গত নভেম্বর থেকেই পিঠের চোটে ভুগছেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। তাই লন্ডন গিয়ে অস্ত্রোপচার করানোর কথা ছিল তার। তবে সেই পথে যাননি তামিম। ইনজেকশন নিয়েছেন এই ওপেনার।
দেশের একটি গণমাধ্যমের খবর, গত মঙ্গলবার এমআরআই করানোর পর তামিমের ইনজেকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ইনজেকশন নেন তামিম। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি। ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচারের টেবিলে।
তামিমকে যে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত স্নায়ুকে নিস্তেজ করে রাখে। ২-৩ মাস থেকে শুরু করে ৪-৫ মাস পর্যন্ত এই ইনজেকশনের কার্যকারিতা থাকে। তবে এর আগেও ব্যথা চলে আসতে পারে। এর আগে এমন ইনজেকশন নিয়ে প্রায় তিন মাস নির্বিঘ্নে খেলতে পেরেছিলেন তামিম।
আগামী ৩০ আগস্ট থেকে শুরু এশিয়া কাপ। এরপর ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চলবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তামিমের ফিট থাকার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
গত ভারত সিরিজ থেকেই পিঠের চোট ভোগাচ্ছে তামিমকে। ওই সিরিজে খেলেননি একটি ম্যাচও। এরপর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ও ইংল্যান্ড সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। তবে ব্যথা ফিরে আসায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে খেলেননি। এরপর আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি খেলার পরই সেই নাটকীয় অবসর ও পরের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ফেরা।