈরির যৌগ রয়েছে, যার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার
ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, খালি পেটে রসুন খেলে গ্যাস, বমি বমি ভাব
এবং বমি পর্যন্ত হতে পারে।
৪. রসুন বেশি খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ
হতে পারে। এতে থাকা সালফার যৌগের কারণে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
৫. রসুন প্রাকৃতিকভাবে ব্লাড থিনার হিসেবে
পরিচিত। তাই যারা ‘ওয়ারফারিন’ ‘অ্যাসপিরিন’ ইত্যাদি ‘ব্লাড থিনার’ ধরনের ওষুধ সেবন
করেন তাদের অতিরিক্ত রসুন খাওয়া উচিত নয়। কারণ রক্ত পাতলা করার ওষুধ এবং রসুনের সম্মিলিত
প্রভাব খুবই বিপজ্জনক হয় এবং এর ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৬. গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া এড়িয়ে
চলা উচিত, কারণ এতে লেবার পেইন বা প্রসব বেদনা বেড়ে যেতে পারে। আর স্তন্যদানকারী মায়েদের
রসুন খাওয়া এড়ানো উচিত কারণ এটি দুধের স্বাদ পরিবর্তন করে।
৭. বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত রসুন খেলে
রক্তচাপ কমতে পারে এবং মাথা ঘোরার মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে রসুন খেলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
৮. যোনি সংক্রমণের চিকিৎসার সময় রসুন খাওয়া
এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি যোনির সংক্রমণকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।