আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

অতীতের ভুল এড়িয়ে সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরে মহামারী প্রতিরোধের অংশ হিসেবে একটি বৈশ্বিক সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের সকলের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে হাজির হয়েছে।

আমরা সারা বিশ্বে অনেককে হারিয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি যে মানুষের হস্তক্ষেপের জন্য প্রকৃতির নিজস্ব সীমা রয়েছে। আমরা বিশ্ব সংহতির অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতাও পেয়েছি। আমরা স্বীকার করেছি যে সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই।

তিনি এখানে জাতিসংঘ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে মহামারী প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া (পিপিপিআর) বিষয়ে ৭৮তম ইউএনজিএ উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবশ্যই উত্তম চর্চা বাড়িয়ে এবং অতীতের ভুলগুলো এড়িয়ে আমাদের সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে। সমতা ও সংহতি অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টার প্রাণভ্রমরা তৈরি করবে।

মহামারী প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরেছেন। পাঁচটির মধ্যে তিনটি অগ্রাধিকার হলো- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য রেয়াতযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন, মহামারী নজরদারি, প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও বিজ্ঞান-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মোকাবেলার জন্য সম্পদ ও দক্ষতা একত্রিত করা ; সকলের জন্য ভ্যাকসিনসহ মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী ও কার্যকর মহামারী পণ্যগুলোর ন্যায়সঙ্গত ও অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।

অবশিষ্ট দুটি অগ্রাধিকার হলো- প্রযুক্তির প্রাপ্যতা ও বাস্তব জ্ঞানের মাধ্যমে মহামারী পণ্যগুলোর উৎপাদন বৈচিত্রকরণ ; এবং ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে প্রাপ্যতা ও সুবিধা ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে, আমরা একটি মহামারী চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালা (২০০৫) এর সংশোধনী থেকে ন্যায্য এবং সুনির্দিষ্ট ফলাফল দেখার আশা করি। বাংলাদেশ উভয় প্রক্রিয়ার সাথে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকবে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিমেটিক দূত সায়মা ওয়াজেদের উপস্থিতিতে সভায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর প্রভাবের বাইরে ছিলো না উল্লেখ করে বলেন, তবু আমরা কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক সূচকে পঞ্চম স্থানে রয়েছি। শুরু থেকেই, আমাদের জীবন বাঁচানো এবং জীবিকা রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছিল।

প্রথম দিকে ডব্লিউএইচওর সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি মোকাবেলা পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ ও পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করি। শূন্য থেকে ৮৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। তিনি বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১১,০০০ ডাক্তার ও ১৩,০০০ মেডিকেল সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করা হয়। মৃত্যুর হার ১.৪৬% সীমিত রাখাসহ আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বিস্ময়করভাবে কাজ করেছে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্যএকটি ডেডিকেটেড ডিজিটাল অ্যাপ চালু করা হয়। আমরা কমপক্ষে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ৯৩% ভ্যাকসিন কভার করেছি। আমি মহামারী ভ্যাকসিনগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসাবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি। তার সরকার ২৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৪ কোটিরও বেশি নিন্ম আয়ের মানুষকে সরাসরি খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বাংলাদেশ অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত অভিবাসী কর্মীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।


আরও খবর



জামায়াতের মিছিল-মিটিং করার সুযোগ নেই : তানিয়া আমীর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছেন, নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির আর কোনো অস্তিত্ব থাকল না। তাই জামায়াত আজ থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। কোনো মিছিল মিটিং করতে পারবে না।

তিনি বলেন, যদি জামায়াত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাহলে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগে যাব।

রোববার (১৯ নভেম্বর) আপিল বিভাগের আদেশের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, আজ জামায়াতে ইসলামীর আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ২০১৩ সালে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

বার বার সময় দেওয়ার পরও জামায়াতের আইনজীবীরা আপিল শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ দলটির আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

আজ শুনানির শুরুতে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে সময় প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান। তখন আপিল বিভাগ বলেন, আপনাদের সময় আবেদন খারিজ করা হলো। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ডিসমিস ফর ডিফল্ট ঘোষণা করছি।

মূল মামলার আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদন এবং জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন গ্রহণ করেননি সর্বোচ্চ আদালত।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনে নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নিবন্ধিত দলগুলোই কেবল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। ওই বছরের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।

এর কয়েক মাস পর ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। ২ দিন পর ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (বি) (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী করা হয়।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনকারীরা রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ১০ মার্চ সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। এ রায়ের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আবার আপিল করে। ওই আপিল শুনানিতে উদ্যোগ নেয় রিটকারী পক্ষ। সে অনুসারে আপিলটি চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে আজ আপিলটি খারিজ করা হলো।


আরও খবর



চার দিনের রিমান্ডে ইমরান খান

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিশেষ একটি আদালত। আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার আদালত এ আদেশ দেন। খবর ডনের

একই সঙ্গে এই চার দিন তাকে দেশটির জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

এনএবি ইমরান খানকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপর এক মামলায় দণ্ডিত ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আছেন। শুক্রবার সেখানেই বিশেষ আদালতের শুনানি হয়।


আরও খবর



ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে অন্যদের বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ হারুনের

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে অনেক সময় অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। যদি অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডিবি পরিচয়ে কাউকে গ্রেফতার করে তাহলে ডিবি ও সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাতে অনুরোধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পরে ডিবি পরিচয়ে আটকের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। আমরা আগেও অনেকবার একটা কথা বলেছি, আমাদের ডিবি সদস্যরা যদি কাউকে আটক করে সেটি আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় মামলা, ওয়ারেন্ট অথবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে অনুযায়ী গ্রেফতার করতে যায়। এক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশনা হলো, তাদের আইডি কার্ড ঝোলানো থাকবে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আধুনিক যে জ্যাকেট রয়েছে সেটি তাদের শরীরে থাকবে।

তিনি বলেন, এছাড়া কেউ ডিবির কথা বললে বিশ্বাস করবেন না। এটা বলার পরেও দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ সাদা পোশাকে এসে ডিবির নাম ব্যবহার করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন লোকজন আমাদের কাছে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারি না। কারণ আমাদের কাছে নেই। কারা নিচ্ছে সে তথ্য আমাদের কাছে থাকলে আমরা সেটি প্রকাশ করতে পারি।

ডিবিপ্রধান বলেন, তাই আমি বিনীত অনুরোধ করবো, যারাই ডিবির নাম ব্যবহার করেন, তারা ডিবির নাম ব্যবহার না করে যারা গ্রেফতার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থা, তারা নিজ নিজ পরিচয় দেবেন। তবে অনেক সময় আছে কিছু অপরাধী অপহরণের উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যায়। তারাও ডিবির নাম ব্যবহার করে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে অন্য কেউ যদি ডিবি পরিচয়ে নিয়ে যায় তাহলে সেটি আমরা জেনে যাই। এর আগেও ডিবি পরিচয়, র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




কুকুর হত্যার অভিযোগে মামলা, ৩ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনা সদর উপজেলার খাকবুনিয়া গ্রামে পোষ্য কুকুরকে হত্যার অভিযোগে বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগে মামলা করেছেন কুকুরের মালিক আনিসুর রহমান। আদালতের বিচারক মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সামন জারি করেছেন।

মামলার তিন আসামি হলেন, রাকিব পঞ্চয়েত (৩০), মাওলা পঞ্চায়েত (৪৮) ও আবু পঞ্চায়েত (৫৫)। তারা সকলেই সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের খাকবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কুকুর হত্যার অভিযোগে বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রাণী কল্যান আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বাদী আনিসুর রহমান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

মামলার আইনজীবী নেপোলিয়ন বলেন, আসামিরা গত রোববার (২৬ নভেম্বর) ফাঁদ পেতে বাদী আনিসুরের পোষ্য কুকুরটিকে পিটিয়ে ও লোহার টেটা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। কুকুরটির পাঁচটি দুধের ছানা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আসামিরা এই ঘটনার দু'দিন আগে একই গ্রামের খবিরদ্দিন হাওলাদারের একটি পোষা কুকুর এবং খলিল হাওলাদারের একটি গর্ভবতী কুকুরকে একইভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। তাদের বিরুদ্ধে এই এলাকার শতাধিক কুকুরকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

পশুপ্রেমী আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, পোষা প্রাণী হত্যার দায়ে বরগুনা আদালতে মামলা হয়েছে, সকলের কাছে ম্যাসেজটি পৌছেঁ দিতে আমি বিচারকের কাছে মামলাটি আমলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।


আরও খবর



‘শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেন বাড়ে, করণীয় কী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শীত এলে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ নানা রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো হার্ট অ্যাটাক। একাধিক গবেষণায় ও বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এ সময়টায় হার্টের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষণায় ও পর্যবেক্ষণে দেখে গেছে, শীতকালে দিনের একটি বিশেষ সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ক আরও তথ্য..

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কাদের মধ্যে বেশি?

ইউরোপিয়ান জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাদের ওজন বেশি বা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন বা যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি।

রক্ত জমাট বেঁধে হার্ট অ্যাটাক

শীতের মৌসুমে রক্তনালী সরু হয়ে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ বাড়তে থাকে। রক্তচাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে মানুষের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে, যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

শীতের সকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সকালে মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে। শীতকালে সকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শরীরের তাপমাত্রাও অনেক কমে যায়। এ কারণে শরীরের তাপমাত্রার সমতা ফেরাতে গিয়ে রক্তচাপ বাড়তে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে যা যা করবেন

১) শীতকালে সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে হাঁটতে যাবেন না। সকাল ৯টার পরই হাঁটতে বের হন।

২) লবণ কম খান।

৩) রোদে সর্বাধিক সময় কাটান।

৪) প্রতিদিন সামান্য শরীরচর্চা করুন।

৫) খাদ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন এবং ভাজা, মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।

৬) ঠাণ্ডা কাপড়ের বিশেষ যত্ন নিন। শীতকালে নিজেকে ঢেকে রাখা খুবই জরুরি।

৭) নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি থাকে।


আরও খবর
আজকের রাশিফল: মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩